সেই জজকে বদলি ক্ষমতাশালীদের প্রভাব বিস্তারের নিকৃষ্ট দৃষ্টান্ত: সুজন

সেই জজকে বদলি ক্ষমতাশালীদের প্রভাব বিস্তারের নিকৃষ্ট দৃষ্টান্ত: সুজন

পিরোজপুরে দুর্নীতি মামলায় জামিনের আদেশ নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশের পর চার ঘণ্টার মধ্যেই তাকে ওএসডি করে ঢাকায় বদলি করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের এই আদেশ বিচার বিভাগের স্বাধীনতার ওপর নগ্ন হস্তক্ষেপ বলে মন্তব্য করেছে সুশাসনের জন্য নাগরিক-সুজন।

শনিবার সুজন সভাপতি এম হাফিজউদ্দিন এবং সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এ মন্তব্য করা হয়।

বিবৃতিতে বলা হয়, ৩ মার্চ পিরোজপুরের জেলা ও দায়রা জজ কর্তৃক একটি দুর্নীতি মামলায় সাবেক সংসদ সদস্য ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, পিরোজপুর জেলা কমিটির সভাপতি একেএমএ আউয়াল এবং তার স্ত্রী লায়লা পারভীনের জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। এই আদেশের পর আসামিদের অসুস্থতার কথা বলে তাদের আইনজীবী আদালতে চিকিৎসা প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন এবং তাদের হাসপাতালে রেখে চিকিৎসা ও ডিভিশন দেয়ার আবেদন করেন।

বেলা পৌনে ৩টায় বিচারক ডিভিশনসহ হাসপাতালে চিকিৎসার ব্যবস্থা নিতে কারা কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেন। বেলা ৩টার দিকে আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে ফ্যাক্সযোগে পাঠানো এক চিঠিতে জেলা ও দায়রা জজ আবদুল মান্নানকে ওএসডির আদেশ যায়। এরপর জেলা ও দায়রা জজ আবদুল মান্নান যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ নাহিদ নাসরিনের নিকট দায়িত্ব হস্তান্তর করেন।

এদিকে জেলা ও দায়রা জজকে তাৎক্ষণিক প্রত্যাহারের আদেশের বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন হাইকোর্ট। উচ্চ আদালত স্বপ্রণোদিত এক রুলে আইন সচিব ও উপসচিবকে (প্রশাসন-১) দুই সপ্তাহের মধ্যে জবাব দিতে বলেছেন।

বিবৃতিতে আরো বলা হয়, সুজন-এর পক্ষ থেকে এ ঘটনায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করছি। সুজন মনে করে, এ ঘটনা আদালতের ওপর রাজনৈতিক তথা ক্ষমতাশালীদের প্রভাব বিস্তারের নিকৃষ্ট দৃষ্টান্ত। আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের এহেন আচরণ রাষ্ট্রের বিচারব্যবস্থার প্রতি অনাস্থার শামিল। সর্বোপরি এর ফলে বিচারিক আদালতের সব সিদ্ধান্তকে প্রশ্নবিদ্ধ করা হল।