আজ মুখোমুখি হচ্ছে ইংল্যান্ড-অস্ট্রেলিয়া

আজ মুখোমুখি হচ্ছে ইংল্যান্ড-অস্ট্রেলিয়া

ক্রিকেট বিশ্বের সবচেয়ে বড় আসর কি? উত্তরটা সহজ। অবশ্যই প্রথমে ৫০ ওভারের বিশ্বকাপের নামই আসবে। যদিও, ইংল্যান্ড কিংবা অস্ট্রেলিয়ার কিছু কিছু ভক্ত এই উত্তরের বিরোধীতা করতে পারেন। কারণ, ক্রিকেটের লড়াইয়ে সবার ওপরে যে তারা রাখেন অ্যাশেজকে। ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়ার মুখোমুখি লড়াইয়ের চেয়ে আর কোনো ম্যাচ নিয়েই তারা খুব একটা মাথা ঘামান না।

এবার সেই ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়া লর্ডসে মুখোমুখি হতে যাচ্ছে বিশ্বকাপের মঞ্চে। ক্রিকেটের মাঠে যুদ্ধের আমেজটা তাই এবার অন্য যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি। নিজেদের মাঠে খেলা হওয়ার পরও এই লড়াইয়ের আগে ইয়ন মরগ্যানের দলই বেশি চাপে থাকবে। কারণ, ছয় ম্যাচে চার ও দুই হারে ইংল্যান্ডের পয়েন্ট এখন আট। ফেবারিটের তকমা নিয়ে টুর্নামেন্টে আসা দলটি এখনো শেষ চার নিশ্চিত করতে পারেনি।

এর চেয়েও বড় ব্যাপার হলো সর্বশেষ ম্যাচে আন্ডারডগ হিসেবে টুর্নামেন্ট খেলতে আসা শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে হেরে গিয়ে মানসিক ভাবেও খানিকটা বিপর্যস্ত আছে স্বাগতিকরা। ফলে অন্যদিকে, অস্ট্রেলিয়া কিছুটা হলেও নির্ভার। দারুণ ছন্দে থাকা দলটি ছয় ম্যাচে পাঁচটি জয় নিয়ে পেয়ে গেছে ১০ পয়েন্ট। ফলে, সেমিফাইনালে ওঠার পথে অ্যারন ফিঞ্চের দলের আর খুব বেশি বাঁধা নেই।

এই ম্যাচে তো বটেই, সাবেক অস্ট্রেলিয়ান অধিনায়ক মাইকেল ক্লার্ক মনে করেন বিশ্বকাপ জয়ের জন্যই অস্ট্রেলিয়ার ‘এক্স ফ্যাক্টর’ হতে পারেন ডেভিড ওয়ার্নার। ২০১৫ সালে সর্বশেষ এই ক্লার্কের অধীনেই বিশ্বকাপ জিতেছিল অস্ট্রেলিয়া। তিনি বলেন, ‘ওয়ার্নার অতিমানবীয় একজন খেলোয়াড়। ওর কাছ থেকে এমন ভিন্ন কিছুই আশা করছিলাম আমি। ও বড্ড পাগলাটে। ও দলের এক্স ফ্যাক্টর। অস্ট্রেলিয়া যদি এবারের বিশ্বকাপ জিততে পারে তাহলে ওয়ার্নারই হবেন সর্বোচ্চ রান সংগ্রহকারী। চাইলে উল্টো ভাবেও বলা যায়। ওয়ার্নার সর্বোচ্চ রান সংগ্রহকারী হলে বিশ্বকাপ জিতে যাবে অস্ট্রেলিয়া।’

ইংল্যান্ডে খেলতে এসে যদিও দর্শকদের দুয়োধ্বনির মুখোমুখি প্রায় রোজই হতে হচ্ছে ওয়ার্নারকে। দুয়ো পাওয়ার তালিকাতে আছেন স্টিভেন স্মিথও। এই দু’জনই বল টেম্পারিংয়ের দায়ে এক বছর আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে নিষিদ্ধ ছিলেন। বিশ্বকাপ চলাকালেই তাদের পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন ভারতীয় অধিনায়ক বিরাট কোহলি। সমর্থকদের উচিত ক্রিকেটারদের পাশে থাকা—এমন মন্তব্যও করেছেন তিনি।

যদিও, সমর্থকরা কি করবেন, সেটার দায়-দায়িত্বটা দর্শকদের ওপরই ছেড়ে দেওয়া উচিত বলে মনে করছেন ইংল্যান্ডের ওপেনার জনি বেয়ারস্টো।

দ্য টেলিগ্রাফ পত্রিকার এক কলামে তিনি লিখেছেন, ‘আমি পড়লাম অস্ট্রেলিয়ার কোচ জাস্টিন ল্যাঙ্গার ও বিরাট কোহলি সমর্থকদের দুয়ো না দিতে অনুরোধ করেছেন। কিন্তু, এরপরও কি এসব থেমেছে? সমর্থকরা তাই করবেন, যেটা তারা চান। বিশেষ করে অ্যাশেজেও তো ওরা এমনই করে। এই ব্যাপারে সমর্থকদের কোনো রকম অনুরোধ করাও ঠিক না বলে মনে করি আমি।’

ম্যাচটাকে চাইলে অ্যাশেজের পূর্ব প্রস্তুতি হিসেবেও দেখতে পারে দু’দল। কারণ এই বিশ্বকাপ শেষেই আগামী আগস্ট থেকে শুরু হবে অ্যাশেজের মহারণ!

এমজে/