১১ দিন ধরে স্বজনরা খালেদা জিয়ার দেখা পাচ্ছেন না: মির্জা আলমগীর

১১ দিন ধরে স্বজনরা খালেদা জিয়ার দেখা পাচ্ছেন না: মির্জা আলমগীর

ঢাকা, ১১ জুলাই (জাস্ট নিউজ) : কারান্তরীণ বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে পরিবারের সদস্য বা তার দলের নেতারা ১১ দিন ধরে চেষ্টা করেও দেখা করতে পারছেন না বলে জানিয়েছেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

বুধবার সকালে দলের নয়াপল্টন কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির মহাসচিব এসব কথা বলেন।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, বেগম খালেদা জিয়াকে দীর্ঘ ১১ দিন তার পরিবারের সঙ্গে এবং কারো সঙ্গে দেখা করতে দেওয়া হচ্ছে না। এ বিষয়ে কারা কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলেও এটি নিয়ে তারা কোনো কথা না বলে কারাবিধির অজুহাত দেখাচ্ছে।

গত ১০ দিন পরিবার ও দলের পক্ষ থেকে বার বার যোগাযোগ করা হলেও কোনো সুরাহা হচ্ছে না। অথচ কারাবিধি অনুসারে, জেল সুপারই যথেষ্ট। কিন্তু জেল সুপারকে বললে তিনি বলেন, আইজি প্রিজনের কাছে যান। আইজি প্রিজনের কাছে গেলে তিনি বলেন, মন্ত্রীর কাছে যান। মন্ত্রীর কাছে গেলে বলেন, ১ নম্বর ব্যক্তির অনুমতি ছাড়া আমি কিছু করতে পারব না, যোগ করেন মির্জা আলমগীর।

মির্জা আলমগীর বলেন, বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করার জন্য যদি সরকারের প্রধানের কাছে অনুমতির জন্য যেতে হয়, তাহলে এটা কি আইনের শাসন? জেলকোড লঙ্ঘন করে বেগম খালেদা জিয়াকে তার পরিবার ও বন্ধু এবং রাজনৈতিক সহকর্মীর সঙ্গে দেখা করতে দিচ্ছে না। এটা মানবাধিকারের লঙ্ঘন। বেগম খালেদা জিয়াকে কারাগারে নেওয়ার জন্য বিভিন্ন মামলার ফাঁদ পাতা হয়েছে। আর এসব মামলার ফাঁদে ফেলে বেগম খালেদা জিয়াকে কারাগারে নেওয়া হয়েছে। এমন মামলা হাজার হাজার পেন্ডিং আছে। অথচ বেগম খালেদা জিয়ার জন্য আইন লঙ্ঘন করে আলাদা আদালত গঠন করে দ্রুত সময়ে তাকে সাজা দিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

মির্জা ফখরুল আরো বলেন, বেগম খালেদা জিয়াকে সাজা দেওয়ার মূল কারণ তাঁকে এবং বিএনপিকে বাইরে রেখে একতরফা নির্বাচন করে ক্ষমতা দখল দীর্ঘায়িত করা। কারণ, তিনি আজীবন গণতন্ত্রের জন্য সংগ্রাম করেছেন।

তিনি বলেন, মিথ্যা মামলায় বেগম খালেদা জিয়াকে কারাগারে রাখা হয়েছে। যদিও তিনি মূল মামলায় জামিন পেয়েছেন, কিন্তু অন্য মামলায় তার জামিন বিলম্বিত করা হচ্ছে। যাতে তাকে দীর্ঘদিন কারাগারে রাখা যায়।

সরকারের উদ্দেশে তিনি বলেন, আপনাদের শুভচিন্তার উদয় হোক। বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিন, চিকিৎসার ব্যবস্থা করুন। সংসদ ভেঙে দিয়ে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন দিন। না হলে জনগণের তুমুল জনরোষ থেকে রেহাই পাবেন না। ইতিহাস থেকে শিক্ষা গ্রহণ করুন।

(জাস্ট নিউজ/এমআই/১২৩২ঘ.)