ডাকাতির মালামাল উদ্ধারের পর বিক্রি: ২ পুলিশ কর্মকর্তা ক্লোজড

ডাকাতির মালামাল উদ্ধারের পর বিক্রি: ২ পুলিশ কর্মকর্তা ক্লোজড

ডাকাতি হওয়া মালামাল উদ্ধারের পরে তা বিক্রির অভিযোগে ঢাকার ধামরাইয়ের কাওয়ালীপাড়া ফাঁড়ির পুলিশ পরির্দশক ও এক সহকারী উপ-পরিদর্শককে প্রত্যাহার করা হয়েছে। বুধবার সন্ধ্যায় তাদের প্রত্যাহার করে রাজারবাগ পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়।

প্রত্যাহার হওয়া কর্মকর্তারা হলেন- কাওয়ালীপাড়া ফাঁড়ির দায়িত্বরত কর্মকর্তা পুলিশ পরির্দশক (তদন্ত) একেএম ফজলুল হক ও সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) শামীম হোসেন।

বৃহস্পতিবার ওই দুই পুলিশের প্রত্যাহারের বিষয়টি নিশ্চিত করে ধামরাই থানার পুলিশ পরিদর্শক দীপক চন্দ্র সাহা বলেন, কাওয়ালীপাড়া তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশ পরিদর্শক ফজলুল হক ও সহকারী উপ-পরিদর্শক শামীমকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। তাদের জায়গায় নতুন অফিসারদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

এর আগে গতকাল বুধবার জাতীয় দৈনিকে প্রতিবেদন প্রকাশ হওয়ার পর ওই দুই পুলিশ কর্মকর্তাকে কাওয়ালীপাড়া ফাঁড়ি থেকে ক্লোজড করা হয়। এর আগে প্রতিবেদনটি প্রকাশের পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তা ভাইরাল হয়। মুহূর্তের মধ্যে বিষয়টি পুলিশের ঊধ্বর্তন কর্মকর্তাদের নজরে আসে। এর ফলে রাতেই তাদের প্রত্যাহার করা হয়।

জানা গেছে, চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে (২৭ তারিখ) ধামরাই উপজেলার জালসা গ্রামে তিনটি বাড়িতে ডাকাতির ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ডাকাতের ছুরিকাঘাতে রমজান আলী নামে এক স্কুলছাত্র নিহত হয়। নগদ টাকা ও স্বর্ণালঙ্কার লুট করে পালায় ডাকাত সদস্যরা।

পরে ধামরাই থানায় একটি হত্যা ও ডাকাতি মামলা হয়। মামলার দায়িত্বভার গ্রহণ করেন কাওয়ালীপাড়া পুলিশ ফাঁড়ির দায়িত্বরত কর্মকর্তা পুলিশ পরির্দশক (তদন্ত) একেএম ফজলুল হক। তিনি উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে ছয়জন ডাকাতকে গ্রেপ্তার করেন।

এ ছাড়া জিরানি এলাকায় একটি গ্যারেজ থেকে তিনটি ইজিবাইক জব্দ করেন। এ সময় তার সঙ্গে দায়িত্বে ছিলেন এএসআই শামীম। পরে ইজিবাইক তিনটি ডাকাতি মামলার আলামত হিসেবে কাওয়ালীপাড়া ফাঁড়িতে নেন ফজলুল হক।

কয়েকদিন আগে গোপনে মামলার আলামত ইজিবাইক তিনটি মোটা অংকের অর্থের বিনিময়ে বিক্রি করে দেন পুলিশ পরির্দশক ফজলুল হক। ঊধ্বর্তন কর্মকর্তা ও দায়িত্বে থাকা এএসআই শামীমসহ সংশ্লিষ্ট কাউকে না জানিয়ে আলামত বিক্রি করেন তিনি।

এমআই