মতপ্রকাশ নিয়ে কূটনীতিকরা কথা বলায় ক্ষিপ্ত পররাষ্ট্রমন্ত্রী

মতপ্রকাশ নিয়ে কূটনীতিকরা কথা বলায় ক্ষিপ্ত পররাষ্ট্রমন্ত্রী

মতপ্রকাশ এবং গণমাধ্যম স্বাধীনতা নিয়ে ঢাকায় অবস্থানরত কূটনীতিকদের প্রতিক্রিয়ায় চটেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন। শুক্রবার গণমাধ্যমে সে রাগ উগরে দিলেন তিনি। ৩ শব্দে ঘটালেন তার বর্হিঃপ্রকাশ-‘দুর্ভাগ্যজনক, হতাশাব্যঞ্জক এবং অগ্রহণযোগ্য’।

মুক্তভাবে মতপ্রকাশ এবং গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিশ্চিতে আহবান জানিয়ে বৃহস্পতিবার নিজেদের প্রতিক্রিয়া জানান যুক্তরাষ্ট্র, বৃটেন, ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ পশ্চিমা সাত রাষ্ট্রদূত।

শুক্রবার গণমাধ্যমে দেয়া প্রতিক্রিয়ায় মন্ত্রী মোমেন বলেন, তাদের কোনো বক্তব্য থাকলে তা তারা কূটনৈতিক চ্যানেলে পাঠাতে বা বলতে পারতেন।

সাত রাষ্ট্রদূত যে বক্তব্য দিয়েছেন তা ‘দুর্ভাগ্যজনক, হতাশাব্যঞ্জক এবং অগ্রহণযোগ্য’ বলে মন্তব্য করেন আবদুল মোমেন।

করোনাভাইরাসের মতো মহামারির সময় নির্ভরযোগ্য ও বাস্তবভিত্তিক তথ্য প্রচার নিশ্চিত করার স্বার্থে গণমাধ্যম ও মতপ্রকাশের ওপর গুরুত্ব দিয়ে বৃহস্পতিবার আলাদা আলাদা টুইট করেন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত আর্ল মিলার, বৃটিশ হাই কমিশনার রবার্ট চ্যাটার্টন ডিকসন, ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) রাষ্ট্রদূত রেন্সজে তেরিঙ্ক, ডাচ রাষ্ট্রদূত হ্যারি ভেরওয়েজ, নরওয়ের রাষ্ট্রদূত সিডসেল ব্লেকেন, সুইডেনের রাষ্ট্রদূত শার্লোট স্লাইটার ও ডেনমার্কের রাষ্ট্রদূত উইনি এসট্রাপ পিটারসন।

বৃহস্পতিবার তারা প্রায় একইরকম বার্তা সম্বলিত টুইট করেন নিজ নিজ একাউন্ট থেকে। এতে তারা বলেন, বর্তমানে যে মহামারি চলছে এ সময়ে জনস্বাস্থ্যের সুরক্ষা তথা মানুষের স্বার্থ নিশ্চিতে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ন। পাশাপাশি দেশে গণমাধ্যমকর্মীদের স্বাধীনতা নিশ্চিতের আহবান জানান তারা।

কোনো গণমাধ্যমকর্মীর যাতে কন্ঠরোধ না করা হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখতে বলেন ওই সাত রাষ্ট্রদূত।

তাদের টুইটে সাম্প্রতিক গ্রেপ্তারের কথা উল্লেখ করা হয়।

ইউরোপীয় এক রাষ্ট্রদূত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অধীনে মামলা দায়েরের কথা জানান।

বৃটিশ রাষ্ট্রদূত রবার্ট ডিকসন তার টুইটে বলেন, গণমাধ্যম যাতে তার কাজ করতে পারে এবং মানুষ যাতে মত প্রকাশে স্বাধীন থাকে তা নিশ্চিত করা গুরুত্বপূর্ন।

ইউরোপীয় ইয়নিয়নের দূত রেন্সজে তেরিঙ্ক বলেন, সংকটকালীন সময়ে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা সব কিছুর থেকে বেশি জরুরি। মানুষের অবশ্যই সত্য ও তথ্যনির্ভর সংবাদ জানার সুযোগ থাকতে হবে।

ড. মোমেন বলেন, আমরা আমাদের মতো করে দেশ পরিচালনা করছি। আমি খুবই হতাশ। এটা খুবই হতাশাজনক এবং দুঃখজনক। এটা কোনোভাবেই ঠিক হয়নি।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বাকস্বাধীনতার মর্যাদার সঙ্গে দায়বদ্ধতার বিষয়টি জড়িত।

তিনি বলেন, তারা যদি পোশাকশিল্পের ক্রয়াদেশ বাতিলের বিষয়ে কিছু বলেন, অথবা আমাদের অভিবাসীদের নিরাপত্তা ও সহায়তা নিয়ে এবং অন্তত ছয় মাস তাদের চাকরির নিশ্চয়তা নিয়ে কথা বলতেন তবে আমরা খুব খুশি হতাম।