সেমিফাইলে যেতে হলে টাইগারদের যা করতে হবে

সেমিফাইলে যেতে হলে টাইগারদের যা করতে হবে

বিশ্বকাপের গুরুত্বপূর্ণ একটি পরিস্থিতিতে আগামীকাল বৃহস্পতিবার নটিংহ্যামের ট্রেন্টব্রিজে মুখোমুখি হতে যাচ্ছে অস্ট্রেলিয়া ও বাংলাদেশ। অস্ট্রেলিয়া বর্তমান চ্যাম্পিয়ন। বড় কথা হচ্ছে, বিশ্বকাপে সবচেয়ে কঠিন প্রতিপক্ষের নাম অজিরা।

বাংলাদেশের শুধু একটি মাত্র জয় পেয়েছে তাদের বিপক্ষে। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সে জয়টি ছিল ২০০৫। নটিংহ্যাম প্রায় টনটনের মতো অনেকটা। বৃষ্টির হালকা সম্ভাবনা রয়েছে। পাঁচ ম্যাচে টাইগারদের পয়েন্ট পাঁচ। সেমিতে যেতে হলে চার ম্যাচে আরও পাঁচ পয়েন্ট প্রয়োজন মাশরাফীদের।

এই ম্যাচ নিয়ে একটু পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করা যাক-

বৃষ্টি
আগামীকাল হালকা একটু বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে সকাল ১০টার দিকে। এছাড়া সারা দিন প্রায় রোদ রয়েছে। সেজন্য আজকের ম্যাচ নিয়ে তেমন শঙ্কা নেই। অবশ্য আজ বুধবার ও গতকাল মঙ্গলবার এখানে প্রচুর বৃষ্টিপাত হয়েছে।

চেনা ভেন্যু
বাংলাদেশ এখানে আগামীকাল পঞ্চম ম্যাচ খেলতে যাচ্ছে। এখানে বাংলাদেশ দুটি ওয়ানডে ও দুটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছে। মাশরাফী ২০১০ সালে অধিনায়কও ছিলেন একটি ওয়ানডে ম্যাচে। টনটনে প্রথমবার খেলেছে বাংলাদেশ। নটিংহ্যামে মোটেও নতুন নয় মাশরাফীদের জন্য।

একই একাদশ
লিটন দাসের অমন দুর্দান্ত ইনিংসের পর বাংলাদেশ দল অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গেও একই থাকবে। এর মানে পরিবর্তন আসবে না। মোস্তাফিজুর, সাইফউদ্দিন উইকেটে পাচ্ছেন। মাশরাফিও আগের ম্যাচে ছন্দে ফিরেছেন। তামিম ভালোই করেছেন। ফলে একই একাদশ দেখা যেতে পারে যদি কোনো ইনজুরি না থাকে।

শর্ট বলে সমস্যা...
ওয়েস্ট ইন্ডিজ, ইংল্যান্ড ও দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে পেসের ঢেউ সামলানোর পর বাংলাদেশ এখন অস্ট্রেলিয়াকে ভয় পাচ্ছে না। প্যাট কামিন্স, স্টার্কে সতর্ক থাকবে বাংলাদেশ।

ট্রেন্টব্রিজ
এখানে প্রায় ১৭ হাজার মানুষ খেলা দেখতে পারে। ডিপ ফাইন লেগ, ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্ট ও স্ট্রেটে টনটনের চেয়ে একটু বড়। প্রথমে ব্যাট করলে ৩৫০ রান সেফ জোন হতেও পারে আবার নাও পারে। তাই টস একটা বড় ভূমিকা রাখবে এই ম্যাচে।

পয়েন্ট টেবিল
বাংলাদেশ ৫ ম্যাচে ৫ পয়েন্ট পেয়েছে। সেমিফাইনালে যেতে আরও প্রয়োজন  ৪ ম্যাচে ৫ পয়েন্ট। বাংলাদেশের পরের ম্যাচগুলো আফগানিস্তান, ভারত ও পাকিস্তানের সঙ্গে। বাংলাদেশ অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে দিলে নতুন দিগন্ত খুলে যেতে পারে। অস্ট্রেলিয়া এই বিশ্বকাপে একটি ম্যাচই হেরেছে। আর সেটা ভারতের কাছে।

ব্যাটিং উইকেট
এই মাঠে গত বছর ইংল্যান্ড অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ৪৮১ রান তুলেছিল। রানের উৎসব হবে। বিশ্বকাপ বলে কথা। আগের ম্যাচটিতে বাংলাদেশ ৩২২ রান তাড়া করেছে। আবার ৫১ বল হাতে রেখে জয়। এটা অনেক বড় ব্যাপারই বটে। আত্মবিশ্বাস কাজে লাগতে পারে।