মণিপুরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার নোটিসের পর স্কুলে আগুন, গুলির লড়াই

মণিপুরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার নোটিসের পর স্কুলে আগুন, গুলির লড়াই

শনিবার নোটিস জারি করেছিল মণিপুর সরকার যে সোমবার থেকে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের দরজা খুলবে। এই নোটিস জারির পর থেকেই ধিকি ধিকি আগুন জ্বলে উঠেছিল শনিবার রাত থেকেই।

রোববার রাতে শুরু হলো দাবানল। চূড়াচন্দ্রপুর ও বিষ্ণুপুর সীমান্তে চললো গুলির লড়াই। আগুন দিয়ে জ্বালানো হলো চিলড্রেন ট্রেজার হাইস্কুলটি। পাঁচশো ছাত্র এই স্কুলের হোস্টেলে থাকে, ভাগ্য ভালো কেউ ছিলো না। স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা লিং খো থাং ভাদাই বলেন, এই স্কুলের মাথা তুলে দাঁড়ানোর অবকাশ থাকলো না। মণিপুরে শিক্ষা ফেরানোর চেষ্টা হতেই নতুন করে অশান্তি ছড়িয়েছে। চলেছে গুলির লড়াই। বাধ্য হয়ে স্কুল খোলার নোটিসটি প্রত্যাহার করে নিয়েছে মণিপুর সরকার।

দফায় দফায় সংঘর্ষে জনজীবন ফের কার্যত বিধ্বস্ত। এরই মাঝে তাঁর মা বিনোদেবী কে কেন জীবন্ত দগ্ধ হয়ে মৃত্যুবরণ করতে হলো তার জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কৈফিয়ত তলব করেছেন মনিপুর পিপলস পার্টির প্রাক্তন ভাইস প্রেসিডেন্ট ডা. ইবমোচা।

তিনি বলেছেন, স্বাধীনতা সংগ্রামীর স্ত্রীকে যে জীবন্ত পুড়িয়ে মারা হলো, প্রধানমন্ত্রী দয়া করে সেই ব্যাপারে ব্যাখ্যা দেবেন কী! মোটের ওপর ভয়ঙ্কর জাতি দাঙ্গায় বিধ্বস্ত মণিপুর আন্দোলনের ৮১তম দিনেও যে তিমিরে ছিল সেই তিমিরেই থাকলো।