রাফায় ১৪ লাখ ফিলিস্তিনি অনাহারে

রাফায় ১৪ লাখ ফিলিস্তিনি অনাহারে

ইসরায়েলি বাহিনীর নির্বিচার হামলায় দৃশ্যত গুঁড়িয়ে গেছে ফিলিস্তিনের গাজা। এরই মধ্যে পুরোপুরি ‘মর্ত্যের নরকে’ পরিণত হয়েছে এটি। একদিকে মধ্যপ্রাচ্যের এই দীর্ঘ সংঘাত থামছেই না, অন্যদিকে রক্তপাত, ক্ষুধা আর হাহাকারের সঙ্গে লড়াই করতে করতে নিঃশেষ গাজা। এদিকে সীমান্ত এলাকা রাফায় তিল ধারণের জায়গা নেই। ফিলিস্তিনিরা পালাতে পালাতে রাফার শেষ সীমানায় পৌঁছে গেছে, এখন আর কোথাও পালানোর জায়গা নেই।

ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের সাহায্যকারী গ্রুপ মেডেসিনস সানস ফ্রন্টিয়েরস সতর্ক করে বলছেন, গাজার দক্ষিণতম শহর রাফায় ১৪ লাখ মানুষ অনাহারে রয়েছে। তারা নানা রোগের সম্মুখীন হচ্ছে। রাফা তার শেষ সীমা অতিক্রম করে ফেলেছে। এখন আর কোথাও পালানোর জায়গা নেই।

এদিকে গাজার খান ইউনিসে চলমান বৃহত্তম হাসপাতালটি ইসরায়েলি সেনারা অবরুদ্ধ করে রেখেছে। সেখানে চিকিৎসা কর্মীদের মারধর করা হয়েছে। কোন ধরনের ত্রাণ সামগ্রী সেখানে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। 

ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামলা চালায়। এতে নিহত হন ১ হাজার ১৩৯ জন। আহত হওয়ার সংখ্যা ৮ হাজার ৭৩০। এ হিসাব ইসরায়েল সরকারের।

হামাসের হামলার জবাবে ৭ অক্টোবরই গাজায় পাল্টা হামলা শুরু করে ইসরায়েল। তাদের হামলা থেকে মসজিদ, বিদ্যালয়, হাসপাতাল, আশ্রয়শিবির-কিছুই বাদ যায়নি।

ইসরায়েলি হামলায় গাজায় নিহতের মোট সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৮ হাজার ৮৫৮ জনে। এতে আহত হয়েছেন অন্তত ৬৮ হাজার ৬৬৭ জন। যার বেশিরভাগ নারী ও শিশু। উদ্বাস্তু হয়েছে গাজার ২৩ লাখ বাসিন্দার মধ্যে ১৮ লাখের বেশি।