ভোট জালিয়াতির মধ্যেও কামরানের সাথে সিলেটে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ে আরিফ

ভোট জালিয়াতির মধ্যেও কামরানের সাথে সিলেটে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ে আরিফ

ঢাকা, ৩০ জুলাই (জাস্ট নিউজ) : সিলেট সিটি করপোরেশন (সিসিক) নির্বাচনে ১৩৪টি কেন্দ্রের মধ্যে ১০৫টি কেন্দ্রের ঘোষিত ফলে বিএনপির মেয়র প্রার্থী আরিফুল হক চৌধুরী ও আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী বদর উদ্দিনের মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়ায়ের খবর পাওয়া গেছে।

ধানের শীষ প্রতীকে আরিফুল হক চৌধুরী পেয়েছেন ৬৯,৬৭৩ ভোট। অপরদিকে নৌকা প্রতীকে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী বদর উদ্দিন আহমদ কামরান পেয়েছেন ৭০,৮৯৪ভোট।

শুরুর দিকে পাওয়া ফলাফলে আরিফুল হক চৌধুরী কিছুটা এগিয়ে থাকলেও পরবর্তীতে অন্যান্য কেন্দ্রের ফলাফল আসার সঙ্গে সঙ্গে এ ব্যবধান কমতে শুরু করেছে।

এর আগে জালভোট, কেন্দ্র দখল আর নানা অনিয়ম অভিযোগের মধ্য দিয়ে সিলেটে সোমবার সকাল ৮ থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়ে চলে বিকাল ৪টা পর্যন্ত।

এদিকে সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনে এজেন্টদের বের করে দেয়া, কেন্দ্র দখলসহ নানা অনিয়মের ভোট বাতিল করে পুননির্বাচন চেয়েছেন বিএনপির মেয়র প্রার্থী আরিফুল হক চৌধুরী।

সোমবার দুপুর সোয়া ১টার দিকে রির্টানিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে এসে জাল ভোট, কেন্দ্র দখলসহ নানা অনিয়ম তুলে ধরেন তিনি।

পরে সাংবাদিকদের বলেন, ‘পুলিশের সামনেই কেন্দ্র দখল, ককটেল বিস্ফোরণ, কারচুপির ঘটনা ঘটছে, যা পুণ্যভূমি সিলেটকে কলঙ্কিত করেছে। এ ধরনের নির্বাচনে আমি বিজয়ী হলেও সেটি সুষ্ঠু বলে গ্রহণযোগ্য হবে না।’

সকাল ৮টা থেকে শুরু হওয়া এই নির্বাচন সকাল ১০টার পরপরই ব্যাপক অনিয়ম চোখে পড়ে। নগরীর পাঠানটুলা এলাকায় শাহজালাল জামেয়া ইসলামিয়া কামিল (এমএ) মাদরাসা, কাজী জালালউদ্দিন বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়, গাজী বুরহানউদ্দিন গরম দেওয়ান সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রসহ বেশ কিছু কেন্দ্রে বিএনপি ও জামায়াতের প্রার্থীর সমর্থকদের সঙ্গে আওয়ামী লীগের প্রার্থর সমর্থক ও পুলিশের দফা দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। সংঘর্ষের ফলে দুটি কেন্দ্র ভোটগ্রহণ বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।

সকাল পৌনে ১০টার দিকে কদমতলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ব্যালট পেপার ছিনতাইয়ের চেষ্টাকালে একজনকে আটক করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।

৫নং ওয়ার্ডে এক কাউন্সিলর প্রার্থীর সমর্থকরা খাসদবীর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে জালভোট দেয়ার চেষ্টাকে কেন্দ্র করে আধা ঘণ্টা ভোটগ্রহণ বন্ধ রয়েছে। ১২০টি সিল মারা ব্যালট বাক্সে ভরা হয়েছে এমন অভিযোগের প্রেক্ষিতে ভোটগ্রহণ বন্ধ রাখা হয়।

(জাস্ট নিউজ/একে/২০৫২ঘ.)