রাতে স্থগিত রাখার পর আজ বুধবার নতুন করে দিল্লিমুখী যাত্রা শুরু করার কথা ভারতের কৃষকদের। তাদের এ কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে দিল্লির চারপাশে কড়া নিরাপত্তা নেয়া হয়েছে। এক কথায় দুর্গে পরিণত করা হয়েছে দিল্লিকে। রাজধানীতে প্রবেশের সব পথ বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। মোতায়েন করা হয়েছে বিপুল পরিমাণ নিরাপত্তারক্ষী। এ খবর দিয়ে অনলাইন এনডিটিভি বলছে, মঙ্গলবার দিবাগত রাতে প্রতিবাদ বন্ধ রেখেছিলেন কৃষকরা।
আজ বুধবার আবার শুরু করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তারা। তবে এর বিরুদ্ধে বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে। কিন্তু সব নিরাপত্তা বেষ্টনী ভেঙে, নিরাপত্তারক্ষীদের টপকে আজ তারা দিল্লিমুখে যাত্রা করতে পারেন। মঙ্গলবার তাদের প্রতিবাদ বিক্ষোভে কাঁদানে গ্যাস এবং জলকামান ব্যবহার করা হয়েছে।
পাঞ্জাব-হরিয়ানা সীমান্ত অতিক্রম করা থেকে তাদেরকে বিরত রাখার জন্য তা করেছে পুলিশ। এর মধ্য দিয়ে ২০২০-২১ সালের প্রতিবাদ বিক্ষোভের প্রতিচ্ছবি ভেসে উঠেছে। তিন বছর আগের একই রকম বিক্ষোভ স্থায়ী হয়েছিল ১৩ মাস। এবার কৃষকরা বলছেন, তারা দীর্ঘ মেয়াদের জন্য প্রস্তুত। দিল্লি পৌঁছার জন্য পর্যাপ্ত ডিজেল আছে তাদের কাছে। ৬ মাস চলতে পারবেন এমন খাবারও আছে সঙ্গে।
একজন কৃষক এনডিটিভিকে বলেছেন, আমাদের দাবি পূরণ না করা পর্যন্ত আমরা ফিরবো না। তাতে যত মাসই লাগুক না কেন। বেশ কিছু দাবি নিয়ে এই আন্দোলন করছেন কৃষকরা। তিনটি গুরুত্বপূর্ণ দাবি বাদে তাদের প্রায় সব দাবি মেনে নিয়েছে সরকার। এর মধ্যে আছে এমএসপি, কৃষকদের কৃষিঋণ মওকুফ এবং স্বামীনাথান কমিশনের সুপারিশের বাস্তবায়ন। এই অচলাবস্থার সমাধানের জন্য আরও আলোচনার আহ্বান জানিয়েছে সরকার। কিন্তু কৃষকদের অভিযোগ, এর মধ্য দিয়ে সরকার শুধুই সময়ক্ষেপণ করছে। দাবি মেনে নেয়ার কোনো মানসিকতা তাদের নেই। ওদিকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর বলেছেন, আলোচনায় সময় লাগছে। কারণ, নতুন নতুন দাবি তুলছেন কৃষকরা। তিনি কৃষকদেরকে সহিংসতা ও অগ্নিসংযোগে যুক্ত না হওয়ার আহ্বান জানান। পাশাপাশি তিনি তাদেরকে নতুন করে আলোচনায় আমন্ত্রণ জানান।