মিয়ামিতে ভবন ধস: এ পর্যন্ত ১৬ লাশ উদ্ধার

মিয়ামিতে ভবন ধস: এ পর্যন্ত ১৬ লাশ উদ্ধার

যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্যের মিয়ামিতে গত সপ্তাহে ধসে যাওয়া বহুতল ভবনটির ধ্বংসস্তূপ থেকে বুধবার রাতভর অভিযান চালিয়ে আরও চারজনের লাশ উদ্ধার করেছেন উদ্ধারকর্মীরা।

এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১৬ জনে দাঁড়িয়েছে।এখনও ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়া ১৪০ জনের খোঁজ মিলেনি।খবর আরব নিউজ, সিএনএন ও রয়টার্সের।

ভবন ধসের অষ্টম দিনে বৃহস্পতিবারও উদ্ধার অভিযান চলছে। আটকে পড়াদের জীবিত উদ্ধারের আশায় অত্যন্ত সাবধানে চলছে উদ্ধার অভিযান।

উদ্ধারকারী দলগুলো বুধবার ৭ম দিনের মতো ধ্বংসস্তূপের মধ্যে অনুসন্ধান চালিয়েও কাউকে জীবিত উদ্ধার করতে পারেনি।

মায়ামির সাগর তীরবর্তী সার্ফসাইড এলাকায় চ্যামপ্লেইন টাওয়ার্স সাউথ নামের ১৫৬ ইউনিটের ১২তলা অ্যাপার্টমেন্ট ভবনটির বড় একটি অংশ স্থানীয় সময় গত বৃহস্পতিবার ধসে পড়ে। ঘটনার সময় ভবনটির অধিকাংশ বাসিন্দাই ঘুমিয়ে ছিলেন।

কী কারণে ভবনটির একটি অংশ ধসে পড়ল তা পরিষ্কার হয়নি। কিন্তু ২০১৮ সালে প্রকৌশলীদের একটি নিরীক্ষা প্রতিবেদনে ৪০ বছরের পুরনো ভবনটির আন্ডারগ্রাউন্ড পার্কিং গ্যারেজে কাঠামোগত ত্রুটির কথা উল্লেখ করা হয়েছিল।

১৯৮১ সালে নির্মিত এ ভবনটিতে সংস্কার কাজ চলছিল বলে জানিয়েছে কর্মকর্তারা।

উদ্ধারকর্মীরা বলছেন, সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে ভবনটির নিখোঁজ বাসিন্দাদের জীবিত উদ্ধারের আশাও ক্ষীণ হয়ে আসছে।

ভবনের তলাগুলো ধসে পড়ে কেকের স্তরের মতো একটি ওপর আরেকটি স্তূপীকৃত হয়ে আছে। ওই ধ্বংসস্তূপ সরালে ভেতরে চাপা পড়া অনেক মৃতদেহ মিলবে বলে উদ্ধারকর্মীদের ধারণা।

কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, স্তূপীকৃত তলাগুলোর ফাঁকফোকরে বাতাস আছে এমন কোনো জায়গায় উদ্ধারকারীরা জীবিত কাউকে খুঁজে পেতে পারেন এমন আশা এখনও আছে।

স্থানীয় দমকল বাহিনীর প্রধান অ্যালান চমিনস্কি বলেন, এখানে পরিস্থিতি খুবই জটিল, তারপরও আমরা আশা নিয়ে কাজ চালিয়ে যাচ্ছি।

কুকুর, ক্যামেরা, সোনার, ইনফ্রারেড স্ক্যানার ও ভারী যন্ত্রপাতি ব্যবহার করে উদ্ধারকারীরা ধ্বংসস্তূপের খুঁজে দেখছেন, ভেতরে জীবিত কারও উপস্থিতি পাওয়া যায় কি-না।

এমজে/