চা খাওয়ানোর কথা বললেও এখন গায়েবি মামলা দিচ্ছে সরকার: জাফরুল্লাহ

চা খাওয়ানোর কথা বললেও এখন গায়েবি মামলা দিচ্ছে সরকার: জাফরুল্লাহ

সরকারের সমালোচনা করে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেছেন, কিছুদিন আগেও মিছিল–মিটিং করার অভয় দিয়ে চা খাওয়ানোর কথা বলা হয়েছিল। সেখানে এখন বিরোধী রাজনৈতিক নেতা–কর্মীদের বিরুদ্ধে ‘গায়েবি’ মামলা দেওয়া হচ্ছে।

আজ শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে অন্য রাজনৈতিক দল থেকে নেতা–কর্মীদের ভাসানী অনুসারী পরিষদে যোগদান অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে জাফরুল্লাহ চৌধুরী এসব কথা বলেন।

জাফরুল্লাহ চৌধুরী ভাসানী অনুসারী পরিষদের প্রধান উপদেষ্টা। গত আগস্টে এই ভাসানী অনুসারী পরিষদসহ সাতটি দল ও সংগঠন মিলে গণতন্ত্র মঞ্চ তৈরি করে। সরকার পতনের দাবিতে আন্দোলনে রয়েছে এই মঞ্চ।

অনুষ্ঠানে জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, ‘আলেমদেরকে আপনারা দুই বছরের বেশি সময় ধরে কারাগারে রেখেছেন। তাদের অপরাধ কী? অপরাধ, নরেন্দ্র মোদির বিরুদ্ধে স্লোগান দিয়েছে। এটা কোনো অপরাধ হতে পারে, যার কারণে দুই বছর আপনি আটকে রাখবেন?’

সম্প্রতি হেফাজত নেতাদের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ নিয়েও কথা বলেছেন জাফরুল্লাহ চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘হেফাজতকে ডেকে চা খাওয়াচ্ছেন।‌ বিষয়টা কি ঘুষ দিয়ে রাজনীতি করতে চান?’ ঘুষ দিয়ে রাজনীতি বন্ধ করার আহ্বান জানান জাফরুল্লাহ চৌধুরী। প্রধানমন্ত্রীকে ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, ‘এটা মনে করবেন না, আপনি ছাড়া দেশ চলবে না। এটা হতে পারে না।’

বক্তব্যে বিএনপিকে নিয়েও কথা বলেন জাফরুল্লাহ চৌধুরী। তাঁর মতে, পরিষ্কারভাবে বিএনপির ঘোষণা দেওয়া উচিত যে মিছিল–মিটিংয়ের জন্য কারও অনুমতি লাগবে না।

বিএনপিকে পরামর্শ দিয়ে জাফরুল্লাহ চৌধুরী আরও বলেন, ২৭ দফা বাস্তবায়ন করতে হলে অন্য দলগুলো সঙ্গে নিয়ে এখনই ঘোষণা করতে হবে যে তারা দু–চারজন করে সংসদ সদস্য পাবে।‌ কারণ, শত ফুল ফুটলেই জাতি বিকশিত হয়। কেউ খাবে কেউ খাবে না, সেটা হতে পারে না।

প্যারোলে মুক্তির পর মায়ের জানাজায় অংশ নেওয়া বিএনপির এক নেতার হাতকড়া খুলে না দেওয়ার ঘটনার কঠোর সমালোচনা করেন জাফরুল্লাহ চৌধুরী। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘দেশের এখন কী অবস্থা! একজন লোককে প্যারোলে দেওয়ার পরও তাঁর হাতকড়া না খোলা ব্রিটিশ আইনেও ছিল না।’

ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহ্বায়ক শেখ রফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা বক্তব্য দেন। জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক যুব আন্দোলনের বিভিন্ন পর্যায়ের ১৮ জন নেতা ভাসানী অনুসারী পরিষদে যোগ দিয়েছেন বলে অনুষ্ঠানে জানানো হয়।