‘অভিনন্দন’ জানায়নি যুক্তরাষ্ট্র

‘বিরোধীদলের অংশগ্রহণ ইতিবাচক, অনিয়মে বিশ্বাসযোগ্যতা প্রশ্নবিদ্ধ, ইসিকে তদন্তের তাগিদ’

‘বিরোধীদলের অংশগ্রহণ ইতিবাচক, অনিয়মে বিশ্বাসযোগ্যতা প্রশ্নবিদ্ধ, ইসিকে তদন্তের তাগিদ’

ওয়াশিংটন থেকে বিশেষ সংবাদদাতা

বাংলাদেশে সদ্য সমাপ্ত নির্বাচনে ভোট কারচুপি ও অনিয়মের অভিযোগ তদন্তে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে নির্বাচন কমিশনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এছাড়া সহিংসতা পরিহারের জন্য সংশ্লিষ্ট সকল পক্ষকে আহ্বান জানিয়েছে দেশটি।

সোমবার যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্টের এক বিবৃতিতে ৩০ ডিসেম্বর সরকার নিয়ন্ত্রিত নির্বাচনের প্রতিক্রিয়ায় এ আহ্বান জানানো হয়।

নির্বাচনে সংগঠিত কারচুপির ঘটনাসমূহ ভোট অনুষ্ঠানের বিশ্বাসযোগ্যতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে বলে বিবৃতিতে বলেছে যুক্তরাষ্ট্র।

বিরোধী প্রার্থী এবং সমর্থকদের নির্বাচনে বাধা দেবার ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে যুক্তরাষ্ট্র জানিয়েছে, “হয়রানি, ভীতিকর পরিস্থিতি এবং সহিংস কর্মকান্ডের জন্যই নির্বাচনে বিরোধী দলের প্রার্থী এবং সমর্থকেরা স্বাধীনভাবে তাদের সভা-সমাবেশ করতে পারেনি, কোনো প্রচারণা চালাতে পারেনি। এসব ঘটনার জন্য যুক্তরাষ্ট্র উদ্বিগ্ন।”

নির্বাচনের দিন কারচুপি আর অনিয়মে ঘটনায় তীব্র অসন্তোষ ও উদ্বেগ প্রকাশ করে দেশটি বলেছে, “ভোটের দিনে সংগঠিত অনিয়মগুলোর কারণে অনেক ভোটার ভোট দিতে পারেননি। এ বিষয়টিতে আমরা উদ্বেগ প্রকাশ করছি।কারচুপির এসব বিষয় নির্বাচনের বিশ্বাসযোগ্যতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে।”

নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনকে নিরপেক্ষভাবে কার্যকর ভূমিকা রাখার তাগাদা দিয়ে বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সহিংসতা থেকে দূরে থাকতে সবপক্ষকে আন্তরিক হবার আহবান জানাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। একিসঙ্গে নির্বাচনকে নিয়ে কারচুপির যত অভিযোগ রয়েছে তা নিরসনে একটি কার্যকর ভূমিকা নিতে হবে নির্বাচন কমিশনকে।”

এতে বলা হয়, “বাংলাদেশের অগ্রযাত্রায় কাংখিত লক্ষ্য অর্জন করতে দেশটির সরকার এবং বিরোধীদলগুলোসহ সবাইকে নিয়েই যুক্তরাষ্ট্র এগিয়ে যেতে চায়।”

২০১৪ সালের একতরফা নির্বাচন বয়কট করার পর একাদশ নির্বাচনে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো ও ভোটারদের অংশ গ্রহণ করার বিষয়টিকে ইতিবাচক বলে বিবৃতিতে প্রশংসা করেছে যুক্তরাষ্ট।

এতে বলা হয়, বাংলাদেশ এবং তার গণতান্ত্রিক উন্নয়নের পথে সরকার ও বিরোধী সকল রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র অঙ্গাঅঙ্গিভাবে কাজ করতে চায়।

প্রসঙ্গত, বিতর্কিত নির্বাচনে বিজয়ী ক্ষমতাসীন দলকে ভারত এবং চীনের পক্ষ থেকে স্বাগত জানালেও অভিনন্দন জানায়নি যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা বিশ্ব।

একে/জিএস