ভৈরব থেকে সিলেটে রোডমার্চ, পথে পথে জনতার ঢল

কঠোর কর্মসূচির জন্য প্রস্তুত থাকতে কর্মীদের আহবান বিএনপি নেতৃবৃন্দের

কঠোর কর্মসূচির জন্য প্রস্তুত থাকতে কর্মীদের আহবান বিএনপি নেতৃবৃন্দের

সরকার পতনের একদফা দাবিতে উত্তরাঞ্চলের দুই বিভাগের পর এবার ভৈরব থেকে সিলেট পর্যন্ত রোডমার্চ করেছে বিএনপি। গতকাল সকালে ভৈরব বাসস্ট্যান্ডে উদ্বোধনী সমাবেশের পর রোডমার্চ শুরু হয়ে গাড়ির বহর সিলেট পৌঁছতে সন্ধ্যা গড়িয়ে যায়। পথে মৌলভীবাজারের শেরপুরে বৃষ্টির কবলে পড়ে রোডমার্চের বহর। বৃষ্টি উপেক্ষা করে রোডমার্চের বহরকে স্বাগত জানান জেলার নেতারা। ১৬০ কিলোমিটার দীর্ঘপথে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিশ্বরোড, হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জ ও মৌলভীবাজারের শেরপুরে তিনটি পথসভা অনুষ্ঠিত হয়। রোডমার্চে নেতৃত্ব দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির দুই সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় ও আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। এ ছাড়া ভৈরবে উদ্বোধনী ও সিলেটে সমাপনী সমাবেশ সহ ৫টি স্পটে বক্তব্য দেন বিএনপির সিনিয়র এই দুই নেতা।

ভৈরব থেকে শুরু হওয়া রোডমার্চ শেষে রাত ৮টায় সিলেটের আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে আয়োজিত সমাপনী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে গয়েশ্বর বলেন, আমরা এতদিন গণতান্ত্রিকভাবে পদযাত্রা, সমাবেশ, রোডমার্চ করেছি। এসব কর্মসূচিতে সরকার একদফা দাবি না মানলে সামনে ধাপে ধাপে আরও কঠোর কর্মসূচি দিতে হবে। হরতাল-অবরোধের কঠোর কর্মসূচি দেয়ার হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি বলেন- হরতাল, অবরোধসহ কঠোর কর্মসূচির জন্য প্রস্তুত থাকুন।

এসব কর্মসূচি বাস্তবায়নে দলের নেতাকর্মীদের সর্বশক্তি নিয়োগ করার আহবান জানান তিনি।

বলেন, দেশের সর্বত্রই গণতন্ত্রবিরোধী কর্মকাণ্ড চলছে। এই কর্মকাণ্ড থেকে জাতিকে মুক্ত করতে গণতান্ত্রিক অধিকার ফিরিয়ে আনতে হলে আমাদের কঠোর আন্দোলনে যেতে হবে। তিনি বলেন, ভোট চোরদের মানুষ আর বিশ্বাস করে না। এখানে দিনের ভোট রাতে হয়। এজন্য আমরা স্বাধীনতার জন্য, গণতন্ত্রের জন্য দেশের মানুষকে বাঁচানোর জন্য, শান্তিশৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার জন্য লড়াই করছি। এ লড়াইয়ে জনগণের বিজয় হবেই। 

সমাবেশে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন- বাংলাদেশের মানুষ শেখ হাসিনার অধীনে নির্বাচনে যাবে না। নির্বাচন হতে হবে নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে। অংশগ্রহণমূলক, সর্বজন গ্রহণযোগ্য ও আন্তর্জাতিক মানের নির্বাচন হতে হবে। শেখ হাসিনার অধীনে নির্বাচন হলে গণতন্ত্র থাকবে না। এজন্য কথা একটাই; শেখ হাসিনার অধীনে কোনো নির্বাচন হবে না। যারা ভোট চুরি করেছে তাদের তালিকা করতে হবে। চোরদের সঙ্গে সরকারি কর্মকর্তা, আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা আছে তাদের বিচার করতে হবে। তিনি বলেন- তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠন হলে নির্বাচন কমিশন বাতিল করতে হবে। নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন করতে হবে। তবেই অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন হবে। 

