বিএসএমএমইউতে যৌন নিপীড়নের শিকার হওয়া নার্স এখন গৃহবন্দী

বিএসএমএমইউতে যৌন নিপীড়নের শিকার হওয়া নার্স এখন গৃহবন্দী

যৌন নিপীড়ন ও মারধরের ভয়ে বাসা থেকে বের হতে পারছেন না এক নার্স। তারই এক সহকর্মীর অত্যাচারে তিনি এখন দিশেহারা। ওই নার্স এ বিষয়ে থানায় জিডি করেছেন। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকেও লিখিতভাবে জানিয়েছেন। কর্তৃপক্ষ বিষয়টি দেখবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) কর্মচারী ফটোগ্রাফার সোহেল গাজীর বিরুদ্ধে এই অভিযোগ করেছেন ওই নার্স। নার্স লিসরাত ভিসি বরাবরে অভিযোগে উল্লেখ করেন, বিএসএমএমইউ’তে চাকুরীর সুবাদে ফটোগ্রাফার সোহেল গাজীর সাথে তার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এক পর্যায়ে সোহেল গাজীকে তিনি বিবাহের প্রস্তাব দিলে সোহেল গাজী টালবাহানা করেন। পরে সোহেল গাজীর পূর্বের বিবাহ এবং সন্তান থাকার বিষয়টি জানতে পারেন তিনি। বিষয়টি জানতে পেরে তিনি প্রতিবাদ করলে তার উপর ক্ষিপ্ত হয়ে অমানুষিক নির্যাতন চালায় সোহেল।

মারধরে পর তিনি শাহবাগ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করেন। জিডি নং ৮৫৮। অভিযোগে আরো জানান, বিষয়টি কর্র্তৃপক্ষকে অবহিত করার পরেও তারা কোন ব্যবস্থা নেয়নি। অন্যদিকে সোহেল গাজী তার ক্ষমতার প্রভাবের কারণে বিষয়টি ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করে।

অভিযোগ দেয়ার পরও সোহেল তাকে মারধর করে। নির্যাতিত লিসরাত নয়া দিগন্তকে বলেন, বিএসএমএমইউ এর অফিস পিয়ন সোহেলের সাথে ২০১৩ সালে পরিচয় হয়। তাকে কৌশলে প্রেমের ফাঁদে ফেলে। পরে তাকে বিয়ে করতে বলায় তার আসল চেহারা বের হয়ে আসে। সে কথায় কথায় তার উপর নিপীড়ন চালায়।

তার নিপীড়ন সহ্য করতে না পেরে তিনি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে বদলী হয়ে যান। এরপর আরো নিপীড়ন বেড়ে যায়। তিনি বলেন, এখন নির্যাতনের মাত্রা আরো বেড়েছে। তাকে প্রতিনিয়ত ভয়ভীতি দেখানো হচ্ছে। ফোন করে হুমকি দেয়া হচ্ছে।

অভিযুক্ত সোহেল গাজী জানান, ‘আমার সাথে অভিযোগকারিনীর সম্পর্ক ছিলো। আমি তাকে বিবাহ করতে চেয়েছি কিন্তু সে বিবাহ না করে টালবাহানা করছে’। তার পূর্বের বিয়ের বিষয়ে জানতে চাইলে তা এড়িয়ে যান তিনি।

এ বিষয়ে বিএসএমএমইউ ভিসি কনক কান্তি বড়ুয়া বলেন, সিনিয়র নার্স লিসরাত নির্যাতন ঘটনার একটি আবেদন পেয়েছি। বিষয়টি তদন্ত কমিটির কাছে পাঠানো হয়েছে’। তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন অনুযায়ী বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান তিনি।

এমআই