সুনামির মতো অভ্যুত্থান তৈরি করে সরকারকে সরাতে হবে : মির্জা আলমগীর

সুনামির মতো অভ্যুত্থান তৈরি করে সরকারকে সরাতে হবে : মির্জা আলমগীর

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আওয়ামী লীগের সবচেয়ে বড় সমস্যা তারা নিজেদের এই দেশের মালিক মনে করে, বিশেষ করে একজন ব্যক্তি এবং একটি পরিবার তা ভাবছে। এই অবস্থার পরিবর্তন করতে হলে বড় রকমের ঝাঁকুনি দরকার, যুদ্ধ দরকার। সুনামির মতো অভ্যুত্থান তৈরি করে সরকারকে সরাতে হবে।

বুধবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এক আলোচনায় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। 'নাগরিক সাংবিধানিক ও মানবাধিকার সুরক্ষা শীর্ষক' আলোচনা সভার আয়োজন করে গণঅধিকার পরিষদ।

মির্জা ফখরুল বলেন, পরিবর্তন যদি আনতে হয় তরুণরা ছাড়া সম্ভব নয়। আজকে লড়াই, সংগ্রাম , যুদ্ধ সবই করতে হবে তরুণদের। আমার কষ্ট হয়, যখন কোন নারী শিক্ষার্থী ধর্ষণের শিকার হয় তখন তার ক্যাম্পাস, সহকর্মী তরুণরা কোন আন্দোলন করে না। আমরা কিন্তু পাকিস্তান আমলে আন্দোলন করেছিলাম। কিন্তু এখনকার সে তরুণদের মধ্যে তা দেখি না।

তিনি বলেন, এক তরুণ কে জিজ্ঞেস করেছিলাম বড় হয়ে কি হতে চাও? তখন সে বলে রাজনীতিবিদ হতে চাই। কেন? এখানে অনেক টাকা! সত্যিই তাই বলে এখনকার সময়। কি পর্যায়ে গেছে তরুণদের ভাবনা।

আওয়ামী লীগ নেতাদের স্মরণ করিয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ১৭৩ দিন হরতাল করেছে আওয়ামী লীগ এই তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে, ১১ জনকে গান পাউডার দিয়ে মানুষ হত্যা করেছিল আওয়ামী লীগ।

তাদের কি একবার মনে পড়ে না। শিষ্টাচার বলতে আওয়ামী লীগের মধ্যে এমন কোন জিনিস নেই, তাদের বডি ল্যাঙ্গুয়েজ সন্ত্রাসীদের মতো। তারা আমাদের একক ভাবে গালি দেয়।

ওবায়দুল কাদেরের সমালোচনা করে মির্জা ফখরুল বলেন, তাদের তো পুরোটাই মিথ্যার ওপর, সব কিছু আওয়ামী লীগের মিথ্যার ওপর তৈরি করা। তাদের মন্ত্রীরা যা নির্দেশ দেয় তাই প্রকাশ করা হয়, এখানে এত উৎপাদন হয়েছে, দেখি সেটাই দেখানো হয়।

কোন কিছু অবশিষ্ট নেই তো, কোনটি বাকি আছে এমন প্রশ্ন রেখে মির্জা ফখরুল বলেন, দেখা যায় একজন শিক্ষামন্ত্রীর নামে জমি অধিগ্রহণের অভিযোগ উঠে, ব্যাংক থেকে বিশেষ বিবেচনায় ২২ হাজার কোটি টাকা ঋণ দেয়া হয়। এটা কোন দেশ। এই দেশে যদি আমরা পরিবর্তন না আনতে পারি, তাহলে এদেশের অস্তিত্ব বিপন্ন হয়ে যাবে।

গণ অধিকার পরিষদ এর সভাপতি নুরুল হক নুরের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম বীরপ্রতীক, বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, জাতীয় দলের চেয়ারম্যান এহসানুল হুদা জাতীয় পার্টির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব আহসান হাবিব লিংকন, এনপিপির চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট ফরিদুজ্জামান ফরহাদ প্রমুখ।