হামলা-ধর্মঘট-বাধা উপেক্ষা করে বিএনপির সমাবেশে জনতার ঢল

পরিস্কার কথা, শেখ হাসিনার অধীনে নির্বাচন হবে না

পরিস্কার কথা, শেখ হাসিনার অধীনে নির্বাচন হবে না

বর্তমান সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচন হবে না বলে হুশিয়ারি দিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেছেন, বিএনপি’র পরিস্কার কথা, শেখ হাসিনার অধীনে কোনো নির্বাচন হবে না। এই সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচন হবে না। নিরপেক্ষ, নির্দলীয় সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে। সেই সরকার নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন করবে। সেই কমিশনের অধীনে নির্বাচন হবে।

তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে আগামী নির্বাচন হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, ভোটের মাধ্যমে যে সরকার হবে সেটি হবে সব দলের সমন্বয়ে জাতীয় সরকার।

বিকালে বরিশালের বঙ্গবন্ধু উদ্যানে বিভাগীয় গণ সমাবেশে বিএনপি মহাসচিব এসব কথা বলেন। বিভাগীয় পর্যায়ে এটি বিএনপির পঞ্চম সমাবেশ। দলটি এর আগে চট্টগ্রাম, খুলনা,ময়মনসিংহ ও রংপুরে সমাবেশ করেছে। নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনসহ বিভিন্ন দাবিতে দলটি ধারাবাহিক সমাবেশের এ কর্মসূচি পালন করছে। খুলনা ও রংপুরের মতো বরিশালের সমাবেশের আগেও পরিবহন ধর্মঘটের কারণে শহরটি ওই অঞ্চলের অন্য জেলা ও উপজেলা থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে শুক্রবার থেকেই। 

এ সমাবেশকে কেন্দ্র করে দক্ষিণাঞ্চলে বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যে উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করছিল।

শুক্রবার সারা দিনে ও শনিবার দুপুর পর্যন্ত নৌপথে ভাড়া করা ট্রলারে করে শত শত মিছিল বরিশালে এসে পৌঁছায়। এ সময় তারা সরকারবিরোধী বিভিন্ন শ্লোগান দেন। তাদের কারও হাতে এসময় বিএনপির নির্বাচনী প্রতীক ধানের শীষ দেখা গেছে। আবার কেউ কেউ দলটির নেতা খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের প্রতিকৃতি বহন করছিলেন।

বরিশাল মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক মো. মনিরুজ্জামান ফারুকের সভাপতিত্বে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, ড. আব্দুল মঈন খান, বেগম সেলিমা রহমান, ভাইস চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমর বীরউত্তম, মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ, আলতাফ হোসেন চৌধুরী, আব্দুল আউয়াল মিন্টু, ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন, অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদিন, যুগ্ম মহাসচিব মজিবুর রহমান সারোয়ার, হাবিবুন নবী খান সোহেল, বরিশাল বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক বিলকিস জাহান শিরিন প্রমুখ বক্তব্য দেন।

বরিশালে বিভাগীয় গণসমাবেশকে কেন্দ্র করে বাস, লঞ্চ, ছোট যানবাহন বন্ধ করে দেওয়ায় কার্যত সারা দেশ থেকে বরিশাল ছিল বিচ্ছিন্ন। শনিবার সকাল থেকে বরিশালের মুঠোফোন ও ইন্টারনেট ব্যবস্থা ছিল ধীর গতির, কখনো কখনো সংযোগ পাওয়া যাচ্ছিল না। এই পরিস্থিতির মধ্যে মাছ ধরার ট্রলার, পণ্যবাহী নৌযান, সাইকেল এমনকি হেঁটে বিভাগের জেলা ও উপজেলা থেকে অসংখ্য নেতা-কর্মী সমাবেশে যোগ দেন।

যোগাযোগ ব্যবস্থা বন্ধ করার আশঙ্কায় গত বুধবার থেকেই এই সমাবেশে দূর-দূরান্তের লোকজন সমাবেশস্থলে আসেন। সেখানে তিন দিন ধরে ছিলেন তারা। এরপর বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার বাধা-বিপত্তি উপেক্ষা করে সমাবেশস্থলে বাড়তে থাকে উপস্থিতি।

সব ধরনের বাধাবিপত্তি উপেক্ষা করে আজ লাখো মানুষের সমাবেশ ঘটে ঐতিহাসিক এ উদ্যানে। সমাবেশস্থলের বাইরে শহরের প্রধান সড়কের তিন কিলোমিটার পর্যন্ত মানুষকে অবস্থান করতে দেখা গেছে।

বিএনপির নেতারা অভিযোগ করেছেন যে সমাবেশকে সামনে রেখে ভোলা, পটুয়াখালী ও বরিশালের বিভিন্ন এলাকায় তাদের দলের সমর্থকদের ওপর হামলা ও কার্যালয় ভাংচুরেরা ঘটনা ঘটেছে।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, আওয়ামী লীগের সময়ে চুরি আর ঘুষ ছাড়া আর কিছু নেই। ১০ টাকা কেজি চাল খাওয়াবে বলেছিল। কতো টাকায় চাল খাওচ্ছে। ঘরে ঘরে চাকরি দিবে বলেছিল। দিয়েছে? চাকরি দিয়েছে আওয়ামী লীগের ছেলেদের। প্রত্যেকের কাছ থেকে ২০ লাখ টাকা নিয়ে। বিনা পয়সায় সার দেবে বলেছিল। দিয়েছে? আমাদের সময়ের চেয়ে তিন গুণ দামে সার কিনতে হচ্ছে। আওয়ামী লীগ এখন বর্গীতে রূপ নিয়েছে। আওয়ামী লীগের চরিত্রে দুটি জিনিস আছে। একটি হল চুরি আর অন্যটি সন্ত্রাস। এই দুটি তারা করবেই।

তিনি বলেন, ভোট চুরি করে, নতুন নতুন বুদ্ধি করে ক্ষমতায় যাওয়ার চিন্তা করছে। আমরা পরিস্কার ভাষায় বলছি, হাসিনার অধীনে কোনো নির্বাচন হবে না। এই সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচন হবে না। সংসদ বিলুপ্ত করে নিরপেক্ষ সরকারের হাতে ক্ষমতা দিতে হবে। সেই সরকার নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন করবে।

মির্জা ফখরুল দলের নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ থাকার আহবান জানিয়ে বলেন, টেক ব্যাক বাংলাদেশ। রাজপথে ফায়সালা করে বাংলাদেশকে আমরা ফিরিয়ে আনব। কোনো দ্বিমত নয়, ঝগড়াঝাটি নয়, ঐক্যবদ্ধভাবে আমাদের ঝাপিয়ে পড়তে হবে। এই আন্দোলন সমগ্র জাতিকে রক্ষা করার জন্য। এটি বিএনপি’র কোনো আন্দোলন নয়।

অর্থ পাচারের সময় মনে ছিল না?

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, সরকার এত দিন উন্নয়নের বুলি শুনিয়েছে। উন্নয়নের নামে সমস্ত টাকা পাচার করে বিদেশে নিয়ে গেছে। বিদ্যুৎ নিয়ে ঢাকঢোল পিটিয়েছে। কুইক রেন্টালের নামে হাজার হাজার কোটি টাকা চুরি করেছে। আর সরকার এখন ডলার সংকট, দুর্ভিক্ষের কথা বলছে। যখন হাজার হাজার কোটি টাকা চুরি করে পাচার করা হয়েছিল, তখন কি এসব মনে ছিল না?

আওয়ামী লীগ বর্গিদের মতো আচরণ করছে অভিযোগ করে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ২০০৮ সালে শেখ হাসিনা বলেছিলেন নির্বাচনে জয়ী হলে ১০ টাকা কেজি চাল খাওয়াবেন, ঘরে ঘরে একজনকে চাকরি দেবেন। এখন চালের দাম কত? ঘরে ঘরে চাকরি কি হয়েছে? তাঁর অভিযোগ, এই দলের চরিত্রে দুটি দিক আছে। চুরি ও সন্ত্রাস। তারা যখনই ক্ষমতায় এসেছে ভোট চুরি করে এসেছে। এখন আবার ভোট চুরি করে ক্ষমতায় যাওয়ার ফন্দি করছে।

বিএনপির আমলে হয় উন্নয়ন, আ'লীগের আমলে দুর্ভিক্ষ

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, বিএনপির আমলে দেশে শুধু উন্নয়ন হয়। আর আওয়ামী লীগের আমলে দেশে দুর্ভিক্ষ হয়।

ফখরুল বলেন, বিএনপি যতদিন ক্ষমতায় ছিল ততদিন দেশে উন্নয়ন হয়েছে। এই বরিশালেও অনেক উন্নয়ন হয়েছে বিএনপির আমলে। এখানে বিভাগ দিয়েছেন খালেদা জিয়া। বিশ্ববিদ্যালয় দিয়েছেন, বিকেএসপি দিয়েছেন। আর আওয়ামী লীগ দিয়েছে দুর্ভিক্ষ।

