রাফায় ইসরাইলি ব্যাপক হামলায় নিহত ৬০

রাফায় ইসরাইলি ব্যাপক হামলায় নিহত ৬০

গাজা উপত্যকার রাফাহতে ইসরাইলি ব্যাপক বিমান হামলায় ৬০ জনেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।

সোমবার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক কেবল নিউজ নেটওয়ার্ক বা সিএনএনের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ফিলিস্তিন রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি (পিআরসিএস) সোমবার ভোরে জানিয়েছে, দক্ষিণ গাজার রাফাহ শহরে ইসরাইলি বিমান হামলায় ৬০ জনেরও বেশি লোক নিহত হয়েছে।

পিআরসিএস বলেছে, রাফাহ হলো সর্বশেষ ‘নিরাপদ স্থান’ যেখানে গাজার অর্ধেকেরও বেশি জনসংখ্যা আশ্রয় নিয়েছিল। এ এলাকা যুদ্ধবিমান এবং বিমান হামলার দ্বারা ‘তীব্র লক্ষ্যবস্তু’তে পরিণত করেছে ইসরাইল।

ইসরাইলের প্রতিরক্ষা বাহিনী সোমবার নিশ্চিত করেছে যে- তারা রাফাহ জেলার শাবোরা এলাকায় লক্ষ্যবস্তুতে ‘একটি সিরিজ হামলা’ চালিয়েছে।

ইসরাইলের প্রতিরক্ষা বাহিনী আরো এক বিবৃতিতে বলেছে যে- ‘হামলা শেষ হয়েছে।’

এদিকে ইসরাইল গাজা উপত্যকার সর্ব-দক্ষিণের শহর রাফাহতে স্থল অভিযান শুরু করলে এটির সাথে পণবন্দী মুক্তির আলোচনা বাতিল করে দেয়ার হুমকি দিয়েছে হামাস।

সংগঠনটির নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একটি সূত্র বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেছে, ‘রাফাহ শহরে দখলদার বাহিনীর যেকোনো হামলা বন্দি বিনিময় আলোচনাকে হুমকিগ্রস্ত করবে।’

গাজায় আটক ইসরাইলি পণবন্দীদের মুক্তি দেয়ার ব্যাপারে কাতার ও মিশরের মধ্যস্থতাকারীদের সাথে আলোচনা করতে হামাসের একটি প্রতিনিধিদল বর্তমানে কায়রোয় অবস্থান করছে। রাফাহতে হামলা হলে কায়রো থেকে প্রতিনিধিদল প্রত্যাহার করে নেয়ার ইঙ্গিত দিয়েছে হামাসের ওই সূত্র।

এর আগে শনিবার ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু রাফাহ শহরে হামলা চালানোর প্রস্তুতি নিতে ইসরাইলি বাহিনীর প্রতি নির্দেশ জারি করেন। তার ওই নির্দেশের বিরুদ্ধে বিশ্বব্যাপী নিন্দার ঝড় ওঠে; কারণ, গত চার মাস ধরে গাজা উপত্যকার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালাতে গিয়ে উপত্যকার বেশিরভাগ অধিবাসীকে রাফাহ শহরে ঠেলে দেয়া হয়েছে। গাজার ২৩ লাখ অধিবাসীর মধ্যে প্রায় ১৫ লাখই এখন রাফাহতে মানবেতর জীবন কাটাচ্ছেন।

আন্তর্জাতিক সমালোচনা নাকচ করে দিয়ে নেতানিয়াহু রোববার বলেছেন, রাফাহতে অভিযান চালানো থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানানোর অর্থ গাজা যুদ্ধে ইসরাইলকে পরাজয় মেনে নিতে বাধ্য করা। সূত্র : সিএনএন