বিদেশিদের আপন করতে জনগণকে প্রতিপক্ষ বানিয়েছে বিএনপি: কাদের

বিদেশিদের আপন করতে জনগণকে প্রতিপক্ষ বানিয়েছে বিএনপি: কাদের

বিদেশিদের আপন করতে গিয়ে বিএনপি দেশের জনগণকে প্রতিপক্ষ বানিয়েছে বলে দাবি করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। 

রবিবার বিকালে গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিবৃতিতে এসব কথা বলেন ওবায়দুল কাদের।

বিএনপির আন্দোলনকে যেনতেনভাবে ক্ষমতা দখলের আন্দোলন বলে দাবি করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। তিনি এ বিষয়ে বলেন, ‘এই আন্দোলনে জনগণের কোনো সম্পৃক্ততা নেই। তথাকথিত আন্দোলনের নামে সন্ত্রাস ও সহিংসতার মাধ্যমে তারা ভীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করে রাজনৈতিক ফায়দা লুটতে চায়। বিএনপির আন্দোলন মানে জাতীয় সম্পদ নষ্ট করা ও অগ্নিসন্ত্রাসের মাধ্যমে মানুষ হত্যা করা। যারা জনগণকে শত্রুজ্ঞান করে, তারা কখনো জনগণের আস্থা পায় না।’

মার্কিন ভিসা নীতি প্রকাশের পর বিএনপির নেতারা আনন্দে উদ্বেলিত হয়ে উঠেছিলেন বলে মন্তব্য করেন ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, সরকার এবং দেশের জনগণের মর্যাদাকে ভূলুণ্ঠিত করে নিজেদের অপরাজনৈতিক অভিলাষ বাস্তবায়নের উন্মাদনায় মেতে উঠেছিল বিএনপি। দলটির নেতারা এত দিন ভিসা নীতি নিয়ে রাজনীতির মাঠ গরম করেছেন। আর এখন বলছেন ‘কোনো দেশের ভিসা নীতিতে কী আছে, না আছে, দেখতে চাই না।’

বিএনপির সৃষ্ট ষড়যন্ত্রের জালে তারা নিজেরাই আটকে গেছে বলে দাবি করেন ক্ষমতাসীন দলের সাধারণ সম্পাদক। তিনি বলেন, বিএনপির সন্ত্রাস ও সহিংস রাজনীতির অপতৎপরতা কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য অর্জিত না হওয়ায় তারা এখন উল্টো সুরে কথা বলতে শুরু করেছে।

দেশের আইন-আদালতের ওপর সরকার কোনো হস্তক্ষেপ করে না বলে দাবি করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। তিনি বলেন, আইন তার নিজস্ব গতিতে চলে। আওয়ামী লীগের অনেক নেতা-কর্মী এমনকি দলের গুরুত্বপূর্ণ নেতা ও সংসদ সদস্যদের বিরুদ্ধেও মামলা রয়েছে এবং অনেকেই গ্রেপ্তার হয়েছেন, কারাবরণ করেছেন। সরকারের হস্তক্ষেপ থাকলে এমন হয় না।

ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি ভাড়াটে সাইবার–সন্ত্রাসীদের মাধ্যমে অপপ্রচারের অপকৌশল আরও তীব্রতর করেছে। দলটি জন্মলগ্ন থেকেই মিথ্যাচার ও অপপ্রচার চর্চা করে আসছে। তারা সত্যকে যেমন ভয় পায়, তেমনি দেশের জনগণ এবং সংবিধান ও আইন-আদালতকে ভয় পায়।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপি নেতারা বলছেন, ‘দেশ নাকি ক্রান্তিলগ্নে দাঁড়িয়ে আছে!’ আসলে বিএনপির রাজনীতিই আজ ধ্বংসের শেষ প্রান্তে। তাদের মিথ্যাচারের ফাঁপা বেলুন ইতিমধ্যে চুপসে যেতে শুরু করেছে। তারা সরকার বিরোধিতার নামে দেশবিরোধিতায় লিপ্ত। তারা চায় শুধু ক্ষমতা। তারা ক্ষমতা চায়, কিন্তু নির্বাচনে ভয় পায়। তাই তারা অনির্বাচিত সরকারের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে।