পরিবহণের সময় রাশিয়ার ক্রুজ মিসাইল ধ্বংসের দাবি ইউক্রেনের

পরিবহণের সময় রাশিয়ার ক্রুজ মিসাইল ধ্বংসের দাবি ইউক্রেনের

চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের রাশিয়া সফরের মধ্যে ক্রিমিয়ায় বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। মূলত রাশিয়ার কার্গো বহরে হওয়া এ বিস্ফোরণে রুশ ক্ষেপণাস্ত্র ধ্বংস হয়ে গেছে বলে জানিয়েছে ইউক্রেন। অন্যদিকে রুশ কর্মকর্তারা বলছেন, ওই এলাকায় ড্রোনের মাধ্যমে হামলা করা হয়েছে।

সোমবার রাতে ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এ তথ্য নিশ্চিত করে। খবর বিবিসির।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাশিয়ার দখলে থাকা ক্রিমিয়া উপদ্বীপের উত্তরে বিস্ফোরণের ফলে রেলপথে পরিবহণ করা রুশ ক্ষেপণাস্ত্র ধ্বংস হয়ে গেছে বলে ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে। অন্যদিকে উপদ্বীপটির ঝানকোই শহরের রুশ-নিযুক্ত প্রধান বলেছেন, ওই এলাকায় ড্রোনের মাধ্যমে আক্রমণ করা হয়েছে।

বিবিসি বলছে, ক্রিমিয়ার উত্তরে বিস্ফোরণের ঘোষণা দিয়েছে ইউক্রেন। তবে বরাবরের মতো দেশটি স্পষ্টভাবে বলেনি যে, এই হামলার পেছনে তারাই ছিল। আর তেমনটি হলে তা হবে ক্রিমিয়ায় ইউক্রেনের সামরিক বাহিনীর বিরল একটি অভিযান। ২০১৪ সালে ইউক্রেনের কাছ থেকে উপদ্বীপটি দখল করে নেয় রাশিয়া।

ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘(বিস্ফোরণ) রাশিয়ার নিরস্ত্রীকরণের প্রক্রিয়া অব্যাহত রেখেছে এবং ইউক্রেনীয় ক্রিমিয়া উপদ্বীপকে দখলমুক্ত করার প্রক্রিয়া আরও এগিয়ে দিয়েছে।’

কিয়েভ জানিয়েছে, বিস্ফোরণে ধ্বংস হয়ে যাওয়া ক্ষেপণাস্ত্রগুলো রাশিয়ার ব্ল্যাক সি নৌবহরের ব্যবহারের উদ্দেশ্যে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল।

অন্যদিকে রাশিয়া-নিযুক্ত প্রশাসক ইহোর ইভিন বলেছেন, ৩৩ বছর বয়সী এক ব্যক্তিকে ড্রোন থেকে পাওয়া আঘাতের পর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। অবশ্য কোনো সামরিক লক্ষ্যবস্তু ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার কথা উল্লেখ করেননি তিনি।

ইভিনের বরাত দিয়ে স্থানীয় গণমাধ্যমে বলা হয়েছে, বেশ কয়েকটি ভবনে আগুন লেগেছে এবং পাওয়ার গ্রিড ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

এর আগে রাশিয়া সর্বশেষ গত বছরের অক্টোবরে ক্রিমিয়ান বন্দরনগরী সেভাস্তোপলে ব্ল্যাক সি ফ্লিটে ড্রোন হামলা চালানোর জন্য ইউক্রেনকে দোষারোপ করেছিল। সেসময় রাশিয়া বলেছিল, হামলায় ৯টি ড্রোন ব্যবহার করা হয়েছিল এবং এতে একটি যুদ্ধজাহাজ ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

ইউক্রেন অবশ্য সেই হামলার দায়ও স্বীকার করেনি।