চট্টগ্রাম টেস্টে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে জয়ের জন্য ৩৯৫ রানের টার্গেট দিয়েছে বাংলাদেশ। দ্বিতীয় ইনিংসে ৮ উইকেটে ২২৩ রান করার পর ইনিংস ঘোষণা করে বাংলাদেশ। প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশ করেছিল ৪৩০ রান। ওয়েস্ট ইন্ডিজ প্রথম ইনিংসে করেছিল ২৫৯। সব মিলিয়ে বাংলাদেশের লিড দাঁড়ায় ৩৯৪ রান। জিততে হলে দেড় দিনে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে করতে হবে ৩৯৫ রান। চতুর্থ ইনিংসে যা খুবই কঠিন যেকোন দলের জন্যই।
গতকাল শুক্রবার ম্যাচের তৃতীয় দিন শেষে বাংলাদেশের দ্বিতীয় ইনিংসে সংগ্রহ ছিল ৩ উইকেটে ৪৭ রান। শনিবার ম্যাচের চতুর্থ দিনে বাংলাদেশ ৮ উইকেটে ২২৩ রানে করে ইনিংস ডিক্লিয়ার।
আগের দিন বাংলাদেশের হয়ে অপরাজিত ছিলেন মুমিনুল হক ও মুশফিকুর রহীম। শনিবার মুশফিকুর রহীম সাজঘরে ফেরেন মাত্র ১৮ রান করে। তবে প্রিয় গ্রাউন্ডে নিজের নামের সুবিচার করেছেন মুমিনুল হক সৌরভ। করেন দারুণ এক সেঞ্চুরি। টেস্টে মুমিনুলের এটি দশম সেঞ্চুরি। এর মধ্যে সাতটিই হলো চট্টগ্রামে। সবচেয়ে বড় রেকর্ড, তামিমকে ছাড়িয়ে টেস্টে বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ সেঞ্চুরি মুমিনুলের। এতদিন নয়টি সেঞ্চুরি করে তামিমের সাথে যৌথভাবে ছিলেন তিনি। মুমিনুল এখন এক নম্বরে, দুইয়ে তামিম।
১১৭ ইনিংস খেলে তামিমের ৯ সেঞ্চুরি। মুমিনুলের ১০টি হয়ে গেল ৭৬ ইনিংসেই। সেঞ্চুরি পেরোনোর পর আরেকটি মাইলফলকও অর্জন করেন মুমিনুল। ১১৪ রানে পূর্ণ হয় তার টেস্ট ক্যারিয়ারের ৩ হাজার রান। এখানে তিনি স্পর্শ করেন তামিমের রেকর্ড। বাংলাদেশের হয়ে দ্রুততম ৩ হাজার রানের রেকর্ড এখন যৌথভাবে দুজনের, ৭৬ ইনিংসে।
এই মাঠে প্রথম ছয়বার ফিফটি ছুঁয়ে প্রতিটিকেই সেঞ্চুরিতে রূপ দিয়েছিলেন মুমিনুল। পারেননি শুধু সবশেষ টেস্টে আফগানিস্তানের সাথে। এবার ঠিকই করলেন সেঞ্চুরি।
পঞ্চম উইকেট জুটিতে লিটন দাসের সাথে ১৩৩ রান যোগ করেন দুজন। এই জুটিই দলকে চার শ’ রানের লিড এনে দেন। ১১২ বলে ৬৯ রান করে ফেরেন লিটন। দলীয় রান তখন ২০৬। লিটনের বিদায়ের পরপরই উইকেট পড়তে থাকে বাংলাদেশের।
দলীয় ২১৪ রানের মাথায় বিদায় নেন অধিনায়ক মুমিনুল হক। গ্যাব্রিয়েলের বলে রোচের হাতে ক্যাচ দেয়ার আগে তিনি করে যান ১৮২ বলে ১১৫ রানের ঝলমলে ইনিংস। তার ইনিংসে ছিল ১০টি চারের মার।
মুমিনুলের বিদায়ের পর দ্রুতই সাজঘরে ফেরেন তাইজুল (৩) ও মিরাজ ৭)। সেই ফাকে ইনিংস ঘোষণা করে বাংলাদেশ। বল হাতে উইন্ডিজের হয়ে তিনটি করে উইকেট নেন কর্নওয়াল ও ওয়ারিক্যান। দুটি উইকেট পান পেসার গ্যাব্রিয়েল।
এমজে/