সাবেক প্রধানমন্ত্রী এবং বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি ও বিদেশে উন্নত চিকিৎসার দাবিতে যুক্তরাজ্য পার্লামেন্ট ভবনে সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মঙ্গলবার দেশটির পার্লামেন্ট ভবনের সামনে এই বিক্ষোভের আয়োজন করে যুক্তরাজ্য বিএনপি।
যুক্তরাজ্য বিএনপির সভাপতি এম এ মালিক এর সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক কয়ছর এম আহমদের পরিচালনায় বিক্ষোভ সমাবেশে যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন শহর থেকে সংগঠনটির অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের বিপুল সংখ্যক নেতা-কর্মী অংশগ্রহণ করেন।
উপস্থিত নেতা-কর্মীরা বিভিন্ন স্লোগান সম্বলিত প্ল্যাকার্ড, ব্যানার, ফেস্টুন প্রদর্শন করেন এবং বেগম খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি ও বিদেশে উন্নত চিকিৎসার দাবি করেন ।
সরকার রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করছে উল্লেখ করে এম এ মালিক বলেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া আজ গুরুতর অসুস্থ। যিনি গণতন্ত্রের জন্য লড়াইয়ে জন্য “মাদার অফ ডেমোক্রেসি” পুরস্কার পেয়েছেন তাকে সরকার রাজনৈতিক প্রতিহিংসার বশবর্তী হয়ে সম্পূর্ণ অন্যায়ভাবে কারাবন্দী করে রেখেছে।
তিনি বলেন, সরকারি দলের লোক হলে চিকিৎসা সেবা পাবে। প্রয়োজনে ২৪ ঘন্টার মধ্যে বিদেশ থেকে চার্টার বিমানে করে চিকিৎসক হাজির করা হয় কিন্তু বিরোধী দলের লোক হলে নূন্যতম চিকিৎসা পাবেন না- এরকম দ্বৈতনীতি চালু করেছে ফ্যাসিবাদী আওয়ামী সরকার।
এম এ মালিক বলেন, উন্নত চিকিসার অভাবে খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার আজ চরম অবনতি ঘটেছে। সরকার তাঁকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিচ্ছে।
তিনি অনতিবিলম্বে সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার বিদেশ উন্নত চিকিৎসা ও নি:শর্ত মুক্তি দাবী করেন।
সাধারণ সম্পাদক কয়ছর এম আহমদ বলেন, কোনো বাধা সৃষ্টি না করে দ্রুত খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিতে হবে। এটা জনগণের দাবি।
তিনি বলেন, স্বৈরাচারী সরকারের দুর্নীতি, ডাকাতি, লুন্ঠন, ধর্ষণ, অত্যাচার নির্যাতনে দেশের মানুষ আজ দিশেহারা।গণতন্ত্র পূনরুদ্ধার ও জনগণের ভোটাধিকার ফিরিয়ে আনতে ঐক্যবদ্ধভাবে দেশে বিদেশে ব্যাপক গণআন্দোলন গড়ে তুলতে হবে।
বিক্ষোভ সমাবেশ শেষে খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে যুক্তরাজ্য বিএনপির সভাপতি এম এ মালিক এবং সাধারণ সম্পাদক কয়ছর এম আহমদের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল ১০নং ডাউনিং স্ট্রিটে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বরাবর স্মারকলিপি প্রধান করেন।
এনএম/