অধ্যাপক ডা. গোবিন্দ চন্দ্র দাস

শিশুর অ্যাজমা হলে কী করবেন?

শিশুর অ্যাজমা হলে কী করবেন?

ঢাকা, ২৪ সেপ্টেম্বর (জাস্ট নিউজ) : অধিকাংশ অভিভাবকের ধারণা বড় হলে বাচ্চার অ্যাজমা এমনিতেই সেরে যাবে। বাস্তবতা- ছোট থেকেই অ্যাজমার চিকিৎসা না হলে বড় হলে বা সাঁতার শেখালে শিশুর অ্যাজমা সেরে যায় না।

অধিকাংশ ক্ষেত্রে চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে না থাকলে অ্যাজমা ক্রনিক হয়ে সারা জীবন বয়ে বেড়াতে হয়। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক পারিবারিক ইতিহাস ও অন্যান্য লক্ষণ দেখে বুঝতে পারেন শিশুর অ্যাজমা সেরে যাবে কিনা।ইনহেলার একবার শুরু করলে সারা জীবন ব্যবহার করতে হয়।

বাস্তবতা- চিকিৎসক ব্যবস্থাপত্র দিলেও অনেক অভিভাবক শিশুকে ইনহেলার দিতে চান না। তারা মনে করেন এটা শেষ চিকিৎসা এবং একবার ব্যবহার শুরু করলে সারা জীবন করতে হয়।

প্রকৃতপক্ষে ইনহেলার অ্যাজমার সবচেয়ে কার্যকরী চিকিৎসা, এটি সরাসরি শ্বাসতন্ত্রে কাজ করে। ফলে অন্যান্য ওষুধ কম লাগে ও অল্প সময়েই কাজ হয়। সর্বোপরি পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া কম। শিশুদের স্পেসারের মাধ্যমে ইনহেলার নিতে হয়।

অ্যালার্জি থেকে কী অ্যাজমা হয়?
বাস্তবতা- অ্যাজমা অ্যালার্জিজনিত রোগ, অ্যালার্জি দ্রব্যাদি পরিহার করে চলতে পারলে সুফল পাওয়া যায়। পুরাতন ধূলাবালি ও ঘরের লেপ-তোশকের মাইট অ্যালার্জি ছড়ায়।

অ্যালার্জি ভ্যাকসিন কী কার্যকরী?
বাস্তবতা- বিশ্বের অধিকাংশ দেশে অ্যালার্জি ভ্যাকসিন বা ডিসেনসিটাইজেশনের মাধ্যমে অ্যাজমার চিকিৎসা দিয়ে সুফল পাওয়া যাচ্ছে।

অধ্যাপক ডা. গোবিন্দ চন্দ্র দাস, অ্যাজমা ও অ্যালার্জি রোগ বিশেষজ্ঞ, দি অ্যালার্জি ও অ্যাজমা সেন্টার, পান্থপথ, ঢাকা।

(জাস্ট নিউজ/এমআই/০৯০৩ঘ.)