উহান ল্যাব থেকে করোনা ভাইরাস আসার তথ্যপ্রমাণ আছে- পম্পেও

উহান ল্যাব থেকে করোনা ভাইরাস আসার তথ্যপ্রমাণ আছে- পম্পেও

কোভিড-১৯ বা করোনা ভাইরাস এসেছে চীনের উহান ল্যাবরেটরি থেকে। এ বিষয়ে ‘উল্লেখযোগ্য প্রমাণ আছে’ বলে দাবি করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও। তিনদিন আগে প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের কথারই যেন প্রতিধ্বনি শোনা গেল তার কণ্ঠে। তবে যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর বক্তব্যের সঙ্গে সাংঘর্ষিক এসব মন্তব্য।

গোয়েন্দা সংস্থাগুলো বলছে, করোনা ভাইরাস দৃশ্যত মানুষের তৈরি নয় অথবা জেনেটিক্যালি মডিফাই করা নয়। কিন্তু তাদের সুরের উল্টো সুরে কথা বলছেন প্রেসিডেন্ট ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী। তাদের হাতে এর স্বপক্ষে কি প্রমাণ আছে, এখন পর্যন্ত তা প্রকাশ করেন নি। এ খবর দিয়েছে অনলাইন স্কাই নিউজ।

এতে বলা হয়, এ সপ্তাহে এবিসি’র সঙ্গে এক সাক্ষাতকারে মাইক পম্পেও বলেছেন, চীনের উহানের একটি ল্যাবরেটরি থেকে এটা (করোনা ভাইরাস) এসেছে। এর পিছনে যথেষ্ট তথ্যপ্রমাণ আছে। তিনি আরো বলেছেন, সেরা বিশেষজ্ঞরা এখন পর্যন্ত দৃশ্যত ভাবছেন, এটা মনুষ্যসৃষ্টি। এই সময়ে তাদের এই মতামতকে অবিশ্বাস করার কোন কারণ নেই।

সাক্ষাতকারে যখন পয়েন্টআউট করা হয় যে, যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থাগুলো কিন্তু এ কথা বলে নি, তখন দ্রুততার সঙ্গে তা প্রত্যাখ্যান করেন পম্পেও। তিনি বলেন, গোয়েন্দারা কি বলেছেন তা আমি দেখেছি। উল্লেখ্য, এর আগে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পও দাবি করেছেন যে, এই ভাইরাসের উৎস উহানের ল্যাবরেটরি। এ বিষয়ে তিনি প্রমাণ দেখতে পেয়েছেন। তবে তিনি এর বিস্তারিত জানাতে অস্বীকৃতি জানান।

বিতর্কিত একটি তত্ত্ব বা কন্সপিরেসি থিওরি আছে। তা হলো, দাবি করা হয়, করোনা ভাইরাস চীনবিরোধী নেতাকর্মী এবং প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের কিছু সমর্থক দাবি করেছেন এই ভাইরাসটি মানুষের তৈরি। তাদের দাবি এই ভাইরাসটি চীন সরকারের জীবাণু অস্ত্র তৈরির একটি ল্যাবরেটরিতে তৈরি করা হয়েছে। তবে এ দাবি সরাসরি প্রত্যাখ্যান করেছে উহান ইন্সটিটিউট অব ভাইরোলজি নামের ওই ল্যাবরেটরি। এমন অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের কিছু কর্মকর্তাও।

বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ইন্টেলিজেন্স ডিরেক্টরের অফিস এই ভাইরাসটি মনুষ্যসৃষ্ট এমন দাবি প্রত্যাখ্যান করে। তারা জানায়, বিশ্বজুড়ে করোনা মহামারি সৃষ্টির প্রকৃত উৎস সম্পর্কে এখনও তারা অনুসন্ধান করছে। গোয়েন্দা রিপোর্টিং এবং বিশ্লেষণের সঙ্গে যুক্ত মার্কিন কিছু কর্মকর্তা কয়েক সপ্তাহ ধরে বলে আসছেন যে, সরকারের জীবাণু অস্ত্র বিষয়ক ল্যাবরেটরিতে চীনা বিজ্ঞানীরা এই ভাইরাস তৈরি করেছে এটা তারা বিশ্বাস করেন না। তারা বিশ্বাস করেন, এই ভাইরাসটির সঙ্গে যোগসূত্র থাকতে পারে উহানের একটি মাংসের বাজারের সঙ্গে। যেখানে বিভিন্ন বন্যপ্রাণির মাংস বিক্রি হয়। অথবা সরকারি কোনো ল্যাবরেটরিতে গবেষণার সময় সেখান থেকে এটা ছড়িয়ে পড়ে থাকতে পারে।

এমজে/