তিনি বলেন, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান মুক্তিযুদ্ধের ঘোষণা দিয়েছিলেন। দেশের সবাই মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়ে দেশ স্বাধীন করেছে। সবাই স্বপ্ন দেখেছিল একটি সুন্দর দেশ গড়ার। কিন্তু আওয়ামী লীগ একে একে আমাদের সমস্ত স্বপ্ন ভেঙে চুরমার করে দিয়েছে। সব স্বপ্ন ধ্বংস করে দিয়েছে।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, ১৪-১৫ বছর ধরে আওয়ামী লীগ একই স্বপ্ন দেখছে এবং তারা কাজ করছে ওইভাবে যে, তারা দেশে একদলীয় শাসনব্যবস্থা কায়েম করতে চায়। কিন্তু গণতন্ত্রের একটা খোলস বা মোড়ক রাখতে চায়।

তিনি বলেন, বিএনপি নেতাকর্মীদের নামে অসংখ্য মামলা হয়েছে এবং তাদের ওপর হামলা হয়েছে। হামলা এবং মামলা হচ্ছে তাদের (আওয়ামী লীগ) একটা বড় অস্ত্র। তারা যাদের ওপর হামলা করবে আবার তাদের বিরুদ্ধেই মামলা করবে।

পালাবার পথ পাবেন না, জেলে আপনি যাবেন নিশ্চিত : মির্জা আব্বাস

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের উদ্দেশে বলেছেন, ‘বরিশালে আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ বিএনপির সমাবেশকে খাটো করার চেষ্টা করেছে। পালাবার পথ পাবেন না। জেলে আপনি যাবেন নিশ্চিত…।’

মির্জা আব্বাস বলেন, পুলিশকে ধন্যবাদ জানাতে চাই। আমার জীবনে দেখিনি বিরোধীদলের মিটিংয়ে পুলিশ তাঁবু করে দেয়। তারা আমাদের পুরো মাঠ ব্যবহার করতে দেবে না। কেন দেবে না? তারা মনে করেছিল দেশনেত্রী এখানে সমাবেশে করেছিল, নেতাকর্মীরা আরও বেশি জেগে উঠবে। তাই তারা ওখানে প্যান্ডেল করতে দেয়নি। কি লাভ হলো? আমাদের নেতাকর্মীরা সেখানে অবস্থান নিয়েছে রোদ থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য।

আজ পুরো বরিশাল মিছিলের নগরীতে পরিণত হয়েছে উল্লেখ করে মির্জা আব্বাস বলেন, এই মুহূর্তে যাতে লাইভ টেলিকাস্ট না হতে পারে, সেজন্যে সকল প্রকার নেটওয়ার্কের ফ্রিকোয়েন্সি নেই। রাজপথ বন্ধ, জলপথ বন্ধ, আকাশপথও বন্ধ। কি লাভ হলো? সারা দেশের মানুষ জেনে গেছে।

তিনি আরও বলেন, শুনলাম নির্দেশনা আছে, বিএনপির সমাবেশ যাতে পুরোটা দেখানো না হয়। কুমিল্লায় কাদের সাহেবের (আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক) জনসভায় যতটুকু দেখানো হবে, বিএনপিরও যেন ততটুকু দেখানো হয়।

দেশের মানুষ আ.লীগকে লালকার্ড দেখিয়েছে 

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব.) হাফিজউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, বাংলাদেশের মানুষ আওয়ামী লীগের ওপর অতীষ্ট হয়ে তাদের লালকার্ড দেখিয়েছে। সমাবেশে আসার জন্য আওলাদ নামে একটি লঞ্চ ভোলাঘাটে অবস্থান করেছিল। বর্তমান লুটেরারা লঞ্চের চেয়ার টেবিল খাওয়ারসহ সকল কিছুই লুট করে নিয়ে গেছে। এ হলো আওয়ামী লীগ সরকারের চরিত্র।

মেজর (অব.) হাফিজউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, দেশের মানুষের বাক স্বাধীনতা নেই। সভা-সমাবেশের স্বাধীনতা নেই। দেশের সম্পদ লুট করে বিদেশে পাচার করে নিয়ে গেছে। সমাজ জীবনের সকল স্তরকে তাঁরা বিষাক্ত করে তুলেছে। দেশের স্বাধীনতা এখন আদুভাই। বাংলাদেশের মানুষ তাদের ওপর অতীষ্ট হয়ে লালকার্ড দেখিয়েছে।

পরিবহণ ছাড়াও আন্দোলন হতে পারে, জনগণ তা দেখিয়ে দিয়েছে

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, বিএনপির আন্দোলন সংগ্রামে পরিবহণের প্রয়োজন হবে না। পরিবহণ ছাড়া যে আন্দোলন হতে পারে, এটা বরিশালের জনগণ দেখিয়ে দিয়েছে। মানুষ গ্যাসের অভাবে রান্না করতে পারছে না। আমি আওয়ামী লীগের নেতাদের বক্তব্যের জবাব দিতে চাই না। কারণ আমাদের মূল দাবি থেকে সরে যেতে পারে।