সিলেটের আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে সমাপনী সমাবেশে বক্তব্য রাখেন নগর বিএনপির সভাপতি নাসিম হোসাইন। জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এমরান আহমদ চৌধুরী ও নগরের সাধারণ সম্পাদক ইমদাদ হোসাইনের পরিচালনায় সমাবেশে বক্তৃতা করেন ও উপস্থিত ছিলেন- বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা খন্দকার আব্দুল মুক্তাদির, সিলেট সিটি মেয়র ও চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আরিফুল হক চৌধুরী, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ড. ইনামুল হক চৌধুরী, বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. সাখাওয়াত হাসান জীবন, জেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল কাইয়ূম চৌধুরীসহ বিএনপির সিনিয়র নেতারা। সিলেটে বিকাল থেকে অঝোরধারায় বৃষ্টি ঝরছিল। বৃষ্টি উপেক্ষা করে মাঠে বিএনপি’র নেতাকর্মীরা অবস্থান নেন। এর আগে বিকাল ৩টা থেকে সরগরম হয়ে উঠে আলিয়া মাদ্রাসা মাঠ। সুনামগঞ্জ থেকে সাবেক এমপি ও বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক কলিম উদ্দিন মিলন ও কেন্দ্রীয় সদস্য মিজানুর রহমান চৌধুরীর নেতৃত্বে বিএনপির দুটি বড় মিছিল আসে। এ দুটি মিছিলে কয়েক হাজার নেতাকর্মী এসে সমাবেশে অংশ নেন। সিলেটের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীর নেতৃত্বে বিএনপির একটি মিছিল সমাবেশস্থলে যোগ দেয়। এর বাইরে নগরের ৪২টি ওয়ার্ডের নেতাকর্মীরা পৃথক পৃথক মিছিল নিয়ে সমাবেশস্থলে এসে যোগ দেন। এ ছাড়া জেলার ১৮টি ইউনিট থেকে বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা মিছিল নিয়ে আসেন। সিলেট জেলা ও মহানগর যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলের মিছিলটি নজর কেড়েছে সবার। সন্ধ্যায় রোডমার্চের মূল বহর আলিয়া মাদ্রাসার সমাবেশস্থলে পৌঁছার আগেই সুলতান সালাহউদ্দিন টুকুর নেতৃত্বে ভৈরব থেকে বিশাল বহর মাদ্রাসা মাঠে ঢুকে। এ ছাড়া স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি ও ছাত্রদলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নেতৃত্বে রোডমার্চের বহর সন্ধ্যার পর সমাবেশস্থলে এসে পৌঁছায়। এদিকে ১২ দলীয় জোটের নেতাকর্মী বিশাল মিছিল নিয়ে সমাবেশে যোগ দেন। বিকাল থেকে সিলেটে বৃষ্টি থাকলেও বৃষ্টি উপেক্ষা করে নেতাকর্মীরা সিলেটের আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে মিছিল নিয়ে এসে ঢুকেন। এ কারণে বিকাল থেকে খণ্ড খণ্ড মিছিলের নগরীতে পরিণত হয় নগরী। কেউ কেউ আসেন মোটরসাইকেল বহর নিয়ে। জেলা বিএনপি নেতা নুরুল হকের কোরআন তেলাওয়াতের মধ্যদিয়ে শুরু হওয়া সমাবেশে জাতীয় সংগীত পরিবেশন করেন জাসাসের নেতাকর্মীরা। এ সময় তারা কয়েকটি দেশাত্মবোধক গানও পরিবেশন করেন। গান পরিবেশনের সময় মাঠে থাকা নেতাকর্মীরা তাদের কণ্ঠেও কণ্ঠ মেলান। ওসমানীনগর বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা শেরপুরের উত্তর পাড়ে তাদের স্বাগত জানান। পরে রোডমার্চের বহরটি দক্ষিণ সুরমা হয়ে সিলেটে এসে পৌঁছে। বহরে শতাধিক গাড়ি নিয়ে নেতাকর্মীরা অংশ নেন। পথে পথে জেলা ও উপজেলা থেকে নেতাকর্মীরা গাড়ি নিয়ে এসে বহরে যোগ দেন।  

