প্রেসিডেন্ট প্রধানমন্ত্রীর বাসা থেকে চুরি

প্রেসিডেন্ট প্রধানমন্ত্রীর বাসা থেকে চুরি

প্রেসিডেন্ট হিসাবে শপথগ্রহণের পর থেকেই নিজের মুনশিয়ানা দেখিয়ে চলেছেন রনিল বিক্রমাসিংহে। তিন মাসের বেশি সময় ধরে চলমান বিক্ষোভে পানি ঢেলে দিয়েছেন এক রাতে।

কূটনীতিকদের ডেকে দিয়েছেন ধমক। রনিল বিক্রমাসিংহে বলেছেন, তিনি শান্তিপূর্ণভাবে বিক্ষোভ করার অধিকারকে সম্মান করেন। প্রেসিডেন্ট বা প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত বাসভবনের মতো আর কোনো সরকারি ভবন দখল করতে দেবেন না প্রেসিডেন্ট রনিল।

অর্থনৈতিক সংকট চলমান দ্বীপরাষ্ট্র শ্রীলংকায়। বিক্ষোভ করতে রাস্তায় নামেন নাগরিকরা। প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রীকে পদত্যাগ করতে বাধ্য করেন।

একপর্যায়ে কলম্বোর প্রেসিডেন্সিয়াল প্যালেস ও প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন টেম্পল ট্রিজে ঢুকে পড়েন সরকারবিরোধী বিক্ষোভকারীরা। ভবনগুলোয় সজ্জিত ছিল মূল্যবান সহস্রাধিক জিনিসপত্রে। ছিল দুর্লভ কিছু শিল্পকর্মও। এসব জিনিসপত্র চুরি হয়েছে বলে সম্প্রতি এক খবরে জানিয়েছে পুলিশ। এ ঘটনার অধিকতর তদন্তের জন্য একটি বিশেষ দল গঠন করা হয়েছে। ৯ জুলাই শ্রীলংকার তৎকালীন প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপাকসে ও প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমাসিংহের সরকারি বাসভবনে হামলা চালায় বিক্ষোভকারীরা। নিরাপত্তা বেষ্টনি ভেঙে গুরুত্বপূর্ণ এসব ভবনের উঠোন থেকে শুরু করে সুইমিংপুল, রান্নাঘর, শোবার ঘর-সব জায়গা দখল করে নেয় তারা। এরপর নতুন প্রেসিডেন্ট হিসাবে শপথ নিয়েই শুক্রবার রাতে বিক্ষোভকারীদের উৎখাতের নির্দেশ দেন গোতাবায়ার উত্তরসূরি খ্যাত নতুন প্রেসিডেন্ট রনিল বিক্রমাসিংহে। বিশেষ এক অভিযানে সেনাসদস্যরা লাঠি ও স্বয়ংক্রিয় অস্ত্র নিয়ে বিক্ষোভকারীদের উৎখাত করেন।

ভোরের দিকে বিক্ষোভকারীদের দখল থেকে সেনাবাহিনী প্রেসিডেন্ট সচিবালয়ের নিয়ন্ত্রণ নেয়। এ সময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা গোটাগোগামা প্রতিবাদস্থলে তাঁবু ধ্বংস করে, বেশ কয়েকজন প্রতিবাদী নেতাসহ বিক্ষোভকারীদের গ্রেফতার করেছে। যদিও বিক্ষোভকারীদের দখলে যাওয়ার পর শ্রীলংকার প্রেসিডেন্টের কার্যালয় আজ সোমবার থেকে পুনরায় খুলে দেওয়া হচ্ছে। দেশটির পুলিশের পক্ষ থেকে রোববার এ কথা জানানো হয়।

এদিকে কূটনীতিকদের সঙ্গে বিবৃতি প্রদানের বিষয়ে কথা বলেন রনিল। ভবিষ্যতে বিবৃতি দেওয়ার ক্ষেত্রে তাদের কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে যথার্থতা যাচাই করে নেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন তিনি। শনিবার সন্ধ্যায় রাজধানী কলম্বোভিত্তিক কূটনীতিকদের প্রেসিডেন্টের অফিসে আমন্ত্রণ জানান। প্রেসিডেন্সিয়াল সেক্রেটারিয়েট এলাকায় বিক্ষোভকারীদের সরানোর ক্ষেত্রে নিরাপত্তা রক্ষাকারীদের অভিযান নিয়ে কূটনীতিকদের বিবৃতিতে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়।