খসরু বলেন, দেশনেত্রী খালেদা জিয়া দেশের মানুষের প্রতি সম্মান জানিয়ে সংসদে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিল পাস করে সংসদ থেকে পদত্যাগ করে জনগণের কাতারে নেমে এসেছিলেন। তিনি চাইলে ক্ষমতায় থাকতে পারতেন। মানুষের প্রয়োজনীয় জিনিস কেনার টাকা পায় না সরকার, তাদের ভোট চুরির মেশিন কেনার পয়সা আছে।

ভোটাধিকারের জন্য আরেকটি সংগ্রাম করতে হবে

বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব মজিবর রহমান সরওয়ার বলেছেন, আজ ভোটাধিকারের দাবি উঠেছে। ১৯৭০ সালে ভোটাধিকার কেড়ে নেওয়ার কারণে দেশে মুক্তিযুদ্ধ তথা সশস্ত্র সংগ্রাম হয়েছে। একই কায়দায় শেখ হাসিনা ২০১৪ ও ২০১৮ সালে ভোটাধিকার কেড়ে নিয়েছে। তাই দেশে নতুন করে ভোটাধিকারের দাবিতে আন্দোলন করতে হবে।

মজিবর রহমান সরওয়ার আরও বলেন, সাধারণ মানুষের আয় বাড়েনি। কিন্তু জনগণের ভোটাধিকার কেড়ে নেওয়ার জন্য যাদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে, শুধু তাদের বেতন সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি করা হচ্ছে। দেশের মানুষের মধ্যে হাহাকার চলছে। দেশে নিত্যপণ্যের দাম বেড়ে গেছে। মানুষের মধ্যে হাহাকার চলছে।

সরকার বিদায় না হওয়া পর্যন্ত সুষ্ঠু ভোট হবে না

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট জয়নাল আবেদীন বলেছেন, আপনারা যেভাবে উপস্থিত হয়েছেন, আপনাদের মাধ্যমেই এই সরকারের পতন ঘটবে। এই সরকার জনগণের ভোটে নির্বাচিত নয়, এটা হচ্ছে নিশিরাতের সরকার। এই সরকার যতক্ষণ না বিদায় হবে, ততদিন সুষ্ঠু ভোট হবে না। তাই সবার দায়িত্ব হচ্ছে আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়া

জয়নাল আবেদীন বলেন, অনেকেই বলেন, বেগম খালেদা জিয়াকে নাকি আবার সরকার জেলে নেবেন। তাকে কি কোনো আইনগত বৈধ জাজমেন্টে নিয়ে ছিলেন? একটা অবৈধ ফরমায়েসি জাজমেন্ট দিয়ে বেগম খালেদা জিয়াকে আটকে রেখেছেন।

খালেদা জিয়ার জাতীয় নির্বাচনে অংশ নেওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, শেখ হাসিনা, সরকার বাহাদুররা শুনে রাখেন, এরশাদের যখন পতন হয়েছে তার পরে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ১৫টি মামলা হয়েছিল…।’

প্রতিটি জিনিসের পাই পাই করে হিসাব নেওয়া হবে 

বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বলেছেন, প্রতিটি জিনিসের পাই পাই করে হিসাব নেওয়া হবে। জঙ্গি দমনের কথা বলছেন, বড় জঙ্গি তো তারা, যারা দিনের ভোট রাতে করে। সুতরাং সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে এই জঙ্গিকে বিতাড়িত করতে হবে

আপনার জেলে যাওয়ার সময় হয়েছে, প্রস্তুতি নিন

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্দেশে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব হাবীব উন নবী খান সোহেল বলেছেন, বেগম খালেদা জিয়া নয়, আপনি আমার ভাইদের হত্যা করেছেন, আপনার জেলে যাওয়ার সময় হয়েছে, প্রস্তুতি নিন। আপনার চাচাতো মামাতো ভাই এদের কোনো খাওয়া বরিশালে নাই। বরিশালের মাটি খালেদা জিয়ার ঘাঁটি, বরিশালের মাটি তারেক রহমানের ঘাঁটি।

উল্লেখ্য, বিভাগীয় সমাবেশের অংশ হিসেবে গত ৮ অক্টোবর চট্টগ্রামে প্রথম গণসমাবেশ করে বিএনপি। এরপর ১৫ অক্টোবর ময়মনসিংহে, ২২ অক্টোবর খুলনায়, ২৯ অক্টোবর রংপুরে সমাবেশ করে দলটি। এছাড়া বরিশালের আজকের সমাবেশের পর আগামী ১২ নভেম্বর ফরিদপুরে, ১৯ নভেম্বর সিলেটে, ২৬ নভেম্বর কুমিল্লায়, ৩ ডিসেম্বর রাজশাহীতে এবং ঢাকায় ১০ ডিসেম্বর।