লোকারণ্য ভৈরব

রোডমার্চ শুরুর আগেই লোকারণ্য হয়ে পড়ে ভৈরব বাসস্ট্যান্ড এলাকা। নেতাকর্মীদের ঢলে উপচে পড়ে ওই এলাকা। কিশোরগঞ্জ ও ভৈরবের বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মী বাস, ট্রাক, মাইক্রোবাস, মোটরসাইকেল নিয়ে রোডমার্চে যোগ দেন। ভৈরবে উদ্বোধনী সমাবেশে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারকে পদত্যাগে বাধ্য করতে হরতাল-অবরোধসহ সব ধরনের কর্মসূচি করতে নেতাকর্মীদের প্রস্তুত থাকার আহবান জানান।

নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বিএনপির এই শীর্ষ নেতা বলেছেন, আমরা আগুন দিয়ে মানুষ মারি না, আমরা বাসে আগুন দিয়ে মানুষ পোড়াই না। আমরা তো পথচারীদের বস্ত্র হরণ করি না। আমরা এখনো হরতাল দেই নি। হরতাল দেয়ার দরকার আছে? অবরোধ দেয়ার দরকার আছে? আপনারা পালন করবেন? তিন প্রশ্নের উত্তরে নেতাকর্মীরা বলেন, ‘হ্যাঁ’। এ সময় গয়েশ্বর চন্দ্র বলেন, ঠিক আছে আপনাদের রায় পেলাম। আমরা হরতাল করি নাই, কিন্তু করবো না সেই প্রতিজ্ঞাও করিনি। জনগণের চাপের কারণে হরতাল অবরোধ যা যা করা দরকার, গণতান্ত্রিকপন্থায় এই অবৈধ সরকারকে মাটিতে বসিয়ে দেয়ার জন্য দল, দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষ থেকে সব ধরনের কর্মসূচি হবে। সেই জন্য আপনারা প্রস্তুতি গ্রহণ করুন। আমাদের এবারের আন্দোলন ডু অর ডাই। হয় মরবো নয়তো লড়বো। দেশের মানুষকে মুক্ত করবো, গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করবো এবং দেশের মানুষের মালিকানা ফেরত দেবো। 

আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, এই সরকারকে আমি সরকার বলি না- এরা একটি রেজিম। এদের প্রতি শুধুমাত্র বাংলাদেশের মানুষ নয়; বিদেশিদের আস্থা নেই। তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধের পরে সবচেয়ে বড় সংগ্রাম, এই মুক্তির সংগ্রামে আমাদের বিজয়ী হতে হবে। তিনি আরও বলেন, ইউরোপীয় ইউনিয়নের ২৭টি দেশ পর্যবেক্ষক পাঠাবে না, যেহেতু বাংলাদেশে নির্বাচনের কোনো পরিবেশ নেই। এর অর্থ হচ্ছে নিরপেক্ষ সরকার ব্যতীত বাংলাদেশে কোনো নির্বাচন হবে না। প্রত্যেক দিন নাটক করে তারা জনগণকে দেখাতে চায় তারা বিপদ কাটিয়ে উঠেছেন। 
বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ও কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি শরীফুল আলমের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী

সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বিএনপি’র ভাইস চেয়ারম্যান ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ফজলুর রহমান, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, হাবিব-উন নবী সোহেল, সাংগঠনিক সম্পাদক এমরান সালেহ প্রিন্স, যুবদল সভাপতি সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু প্রমুখ।

