পুঠিয়ায় বিএনপির সমাবেশমঞ্চ ভাঙচুর

পুঠিয়ায় বিএনপির সমাবেশমঞ্চ ভাঙচুর

রাজশাহীর পুঠিয়ায় স্থানীয় যুবলীগ নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে ইউনিয়ন বিএনপির কর্মী সমাবেশ মঞ্চ ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে। তবে এ ঘটনায় পুলিশ রাজশাহী জেলা বিএনপির সাবেক সহসভাপতি অধ্যাপক খোরশেদ আলমকে গ্রেপ্তার করেছে। সোমবার (২১ নভেম্বর) বিকেলে উপজেলার মোল্লাপাড়া বাজারে এ ঘটনা ঘটে।

রাজশাহী জেলার সাবেক যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক জুলফিকার রহমান ভুট্টু বলেন, ‘আগামী ৩ ডিসেম্বর বিএনপির রাজশাহী বিভাগীয় মহাসমাবেশ। আর এই সমাবেশ সফল করতে সোমবার মোল্লাপাড়া ও সৈয়দপুর বাজারে তৃণমূল বিএনপি ইউনিয়ন পর্যায়ে কর্মী সমাবেশের আয়োজন করেন। সমাবেশে যোগ দিতে সাবেক (পুঠিয়া-দুর্গাপুর) এমপি ও জেলা বিএনপির সভাপতি নাদিম মোস্তফা আসার কথা ছিল। আর এই সংবাদে এলাকার আওয়ামী যুবলীগ আমাদের সমাবেশ বানচাল করতে তারা পাল্টা কর্মী সমাবেশের ডাক দেয়।’

তিনি আরও বলেন, ‘গত রাতে মোল্লাপাড়া বাজারে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ককটেল ফাটিয়েছে। আর পুলিশ বিএনপি নেতা-কর্মীদের নামে মামলা করেছেন। বিএনপির মঞ্চ ভেঙেছে যুবলীগ। আর পুলিশ আটক করেছেন বিএনপির নেতাকে। এটা একটা লজ্জাজনক ঘটনা।’

তবে উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক সুমনউজ্জামান সুমন মঞ্চ ভাঙচুরের বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, ‘যুবলীগ পূর্বনির্ধারিত যুবলীগের কর্মী সমাবেশ করেছে।

তারা কোনো ভাঙচুর বা গ্যান্জাম করেনি।’ তিনি বলেন, ‘পুঠিয়ায় বিএনপির দুটি গ্রুপ। একটি নাদিম মোস্তফা ও অপরটি নজরুল ইসলাম মন্ডল। আর আজকে নাদিম মোস্তফা গ্রুপের সমাবেশ মঞ্চ ভাঙচুর করেছে নজরুল মন্ডল গ্রুপের লোকজন।’

পুঠিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোহরাওয়ার্দী হোসেন বলেন, ‘মোল্লাপাড়া বাজারে স্থানীয় বিএনপির একটি পক্ষ সমাবেশের মঞ্চ করেছিল। সেটা বিএনপির অপর পক্ষের লোকজনই ভাঙচুর করেছে। আর এ ঘটনায় একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।’

উল্লেখ্য, সোমবার উপজেলার শিলমাড়িয়া ও জিউপাড়া ইউনিয়ন বিএনপি কর্মী সমাবেশের ডাক দেয়। আর একই সময় একই স্থানে যুবলীগও কর্মী সমাবেশের ডাক দেয়। এদিকে গতকাল রোববার রাতে শিলমাড়িয়া ইউনিয়নের মোল্লাপাড়া বাজারে একাধিক ককটেল বিস্ফোরণ ঘটে। এতে পুরো এলাকাজুড়ে চরম আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। এ ঘটনায় সোমবার সকালে পুলিশ ১৬ জন বিএনপির নেতা-কর্মীদের নাম উল্লেখ করে ও আরও শতাধিক অজ্ঞাতনামা আসামি করে থানায় বিস্ফোরক আইনে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।