যেখানে সেরা আরাফাত সানি

যেখানে সেরা আরাফাত সানি

 

মিরপুরে রংপুর রাইডার্সের বিপক্ষে ১৩৫ রান করেও পাঁচ রানে জিতেছিল রাজশাহী কিংস। বুধবার সিলেটে ঢাকা ডায়নামাইটসের বিপক্ষে ১৩৬ রান করে মেহেদী হাসান মিরাজের দল জিতল ২০ রানে। বিপিএলের শক্তিশালী দুই ব্যাটিং লাইনআপের বিপক্ষে এত কম রানের পুঁজি নিয়ে জিতে সবাইকে চমকে দিয়েছে তারুণ্যনির্ভর রাজশাহী।

মিরাজদের এ সাফল্য দুর্দান্ত বোলিং বিভাগের জন্যই। কাল এবারের বিপিএলে সবচেয়ে কৃপণ বোলিং ফিগারে ম্যাচসেরা হয়েছেন আরাফাত সানি। তার বোলিং ফিগার ৪-১-৮-৩! এবারের আসরে সেরা ইকোনমি রেটের বোলিংয়ে নিজেকে দারুণভাবে প্রমাণ করেছেন বাঁ-হাতি স্পিনার আরাফাত।

তিন পেসার মোস্তাফিজুর রহমান, ইসুরু উদানা, কামরুল ইসলাম রাব্বিসহ অফ-স্পিনার মেহেদী হাসান মিরাজকে নিয়ে রাজশাহীর বোলিং ইউনিট দারুণ শক্তিশালী। নিজেদের ওপর বিশ্বাস রয়েছে ২১ বছর বয়সী অধিনায়ক মিরাজেরও। তবে দলের ব্যাটিং নিয়ে কিছুটা চিন্তায় আছেন মিরাজ, ‘আমরা জানি আমাদের বোলিং বিভাগ অনেক ভালো। তবে আমাদের আরও রান করতে হবে। আগামী ম্যাচ থেকে আমরা আরও ২০ রান বেশি করার চেষ্টা করব।’

এবারের আসরে সেরা বোলিং ফিগারটা রংপুর অধিনায়ক মাশরাফি মুর্তজার। কুমিল্লার বিপক্ষে তিনি মাত্র ১১ রান দিয়ে নিয়েছিলেন চার উইকেট। চার উইকেট রয়েছে চিটাগং ভাইকিংসের রবি ফ্রাইলিঙ্ক (৪-০-১৪-৪), কুমিল্লার মেহেদী হাসান (৪-০-২২-৪), ঢাকার আলিস আল ইসলাম (৪-০-২৬-৪) এবং সিলেটের তাসকিন আহমেদেরও (৪-০-২৮-৪)।

এছাড়া সাত রান দিয়ে তিন উইকেট রয়েছে ঢাকার রুবেল হোসেনেরও। তবে রাজশাহীর বিপক্ষে তিনি করেছিলেন তিন ওভার। টি ২০ ক্রিকেটে আরাফাতের পাঁচ উইকেট থাকলেও চার ওভার বোলিং করে সেরা ইকোনমি রেট এটাই। এখন পর্যন্ত বিপিএলে রাজত্ব করছেন বোলাররাই। রাজশাহীর জয়ে এদিনও ভালো করেছেন মোস্তাফিজ। চার ওভারে এক উইকেট নিয়ে তিনি দিয়েছেন ১৯ রান।

আরাফাত এখন পর্যন্ত বিপিএলে সবচেয়ে কৃপণ বোলার। কোনো রান না দেয়ার রেকর্ড রয়েছে তার। ২০১৬ সালের বিপিএলে রংপুর রাইডার্সের হয়ে খুলনা টাইটানসের বিপক্ষে ২.৪ ওভার (১৬ বল) বোলিং করেছিলেন তিনি। সেবার কোনো রানই দেননি। উইকেট নিয়েছেন তিনটি। যদিও ওই ম্যাচে তিন ওভার বোলিং করে ১২ রান দিয়ে চার উইকেট নেন শহীদ আফ্রিদি।

বিপিএলে আরাফাত সানির পর সেরা ইকোনমি রেট (১.০০) আফগান স্পিনার মোহাম্মদ নবির। ২০১৬ সালেই চিটাগং ভাইকিংসের হয়ে ঢাকা ডায়নামাইটসের বিপক্ষে দুই ওভারে দুই রান দিয়ে এক উইকেট নিয়েছিলেন তিনি। ১.২৫ ইকোনমি রেটে ২০১৫ সালে বোলিং করেছিলেন আফ্রিদি। সিলেট সুপার স্টারের হয়ে বরিশাল বুলসের বিপক্ষে পাঁচ রানে দুই উইকেট নিয়েছিলেন তিনি।

সংক্ষিপ্ত স্কোর

রাজশাহী কিংস ১৩৬/৬,

২০ ওভারে (শাহরিয়ার নাফীস ২৫, মার্শাল আইয়ুব ৪৫, রায়ান টেন ডেসচাট ১৬, জাকির হাসান ২০। সুনীল নারাইন ৩/১৯)।

ঢাকা ডায়নামাইটস ১১৬/৯, ২০ ওভারে (আন্দ্রে রাসেল ১১, রনি তালুকদার ১৪, সাকিব আল হাসান ১৩, কিয়েরন পোলার্ড ১৩, নাঈম শেখ ১৭, নুরুল হাসান সোহান ২১। মেহেদী হাসান মিরাজ ২/১৮, আরাফাত সানি ৩/৮)।

ফল : রাজশাহী কিংস

২০ রানে জয়ী।

ম্যান অব দ্য ম্যাচ : আরাফাত সানি (রাজশাহী)।

***

সিলেট সিক্সার্স ১৮৭/৫, ২০ ওভারে (লিটন দাস ৭০, সাব্বির রহমান ২০, ডেভিড ওয়ার্নার ৬১*, নিকোলাস পুরান ২৬। শফিউল ইসলাম ৩/৩১)।

রংপুর রাইডার্স ১১৪/৪, ১৩ ওভারে (ক্রিস গেইল ৭, রাইলি রুশো ৫৮, মোহাম্মদ মিঠুন ব্যাটিং ৩৪, মাশরাফি মুর্তজা ব্যাটিং ৭। মেহেদী হাসান মিরাজ ২/২১)।

রংপুরের আরও ৭৪ রান প্রয়োজন ৪২ বলে।

এমজে/