যুক্তরাষ্ট্রে মৃত্যু ছাড়াল ৬৫ হাজার

যুক্তরাষ্ট্রে মৃত্যু ছাড়াল ৬৫ হাজার

করোনাভাইরাসে যুক্তরাষ্ট্রে মোট আক্রান্ত ১১ লাখ ছাড়িয়ে গেছে। আর মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৬৫ হাজার। দেশটিতে এখন পর্যন্ত ৬৫ হাজার ৭৬৬ জন মানুষের মৃত্যু হয়েছে। আক্রান্ত হয়েছেন ১১ লাখ ৩১ হাজার ২৮০ জন।

শনিবার সকাল ৯টা পর্যন্ত এ সংখ্যা নিশ্চিত করেছে করোনা ভাইরাসে আক্রান্তদের সংখ্যা ও প্রাণহানির পরিসংখ্যান রাখা ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটার।

এখন পর্যন্ত বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ২ লাখ ৩৯ হাজার ৫৬২ জন। বিশ্বের মোট মৃত্যুর ১ চতুর্থাংশের বেশিই হয়েছে বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষমতাধর দেশ যুক্তরাষ্ট্রে।

জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয় করোনাভাইরাস নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সবশেষ তথ্যে জানিয়েছে, স্থানীয় সময় শুক্রবার রাত পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে মহামারি এ ভাইরাসে মৃত্যু হয়েছে ১ হাজার ৮৮৩ জনের। অবশ্য এ সংখ্যা আগের তিন দিনের তুলনায় বেশ কম। বৃহস্পতিবার দেশটিতে মৃত্যু ছিল ২ হাজার ৫৩ জনের। বুধবার মৃত্যু হয়েছিল ২ হাজার ৫০২ জনের, মঙ্গলবার ২ হাজার ২০৭ জনের।

আক্রান্তের তালিকাতেও শীর্ষে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। সারাবিশ্বে এ ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে ৩৪ লাখ ৮২৯ জনের শরীরে। সবশেষ তথ্যানুযায়ী যুক্তরাষ্ট্রে মোট আক্রান্ত হয়েছেন ১১ লাখ ৩১ হাজার ২৮০ জনে দাঁড়িয়েছে, যা বিশ্বের মোট আক্রান্তের প্রায় এক-তৃতীয়াংশ।

যুক্তরাষ্ট্রের ৫০টি অঙ্গরাজ্যেই ছড়িয়ে পড়েছে করোনাভাইরাস। সবচেয়ে বিপর্যস্ত নিউইয়র্ক অঙ্গরাজ্য। অন্যান্য অঙ্গরাজ্যের চেয়ে সেখানেই আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা সবচেয়ে বেশি।

নিউইয়র্কে এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ৩ লাখ ১৫ হাজার ২২২ এবং মারা গেছে ২৪ হাজার ৬৯ জন। এরপরেই রয়েছে নিউ জার্সি। সেখানে আক্রান্তের সংখ্যা ১ লাখ ২১ হাজার ১৯০ এবং মৃত্যু ৭ হাজার ৫৩৮।

অপরদিকে ম্যাসাচুসেটস অঙ্গরাজ্যে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ৬৪ হাজার ৩১১ এবং মৃত্যু হয়েছে ৩ হাজার ৭১৫ জনের, ইলিনয়েসে আক্রান্তের সংখ্যা ৫৬ হাজার ২৬৫ এবং মৃত্যু হয়েছে ২ হাজার ৪৫৭ জনের।

যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্যে এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ৫২ হাজার ১৯৭। ওই অঙ্গরাজ্যে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে ২ হাজার ১৩৪ জন।

বিশ্ব জুড়ে আক্রান্তদের মধ্যে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১০ লাখ ৮১ হাজার ৫৯৯ জন। বর্তমানে চিকিৎসাধীন ২০ লাখ ৭৯ হাজার ৬৩৮ জন। এদের মধ্যে ২০ লাখ ২৮ হাজার ২৮৩ জনের শরীরে মৃদু সংক্রমণ থাকলেও ৫১ হাজার ৩৫৫ জনের অবস্থা গুরুতর।

মৃতের সংখ্যায় যুক্তরাষ্ট্রের পরে অবস্থানে রয়েছে ইউরোপের দেশ ইতালি। দেশটিতে এ পর্যন্ত ২৮ হাজার ২৩৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। আক্রান্ত হয়েছেন ২ লাখ ৭ হাজার ৪২৮ জন।

মৃত্যুর তালিকার তিন নম্বরে উঠে এসেছে যুক্তরাজ্য। দেশটিতে এখন পর্যন্ত ২৭ হাজার ৫১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া আক্রান্তের সংখ্যা ১ লাখ ৭৭ হাজার ৪৫৪ জন।

এর পরের অবস্থানেই রয়েছে স্পেন। দেশটিতে এখন পর্যন্ত ২৪ হাজার ৮২৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। আক্রান্তের সংখ্যার দিক থেকে অবশ্য ২য় অবস্থানে রয়েছে এ দেশটি। এখানে ২ লাখ ৪২ হাজার ৯৮৮ জন করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন।

মৃত্যুর তালিকায় এর পরের অবস্থানে রয়েছে ফ্রান্স। দেশটিতে এখন পর্যন্ত ২৪ হাজার ৫৯৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। আক্রান্তের সংখ্যা ১ লাখ ৬৭ হাজার ৩৪৬ জন।

এদিকে জার্মানিতে ১ লাখ ৬৪ হাজার ৭৭ জন মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন। মৃত্যু হয়েছে ৬ হাজার ৭৩৬ জনের। তুরস্কে ১ লাখ ২২ হাজার ৩৯২ জন আক্রান্ত হয়েছেন। এখানে মৃত্যু হয়েছে ৩ হাজারের বেশি মানুষের। রাশিয়ায় আক্রান্তের সংখ্যা ১ লাখ ১৪ হাজার ৪৩১ জন, মৃত্যু হয়েছে ১ হাজার ১৬৯ জনের। কানাডায় আক্রান্তের সংখ্যা ৫৫ হাজার ৬১ জন, মৃত্যু হয়েছে ৩ হাজার ৩৯১ জনের।

ভাইরাসটি প্রথম শনাক্ত হয় চীনে। সেখানে এ ভাইরাসে এখন পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছেন ৮২ হাজার ৮৭৫ জন এবং মারা গেছেন ৪ হাজার ৬৩৩ জন।

এশিয়ার মধ্যে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হয়েছে ইরানে। এখানে এখন পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা ৯৫ হাজার ৬৪৬ জন। মৃত্যু হয়েছে ৬ হাজার ৯১ জনের।

বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত ভাইরাসটি শনাক্ত হয়েছে ৮ হাজার ২৩৮ জনের শরীরে। এদের মধ্যে মারা গেছেন ১৭০ জন এবং সুস্থ হয়ে ঘরে ফিরেছেন ১৭৪ জন। বর্তমানে চিকিৎসাধীন ৭ হাজার ৮৯৪ জন।

এমজে/