ইসরায়েলি প্রতিপক্ষ দেখে অলিম্পিক থেকে সরে গেলেন অ্যাথলেট

ইসরায়েলি প্রতিপক্ষ দেখে অলিম্পিক থেকে সরে গেলেন অ্যাথলেট

জেতা নয়, অংশগ্রহণই বড় কথা। এই আপ্তবাক্য মানা অলিম্পিকের আরেকটি উদ্দেশ্য আছে। আর সেটা হলো জাতি, ধর্ম, বর্ণের ভেদাভেদ ভুলিয়ে দেওয়া। খেলার মাঠের এই সম্প্রীতি বিশ্বে সর্বক্ষেত্রে ছড়িয়ে দেওয়ার জন্যই আয়োজিত হয় অলিম্পিক। কিন্তু মধ্যপ্রাচ্য সংকট অলিম্পিকের সে চেতনার চেয়ে বড় হয়ে উঠেছে।

টোকিও অলিম্পিক থেকে নাম কাটিয়ে নিয়েছেন আলজেরিয়ান জুডোকা ফেথি নুরিন। কারণ, তাঁর সম্ভাব্য প্রতিপক্ষ ছিলেন ইসরায়েলের এক জুডোকা। ইসরায়েলের কারও মুখোমুখি হওয়ার চেয়ে অলিম্পিক থেকে নাম কাটিয়ে নেওয়াটাই শ্রেয় মনে হয়েছে ফেথি নুরিনের কাছে!

জুডোর ৭৩ কেজির শ্রেণিতে বিশ্বের ৯ নম্বর তারকা নুরিন। আগামী সোমবার প্রথম রাউন্ডে ম্যাটে নামার কথা তাঁর। সেখানে তাঁর প্রতিপক্ষ সুদানের মোহামেদ আবদালরাসুল। সে ম্যাচে জিতলে পরের রাউন্ডে নুরিনের প্রতিপক্ষ হতেন ইসরায়েলের তোহার বাটবাল। প্রথম রাউন্ডে বাই পেয়ে যাওয়ায় এরই মধ্যে দ্বিতীয় রাউন্ডে উঠে গেছেন বাটবাল। র‍্যাঙ্কিংয়ে ৬ নম্বরে থাকা বাটবালের মুখোমুখি হওয়ার চেয়ে অলিম্পিক থেকে সরে যাওয়াটাই ভালো মনে হচ্ছে নুরিনের।

আলজেরিয়ান এক টিভিকে নুরিন বলেছেন, ‘অলিম্পিকে আসতে অনেক কষ্ট করেছি, কিন্তু ফিলিস্তিনের বিষয়টি এ সবকিছুর চেয়ে অনেক বড়।’ এটাও জানিয়েছেন, তাঁর এ সিদ্ধান্তই ‘চূড়ান্ত’।

নুরিনের এভাবে সরে যাওয়া এই প্রথম নয়। ২০১৯ বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপেও বাটবালের সঙ্গে ম্যাচ পড়েছিল নুরিনের। সেবারও নাম কাটিয়ে নিয়েছিলেন নুরিন। অলিম্পিকেও একই কাণ্ড ঘটালেন আলজেরিয়ান এই জুডোকা। এ ব্যাপারে তাঁর কোচ আমের বেন ইয়াকলিফ বলেছেন, ‘ড্রয়ের ভাগ্যটা ভালো হয়নি আমাদের। একজন ইসরায়েলি প্রতিপক্ষ পেয়েছি এবং এ কারণে আমাদের সরে যেতে হলো। আমরা সঠিক সিদ্ধান্তই নিয়েছি।’

আন্তর্জাতিক জুডোতে এমনটা নৈমিত্তিক ঘটনা হয়ে উঠছে। এর আগে ইরানকে চার বছরের জন্য নিষিদ্ধ করেছে আন্তর্জাতিক জুডো ফেডারেশন। কারণ, এক ইরানি জুডোকা বলেছিলেন, পরের রাউন্ডে যেন ইসরায়েলি জুডোকার সঙ্গে খেলতে না হয়, সেটা নিশ্চিত করতে ম্যাচ হারতে বাধ্য হয়েছিলেন তিনি। ২০২৩ সাল পর্যন্ত জুডোতে নিষিদ্ধ ইরান দল। ইরান ছাড়া মিসরও ইসরায়েলের খেলোয়াড়দের সঙ্গে খেলতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে আগে।