খালেদা জিয়ার পরিস্থিতির উপর নজর রাখছে বৃটেন: দক্ষিণ এশিয়া ও জাতিসংঘ বিষয়ক মন্ত্রী

খালেদা জিয়ার পরিস্থিতির উপর নজর রাখছে বৃটেন: দক্ষিণ এশিয়া ও জাতিসংঘ বিষয়ক মন্ত্রী

বিশেষ সংবাদদাতা

বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে বৃটেন উদ্বিগ্ন রয়েছে উল্লেখ করে দেশটির দক্ষিণ এশিয়া, জাতিসংঘ ও কমনওয়েলথ বিষয়ক মন্ত্রী লর্ড তারিক আহমেদ বলেছেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াসহ বাংলাদেশের গ্রেফতারকৃতদের মানবাধিকার রক্ষার দাবিতে বৃটেন সর্বদা সোচ্চার থাকবে।

বাংলাদেশের প্রধান বিরোধী দলীয় নেতা এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার গ্রেফতার এবং শারীরিক অসুস্থতা প্রসঙ্গে সম্প্রতি বৃটিশ সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করে লেখা চিঠির আনুষ্ঠানিক জবাবে এভাবেই বৃটেনের অভিমত তুলে ধরেন মন্ত্রী লর্ড তারিক আহমেদ।চিঠির বরাত দিয়ে লন্ডন বাংলা ওয়েল ফেয়ার ট্রাস্টের চেয়ারম্যান খসরুজ্জামান খসরু জাস্ট নিউজকে জানান, গত বছরের ১৭ ডিসেম্বর বৃটেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বরাবর এই চিঠিটি পাঠান বৃটিশ এমপি ও প্রাক্তন ট্রেজারি মন্ত্রী স্টিফেন টিমস। আর দক্ষিণ এশিয়ার দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী হিসেবে চিঠির জবাব দেন লর্ড তারিক।

চিঠির শুরুতেই বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার গ্রেফতারের বিষয়টি উত্থাপন করার জন্য এমপি টিমসকে ধন্যবাদ জানান বৃটেনের দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক মন্ত্রী লর্ড তারিক। চিঠিতে তিনি বলেন, "বাংলাদেশে মানবাধিকার লংঘনের ঘটনায় বৃটেন উদ্বিগ্ন। ফরেন কমনওয়েলথ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অফিস-এর মানবাধিকার গুরুত্ব বিষয়ক দেশের তালিকায় বাংলাদেশের নাম রয়েছে। কারাগারে যাদের আটকে রাখা হয়েছে তাদের মানবাধিকার ইস্যুতে উদ্বেগের কথা আমরা বাংলাদেশ সরকারকে নিয়মিতভাবে জানিয়ে আসছি।"

বাংলাদেশ সরকার যেনো মানবাধিকার এবং আইনের শাসনের প্রতি সম্মান দেখায় সে ইস্যুতে বৃটেন তার সর্বাত্মক চাপ প্রয়োগ অব্যাহত রাখবে বলে জানান লর্ড তারিক।

বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াসহ সকলের মানবাধিকার রক্ষার তাগাদা দিয়ে বৃটিশ এই মন্ত্রী বলেন, "খালেদা জিয়াসহ বাংলাদেশে যারা আটক রয়েছে তাদের সঙ্গে সরকার যেনো আন্তর্জাতিক রীতির প্রতি শ্রদ্ধা রেখে মানবাধিকার সুরক্ষা করে। আটককৃতদের প্রতি আচরণ, বিচারব্যবস্থার নীতি এবং স্বাধীনতার বিষয়ে আমরা নিয়মিত সরকারের সাথে যোগাযোগ রাখছি।"

খালেদা জিয়ার সুচিকিৎসার বিষয়ে সরকারের নিকট প্রতিনিয়ত বৃটেন নিশ্চয়তা দাবি করে যাবে বলে চিঠিতে স্পষ্ট করে জানান দেন দক্ষিণ এশিয়াবিষয়ক মন্ত্রী লর্ড তারিক।

চিঠিতে গত নভেম্বর মাসে নিজের বাংলাদেশ সফর করে আসার বিষয়টি উল্লেখ করে লর্ড তারিক আরও বলেন, “বাংলাদেশে সফরকালে দেশটির কর্মকর্তা, সুশীল সমাজ এবং গণ্যমাণ্য ব্যক্তিদের সঙ্গে আমি কথা বলেছি এবং মানবাধিকার বিষয়ে গুরুত্বারোপ করেছি।

একটি স্থিতিশীল এবং গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ দেখতে চায় বৃটেন উল্লেখ করে চিঠিতে বলা হয়, উদ্বেগের বিষয়গুলো নিয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে যোগাযোগ অব্যাহত রাখবে বৃটেন।

এনএল/