বিশ্বরোড মোড়ে মানুষের ঢল

সিলেট অভিমুখে রোডমার্চের বহর সকাল সাড়ে ১২টায় ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের সরাইলের বিশ্বরোড মোড় অতিক্রম করে। রোডমার্চকে কেন্দ্র করে বিশ্বরোড মোড়ে বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মী জড়ো হয়। জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও সাবেক মেয়র হাফিজুর রহমান মোল্লা কচি ও বিএনপি’র কেন্দ্রীয় কমিটির অর্থ বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার খালেদ মাহমুদ শ্যামলের নেতৃত্বাধীন একটি গ্রুপ লাল শালুক হোটেলের সামনে জড়ো হন। তাদের সঙ্গে জেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন ও সরাইলেরও অনেক কর্মী সমর্থক যোগ দেন। ওদিকে কুট্টাপাড়া মোড়ে জেলা বিএনপি’র আহ্বায়ক এডভোকেট আব্দুল মান্নান, সদস্য সচিব মো. সিরাজুল ইসলাম, সরাইল উপজেলা বিএনপি’র সভাপতি মো. আনিছুল ইসলাম ঠাকুর ও সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট নুরুজ্জামান লস্কর তপুর নেতৃত্বে বিএনপি’র আরেক গ্রুপ অবস্থান নেন। প্রখর রোদ উপেক্ষা করে সড়কের পাশে দাঁড়ায় হাজার হাজার মানুষ। গাড়িতে থেকেই পথসভায় বক্তব্য দেন গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। তিনি বলেন, আমরা আন্দোলনের মাধ্যমেই অবৈধ হাসিনা সরকারকে পদত্যাগে বাধ্য করবো। নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি আদায়ের মাধ্যমে দেশের মানুষের ভোটাধিকার গণতন্ত্র নিশ্চিত করবো। ওদিকে চান্দুরা এবং সাতবর্গ বাসস্ট্যান্ডে রোডমার্চকে কেন্দ্র করে বিএনপি’র নেতাকর্মীরা সমবেত হন। 

শায়েস্তাগঞ্জে পথসভা

সকাল থেকেই নতুন ব্রিজ এলাকায় মিছিল সহকারে জড়ো হতে থাকেন হবিগঞ্জ জেলা বিএনপির নেতাকর্মীরা। দুপুর আড়াইটার দিকে বিএনপি’র রোডমার্চের বহর এসে পৌঁছে শায়েস্তাগঞ্জে। পরে পথসভায় বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. সাখাওয়াত হাসান জীবন, কেন্দ্রীয় নেত্রী শাম্মী আক্তার শিপাসহ জেলা বিএনপি’র বিভিন্ন স্থরের নেতারা বক্তব্য রাখেন। 

শেরপুরে পথসভা

বিকাল ৬টার দিকে প্রচণ্ড বৃষ্টির মধ্যে মৌলভীবাজারের শেরপুর মুক্তিযোদ্ধা চত্বরে বিএনপির রোডমার্চ এসে পৌঁছায়। এ সময় জেলার নেতারা বৃষ্টি উপেক্ষা করে রোডমার্চকে স্বাগত জানান। মৌলভীবাজার জেলা বিএনপি আয়োজিত পথসভায় বক্তব্য রাখেন আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। জেলা বিএনপি’র সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য এম নাসের রহমানের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক ভিপি মিজানুর রহমান মিজানের সঞ্চালনায় পথসভায় বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় ও জেলা নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন। এর আগে বিকাল ৩টা থেকে বিএনপি’র রোডমার্চ ঘিরে জেলা বিএনপি’র নেতাকর্মীরা  জেলার ৭টি উপজেলা থেকে নানা স্লোগান সংবলিত প্ল্যাকার্ডসহ খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে শত শত নেতাকর্মী শেরপুরে সমাবেশে জড়ো হন। 

এদিকে ২৩শে সেপ্টেম্বর বরিশাল থেকে পটুয়াখালী, ২৬শে সেপ্টেম্বর খুলনা বিভাগে, ১লা অক্টোবর ময়মনসিংহ থেকে কিশোরগঞ্জ, ৩রা অক্টোবর ফরিদপুর বিভাগে রোডমার্চ ও ৫ই অক্টোবর কুমিল্লা থেকে চট্টগ্রাম পর্যন্ত রোডমার্চ করবে বিএনপি।