বিক্ষোভ ঠেকাতে শ্রীলঙ্কায় কারফিউ জারি

বিক্ষোভ ঠেকাতে শ্রীলঙ্কায় কারফিউ জারি

বিক্ষোভ ঠেকাতে শ্রীলঙ্কার বাণিজ্যিক রাজধানী কলম্বোতে কারফিউ জারি করা হয়েছে। দেশটিতে অর্থনৈতিক সঙ্কটের জের ধরে অব্যাহত অসন্তোষের জের ধরে প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবিতে শনিবার ছাত্ররা যে বিক্ষোভের আয়োজন করার পরিকল্পনা করেছিল, তা দমন করতে শ্রীলঙ্কার পুলিশ এ ঘোষণা দিয়েছে।

কালো পোশাক ও কালোপতাকাধারী বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করার জন্য শুক্রবার পুলিশ কাঁদানে গ্যাস ও জলকামান ব্যবহার করে। সরকারবিরোধী বিক্ষোভকারীরা 'যথেষ্ট হয়েছে- এবার বিদায় নাও'সহ সরকারবিরোধী বিভিন্ন স্লোগান দেয়।

বিক্ষোভকারী ও অন্যান্য সমালোচনাকারীরা বলছেন, বর্তমান অর্থনৈতিক সঙ্কটের জন্য প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপাকসে দায়ী। অর্থনৈতিক সঙ্কট কাটানোর প্রতিশ্রুতিগুলো বাস্তবায়ন না করার জন্য তারা দুই মাস আগে প্রধানমন্ত্রী হওয়া রনিল বিক্রামাসিঙ্গেকেও দায়ী করে।

দ্বীপদেশটি সাত দশকের মধ্যে সবচেয়ে কঠিন অর্থনৈতিক সমস্যার মুখোমুখি হয়েছে। জ্বালানি, খাদ্য ও ওষুধের ভয়াবহ সঙ্কটে রয়েছে দেশটির মানুষ।

আন্দোলনকারীরা আজ শনিবার বিশাল সমাবেশের ডাক দিয়েছিল। এর কয়েক ঘণ্টা আগেই পুলিশ কারফিউ জারি করে।

পুলিশ জানিয়েছে, শুক্রবার রাত ৯টা থেকে পরবর্তী ঘোষণা না দেয়া পর্যন্ত কলম্বো ও এর আশপাশের এলাকায় কারফিউ অব্যাহত থাকবে।

পুলিশের কারফিউ ঘোষণার তীব্র সমালোচনা করেছে বিরোধী রাজনীতিবিদ ও শ্রীলঙ্কার বার অ্যাসোসিয়েশন। তারা কারফিউ জারিকে 'পুরোপুরি অবৈধ এবং মৌলিক অধিকারের পরিপন্থী হিসেবে অভিহিত করে।'

বার অ্যাসোসিয়েশন অবিলম্বে কারফিউ প্রত্যাহারের আহ্বান জানায়। বিরোধী দলীয় নেতা সাজিত প্রেমাদাসাও কারফিউ প্রত্যাহারের দাবি জানান। তিনি শনিবার রাজপথে নেমে আসার জন্য দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, স্বৈরাচার প্রতিরোধ করুন, রাজপথে নেমে আসুন।

শ্রীলঙ্কায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত জুলি চাঙ্গ শান্তিপূর্ণভাবে বিক্ষোভ করার জন্য জনসাধারণের প্রতি আহ্বান জানানোর পাশাপাশি সামরিক বাহিনী ও পুলিশকে শান্তিপূর্ণভাবে বিক্ষোভ করার সুযোগ দেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, বিশৃঙ্খলা ও শক্তি প্রয়োগ অর্থনৈতিক সমস্যার সমাধান করবে না। এখন শ্রীলঙ্কার প্রয়োজন স্থিতিশীলতার। সূত্র : রয়টার্স, বিপিএস