পদত্যাগ করুন: সরকারকে বিএনপি মহাসচিব

পদত্যাগ করুন: সরকারকে বিএনপি মহাসচিব

সরকারকে উদ্দেশ্য করে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, দফা এক, দাবি এক-পদত্যাগ করুন। এদিক-ওদিক করে লাভ নেই। কে কী বলল, যায় আসে না। বাংলাদেশের জনগণ বলছে, পদত্যাগ করুন। আর জনগণের দাবিই হলো আসল। বন্দুকের ভয় দেখিয়ে, মামলা দিয়ে আর কাজ হবে না। অসংখ্য লোকের বিরুদ্ধে গায়েবি মামলা দেওয়া হয়েছে। যার কোনো ভিত্তি নেই। মামলা দিয়েও আন্দোলন দমাতে পারেননি।

সরকারের পদত্যাগ দাবি করে তিনি বলেন, মানে মানে সরে পড়েন। জাতীয় সংসদ বিলুপ্ত করে নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন দিন। জনগণের হাতে ফিরিয়ে দিন ক্ষমতা। কোনো মসনদই স্থায়ী নয়।

রবিবার বিকালে চট্টগ্রাম নগরের নাসিমন ভবন দলীয় কার্যালয়ের সামনের সড়কে আয়োজিত চট্টগ্রাম বিভাগীয় শ্রমিক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মির্জা ফখরুল এসব কথা বলেন।

বিএনপির মহাসচিব বলেন, দফা এক, দাবি এক-পদত্যাগ করুন। এদিক-ওদিক করে লাভ নেই। কে কী বলল, যায় আসে না। বাংলাদেশের জনগণ বলছে, পদত্যাগ করুন। আর জনগণের দাবিই হলো আসল। বন্দুকের ভয় দেখিয়ে, মামলা দিয়ে আর কাজ হবে না। অসংখ্য লোকের বিরুদ্ধে গায়েবি মামলা দেওয়া হয়েছে। যার কোনো ভিত্তি নেই। মামলা দিয়েও আন্দোলন দমাতে পারেননি।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘সিটি করপোরেশনের গাড়ি পোড়ানো, বোমা নিক্ষেপের মামলায় আমাকে আসামি করা হয়েছে। আমার নির্দেশে নাকি এসব হয়েছে। কী অদ্ভুত কাণ্ড। আর কত মানুষকে বোকা বানানো হবে। এবার ক্ষান্ত দেন।’
মির্জা ফখরুল অভিযোগ করেন, আওয়ামী লীগ মুখে গণতন্ত্রের কথা আর কাজে একদলীয় শাসন। জনগণ এখন আর মানবে না। কিন্তু আওয়ামী লীগের পরিকল্পনা যেকোনো কৌশলে আবার ক্ষমতায় বসতে। এ জন্য তাদের মন্ত্রীদের পিএস, এপিএসকে ডিসি (জেলা প্রশাসক) ও ইউএনও পদে বসাচ্ছে।

প্রধান নির্বাচন কমিশনারের উদ্দেশে মির্জা ফখরুল বলেন, মুখে সুষ্ঠু নির্বাচনের সুন্দর সুন্দর কথা বলেন। কিন্তু তিনি কিছুই করতে পারেন না। নির্বাচন কমিশন হচ্ছে ‘ঠুঁটো জগন্নাথ’, তাদের কোনো ক্ষমতা নেই। আওয়ামী লীগ যা বলে, তা বাস্তবায়ন করে।

শ্রমিক সমাবেশে প্রধান বক্তার বক্তব্যে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, সরকার পতনের দিন ঘনিয়ে এসেছে। এক দফা দাবি-শেখ হাসিনার পদত্যাগ। প্রতিনিয়ত নতুন নতুন সংগঠন বিএনপির আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত হচ্ছে। তারাও রাস্তায় নামছে।

এদিকে দুপুর থেকে নগরে বিএনপির দলীয় কার্যালয় নাসিমন ভবনের সামনে মিছিল নিয়ে জড়ো হতে থাকেন নেতা–কর্মীরা। নগরের নুর আহমদ সড়কের স্টেডিয়াম শপিং কমপ্লেক্সের সামনে থেকে কাজীর দেউড়ি পর্যন্ত সড়কে অবস্থান নেন নেতা–কর্মীরা। সড়কের ওপর নির্মাণ করা হয় অস্থায়ী মঞ্চ। সন্ধ্যা ছয়টায় সভা শেষ হওয়ার পর যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমানের সভাপতিত্বে সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মীর মোহাম্মদ নাছির উদ্দিন, কেন্দ্রীয় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকতউল্লা বুলু, চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী শিমুল বিশ্বাস, চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবুর রহমান, চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক শাহাদাত হোসেন, কেন্দ্রীয় বিএনপির সদস্য মীর হেলাল, মহানগর বিএনপির সদস্যসচিব আবুল হাসেম, উত্তর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক গোলাম আকবর খোন্দকার, দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সুফিয়ান প্রমুখ।