গণমিছিল ঘিরে খুলনায় বিএনপি নেতাকর্মীদের ধড়পাকড়ের অভিযোগ

গণমিছিল ঘিরে খুলনায় বিএনপি নেতাকর্মীদের ধড়পাকড়ের অভিযোগ

সরকারের পদত্যাগসহ ১০ দফা দাবিতে শনিবার বিকেলে খুলনায় অনুষ্ঠিত হবে বিএনপির গণমিছিল। মিছিলের দু’দিন আগে থেকেই নগরীতে নেতাকর্মীদের ধরপাকড়ের অভিযোগ করেছে বিএনপি। দলটির নেতাদের অভিযোগ, বুধবার রাত থেকে শুক্রবার সকাল পর্যন্ত ১১ নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতে জামায়াতের দুই নেতাকেও গ্রেফতার করা হয়। এছাড়া আতংক ছড়াতে বাড়ি বাড়ি অভিযান চালানো হচ্ছে।

দলীয় সূত্রে জানা গেছে, ১০ দফা দাবিতে কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী শনিবার বিকেল ৩টায় কে ডি ঘোষ রোডস্থ দলীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে গণমিছিল শুরু হবে। মিছিলটি নগরীর প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণের পর শিববাড়ি মোড়ে গিয়ে শেষ হবে।

খুলনার গণমিছিলে নেতৃত্ব দেবেন বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী ড. মঈন খান। মিছিলে উপস্থিত থাকবেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির তথ্য বিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল, মহানগর বিএনপির সদস্য রকিবুল ইসলাম বকুল, বিএনপির খুলনা বিভাগীয় সহ সাংগঠনিক সম্পাদক জয়ন্ত কুমার কুন্ডু।

খুলনা মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব শফিকুল আলম তুহিন জানান, বুধবার রাতে আটরা গিলাতলা ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ফকির শরিফুল ইসলাম, ৩০নং ওয়ার্ড যুবদলের সাধারণ সম্পাদক আলাউদ্দিন আলম, ১৩নং ওয়ার্ড বিএনপি নেতা মোহাম্মাদ আলী ও খালিশপুর থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব আলাউদ্দিন তালুকদারকে গ্রেফতার করা হয়। বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার রাতেও বাড়ি বাড়ি অভিযান চালিয়েছে পুলিশ। এ সময় দৌলতপুর থানা ছাত্রদলের সদস্য সচিব রবিউল ইসলাম, দিঘলিয়া উপজেলা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি ও সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান শরীফ মোজাম্মেল হোসেনসহ ৭ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

জামায়াত নেতারা জানান, বৃহস্পতিবার রাতে ১২নং ওয়ার্ড জামায়াত নেতা হেমায়েত উদ্দিন ও ২০নং ওয়ার্ড থেকে গোলাম মোস্তফাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

খুলনা মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এডভোকেট এস এম শফিকুল আলম মনা বলেন, আমরা শান্তিপূর্ণ গণমিছিলে সহযোগিতার জন্য পুলিশকে অনুরোধ জানিয়েছি। কিন্তু তারা কর্মসূচি বানচালে ধরপাকড় শুরু করেছে।

এভাবে গণজাগরণ বন্ধ করা যাবে না। কর্মসূচি সফল হবেই।