বেফাঁস মন্তব্যে আলোচিত-সমালোচিত হবার পর গণমাধ্যম নিয়ে আবারো রাগ উগরে দিলেন যুক্তরাষ্ট্র প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প। নিয়মিত ব্রিফ্রিংয়ের প্রয়োজনীয়তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন তিনি।
শনিবারের টুইটে ক্ষোভের চরম বহিঃপ্রকাশ ঘটিয়েছেন ট্রাম্প। বলেছেন নিজের সময় বা শ্রম পাওয়ার যোগ্য নয় গণমাধ্যম। তারা সত্য বা তথ্য সঠিকভাবে উপস্থাপন করে না।
বৃহস্পতিবার আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে করোনা প্রতিরোধে ইনজেকশনের মাধ্যমে শরীরে জীবাণুনাশক প্রবেশ করানোর পরামর্শ দিয়ে বিশ্বজুড়ে সমালোচনার মুখে পড়েন ট্রাম্প। এ খবর দিয়েছে বিবিসি।
টুইটে ট্রাম্প লিখেছেন, গণমাধ্যম তাকে কেবল আক্রমণাত্মক প্রশ্ন করে।
তিনি লিখেন, হোয়াইট হাউজ ব্রিফিংয়ের প্রয়োজন কী, যখন ‘লেমস্ট্রিম’ গণমাধ্যম আক্রমণাত্মক প্রশ্ন ছাড়া আর কিছুই জিজ্ঞেস করে না! তারপর, সত্য বা তথ্য সঠিকভাবে উপস্থাপন করে না। তারা রেকর্ড পরিমাণ রেটিং পায় আর মার্কিন জনগণ পায় শুধুই ভুয়া খবর। সময় ও শ্রমের উপযুক্ত নয়।
প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার করোনার চিকিৎসায় জীবাণুনাশক ব্যবহারের পরামর্শ দিয়ে নিজের সমর্থকদের মধ্যেও সমালোচিত হয়েছেন যুক্তরাষ্ট্র প্রেসিডেন্ট।
তিনি সেদিন বলেছিলে,ন দেখলাম যে, জীবাণুনাশকগুলো ভাইরাসটিকে এক মিনিটের মধ্যে মেরে ফেলে। এক মিনিট! এটা নিয়ে কিছু করার উপায় আছে কি, (জীবাণুনাশক) ইনজেকশন দিয়ে নিয়ে বা পুরোপুরিভাবে শরীর পরিষ্কার করে? তিনি তার বক্তব্যে করোনা রোগীদের প্রাণঘাতী ‘আলট্রাভায়োলেট রশ্মি’ দিয়েও চিকিৎসার কথা বলেছিলেন।
তার ওই বক্তব্যের ১৮ ঘণ্টার মধ্যে নিউ ইয়র্ক সিটির জরুরি সেবার হটলাইনগুলোয় বাড়িতে থাকা কিছু রাসায়নিক পদার্থ গ্রহণকারী মানুষের সংখ্যা গত বছরের এই সময়ের তুলনায় দ্বিগুণ হয়ে উঠে।
বৃহস্পতিবার ট্রাম্পের ওই বক্তব্যের পর বিশ্বজুড়ে বহু চিকিৎসক করোনার চিকিৎসায় জনগণকে জীবাণুনাশক বা আল্ট্রাভায়োলেট রশ্মি ব্যবহার না করতে সতর্ক করেছেন।
ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়ার এক সরকারি নীতিমালা বিষয়ক অধ্যাপক রবার্ট রেইচ বলেছেন, ট্রাম্পের সম্মেলনগুলো সক্রিয়ভাবে জনস্বাস্থ্যকে ঝুঁকির মুখে ফেলছে।