যুক্তরাষ্ট্রেই আশ্রয় চান কাবুলে ড্রোন হামলায় নিহতদের স্বজনরা

যুক্তরাষ্ট্রেই আশ্রয় চান কাবুলে ড্রোন হামলায় নিহতদের স্বজনরা

গত মাসে মার্কিন ড্রোন হামলায় নিহত ১০ আফগান নাগরিকের পরিবারের সদস্যরা যুক্তরাষ্ট্রেই চলে যেতে চান। বৃহস্পতিবার এক মার্কিন গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আফগানিস্তান ছেড়ে আসার সময় সর্বশেষ মার্কিন হামলায় গত ২৯ আগস্ট ৬ শিশুসহ ১০ জন বেসামরিক আফগান নিহত হন।

হামলার পর প্রথমে পেন্টাগন জানিয়েছিল, সন্দেহভাজন ইসলামিক স্টেট খোরাসান (আইএস-কে) সদস্যদের গাড়ি লক্ষ্য করে একটি ড্রোন হামলা চালানো হয়েছে। নিহতদের মধ্যে কাবুল বিমানবন্দরে হামলার মূল পরিকল্পনাকারীও রয়েছেন।

পরে অবশ্য ড্রোন হামলার পর যুক্তরাষ্ট্র ১০জন বেসামরিক নাগরিক হত্যার বিষয়টি স্বীকার করে ওই ঘটনাকে ‘দুঃখজনক ভুল’ বলে অভিহিত করেছে। নিহতদের কারো মার্কিনিদের টার্গেট আইএস-কে’র সঙ্গে কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই বলেও জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।

এদিকে ওই ড্রোন হামলায় নিহত জামারাই আহমেদির মার্কিন সংশ্লিষ্টতার বিষয়টি পরিস্থিতিতে জটিল করে তুলেছে। জামারাই আহমেদি কাবুলে ক্যালিফোর্নিয়া ভিত্তিক একটি অলাভজনক প্রতিষ্ঠান এনইআইয়ে কাজ করতেন। হামলায় তার মৃত্যুর পর স্ত্রী ও মেয়ে বিপদে পড়েছে। বিশেষ করে তালেবান পুরুষ আত্মীয় ছাড়া নারীদের বাইরে বের হওয়ার ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করায় তাদের চলাচল করাও অসম্ভব হয়ে উঠেছে।

তালেবান ওই পরিবারের কর্তা জামারাই আহমেদির মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার কারণে তাদের ওপর প্রতিশোধ নিতে পারছে বলে শঙ্কায় আছেন তারা। এমনকি আফগানিস্তান ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার জন্যও তারা মরিয়া হয়ে উঠেছেন।

এ ব্যাপারে এনইআইয়ে সিনিয়র উপদেষ্টা সোনিয়া কোওন বলেন, জামারাই আহমেদির স্ত্রী আর মেয়ের জন্য আফগানিস্তানে টিকে থাকা কঠিন হয়ে উঠেছে। তারা নতুন করে শুরু করতে চায়। আমি আশা করব মার্কিন সরকার ক্ষতিপূরণ হিসেবে তাদের চাওয়া পূরণ করবে।

এদিকে, প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন বুধবার জানিয়েছেন, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে ওই পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করবে যুক্তরাষ্ট্র।

তিনি আরও বলেন, তারা যদি আফগানিস্তান ছাড়তে চান, তাহলে তাদের নিয়ে আসার জন্য আমরা অবশ্যই সর্বোচ্চ চেষ্টা করব।

এমজে/