বেশি গোল হজমে আক্ষেপ জিকোর, কোচের প্রশংসা

বেশি গোল হজমে আক্ষেপ জিকোর, কোচের প্রশংসা

নেপালের বিপক্ষে এক ম্যাচ খেলার অভিজ্ঞতা নিয়ে মুখোমুখি হয়েছিলেন আকরাম আফিফ, আল ময়েজ আলীদের মতো এশিয়ার অন্যতম সেরা ফরোয়ার্ডদের। আকরাম-ময়েজ আলীরা দুইবার করে পরাস্ত করেছেন আনিসুর রহমান জিকোকে। আর একবার অভিজ্ঞ আব্দুল আজিজ। ম্যাচ শেষে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লেখা পোস্টে হারের ব্যবধান নিয়ে আক্ষেপ করেছেন বাংলাদেশ গোলরক্ষক। ২৩ বছর বয়সী এই গোলরক্ষকের অসাধারণ নৈপুণেই হারের ব্যবধান থেকেছে ৫-০। প্রতিযোগিতামূলক অভিষেক ম্যাচে আলো ছড়িয়ে জিকো পেয়েছেন কোচের প্রশংসাও।

এক নম্বর গোলরক্ষক আশরাফুল ইসলাম রানাকে বসিয়ে একাদশে জিকোকে সুযোগ দেন কোচ জেমি ডে। ম্যাচের আগে চমক হয়ে আসা এই পরিবর্তন নিয়ে ফুটবলপ্রেমীদের আগ্রহ ছিল বেশ। প্রথম গোল হজমের পর ৩১তম মিনিটে আকরাম আফিফের শট পা দিয়ে ঠেকান।

৫৫তম মিনিটে ডিফেন্ডার রিয়াদুল রাফি ডিবক্সে বল হারালে সেখান থেকে শট নেন আলাদিন। নিশ্চিত গোল ঠেকিয়ে দেন কর্ণারের বিনিময়ে। ৭২ মিনিটে আল ময়েজ আলীর পেনাল্টি শট প্রায় ঠেকিয়েই দিচ্ছিলেন। গত এশিয়ান কাপের সর্বোচ্চ গোলদাতার শটে হাত লাগালেও গতির কাছে পরাস্ত লাল-সবুজ গোলরক্ষক।

ডিফেন্ডারদের বিবর্ণ পারফরমেন্সে তেকাঠির নীচে জিকোকে মুখোমুখি হতে হয়েছে ৩৬ শটের। প্রতি আড়াই মিনিট অন্তর একটি করে শট নিয়েছে কাতারের ফুটবলাররা। এর অর্ধেকই ছিল লক্ষ্যে। ১২টি সেভ করেছেন জিকো। তবুও বড় হার ঠেকাতে পারেননি। ম্যাচ শেষে আক্ষেপ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগম্যাধমে দেয়া পোস্টে বসুন্ধরা কিংস গোলরক্ষক লিখেছেন, ‘জাতীয় দলের হয়ে এটা আমার দ্বিতীয় ম্যাচ। আমার জন্য অনেক শেখার একটা ম্যাচ ছিল এটা। আমি সমর্থকদের কাছে দুঃখ প্রকাশ করছি অপ্রত্যাশিত ফলাফলের জন্য। আমার উপর আস্থা রাখায় টিম ম্যানেজমেন্ট ও সতীর্থদের কাছে আমি কৃতজ্ঞ।’

অভিজ্ঞ আশরাফুল রানা থাকলেও জিকোর উপর আস্থা রাখেন জেমি ডে। হারের ব্যবধান নিয়ে খুশি না হলেও জিকোর পারফরমেন্সে সন্তুষ্টি বাংলাদেশ কোচের। তিনি বলেন, ‘জিকোকে খেলানোর সিদ্ধান্ত ঠিক ছিল। এটা তার (প্রতিযোগিতামূলক) প্রথম আন্তর্জাতিক ম্যাচ। সে বিশ্বমানের এবং অসাধারণ কিছু সেভ করেছে। হারের ব্যবধানটা ৪-০ হলে ঠিক ছিল।’

এমজে/