পদযাত্রার মাধ্যমেই এক দফার বাস্তবায়ন: ফখরুল

পদযাত্রার মাধ্যমেই এক দফার বাস্তবায়ন: ফখরুল

আওয়ামী লীগ বুঝে গেছে নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার এলে তাদের ভাত নাই। তারা ৩০টি আসনও পাবে না। তাই তারা নিজেদের সরকারের অধীনে আবারো পাতানো নির্বাচন দিতে চায় বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

তিনি বলেন, দেশের জনগণ এবার তা হতে দিবে না। পদযাত্রার মাধ্যমেই জনগণ তাদের পতন করে এক দফার বাস্তবায়ন ঘটাবে।

শুক্রবার বিকালে নোয়াখালী শহীদ ভুলু স্টেডিয়ামে বিএনপির সহযোগী সংগঠন কৃষক দল, শ্রমিক দল, মৎস্যজীবী দল তাঁতি দল ও জাসাস আয়োজিত চট্টগ্রাম বিভাগীয় পদযাত্রা পূর্ব সমাবেশে ফখরুল এসব কথা বলেন।

তিনি আরও বলেন, সরকার বিদেশিদের কি বোঝাচ্ছে জানি না। আমরা বিদেশি বুঝি না। একটাই বুঝি এ সরকারকে দেশের জনগণ আর ক্ষমতায় দেখতে চায় না। তাই তারা জেগে উঠেছে। কৃষক-শ্রমিক জোট বেঁধে আজ রাজপথে নেমেছে। তাই এক দফা ঘোষণা করা হয়েছে।

ফখরুল বলেন, শুক্রবারের জুমার খুতবা পর্যন্ত নিয়ন্ত্রণ করছে সরকার। তারাই ঠিক করে দেয় মসজিদে কি খুতবা দেওয়া হবে। তারা মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার হরণ করেছে। মানুষ মুখফুটে কথা বলতে পারে না। এ পদযাত্রার মাধ্যমেই সরকারকে পদত্যাগে বাধ্য করা হবে।

ওবায়দুল কাদেরের প্রসঙ্গ টেনে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, তিনি বলেছে তাদেরও এক দফা শেখহাসিনার অধীনেই নির্বাচন হতে হবে। কী আবদার, কী আবদার! দেশের মানুষকে এতো বোকা ভাববেন না। তারা সজাগ হয়েছে। তারা এবার নিজের ভোট নিজে দিতে চায়।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, ২০০৮ সালে কারচুপির মাধ্যমে ক্ষমতায় এসে সবাইকে বোকা বানিয়ে আপনি বিচার ব্যবস্থা ও খায়রুল হকের ওপর দোষ চাপিয়ে সংসদে তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাতিল করলেন। কারণ নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের থাকলে আওয়ামী লীগের ভাত নাই।

জাতীয়তাবাদী কৃষক দলের সভাপতি কৃষিবিদ হাসান জাফির তুহিনের সভাপতিত্বে সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন- বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্যাহ বুলু, মো. শাহজাহান, পদযাত্রার সমন্বয়ক প্রফেসর ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন, চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম, চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী অ্যাডভোকেট শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, উপদেষ্টা জয়নুল আবেদীন ফারুক, দলের যুগ্ম-মহাসচিব ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী অ্যানি, ফেনীর সাবেক সংসদ সদস্য রেহানা আক্তার রানু, লক্ষ্মীপুরের সাবেক সংসদ সদস্য আশরাফ উদ্দিন নিজান।