টিকার সরবরাহ নিশ্চিতে জেনেভা যাচ্ছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী

টিকার সরবরাহ নিশ্চিতে জেনেভা যাচ্ছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী

করোনা টিকার সুষম বণ্টন নিশ্চিতে কাজ করা বৈশ্বিক ম্যাকানিজম কোভ্যাক্সের মাধ্যমে বাংলাদেশে টিকার বড় চালান আসছে। যা সরকারের ২৬ কোটি টিকার প্রাথমিক টার্গেট পূরণে কেবল সহায়কই নয়, এটি সারপ্লাস হবে বলে মনে করে জেনেভাস্থ বাংলাদেশ স্থায়ী মিশন। মিশনের দায়িত্বশীল সূত্র মতে, চীনের দুটি প্রতিষ্ঠান সিনোফার্ম এবং সিনোভ্যাকের কাছ থেকে কোভ্যাক্সের মাধ্যমে প্রায় সাড়ে ১০ কোটি ডোজ টিকা কিনেছে বাংলাদেশ। আগামী মাস থেকে ওই টিকার সরবরাহ শুরু হবে।

ডিসেম্বরের মধ্যে কেনা ওই টিকার কমপক্ষে ৮ কোটি ডোজ বাংলাদেশে পৌঁছাবে। কোভ্যাক্সের মাধ্যমে বিনামূল্যে এবং তুলনামূলক কম দামে টিকা পাওয়ার যে লাইনআপ ঠিক হয়েছে তা যথাযথ প্রটোকল মেনে সময় মত সরবরাহ নিশ্চিতকরণ বিষয়ে আলোচনায় চলতি মাসের সমাপনীতে সুইজারল্যান্ড সফরে যাচ্ছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। জেনেভা সফরকালে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মহাপরিচালকসহ জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের সঙ্গে তার বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। জেনেভা মিশনের দায়িত্বশীল কর্মকর্তাদের হিসাব মতে, পূর্ব প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী কোভ্যাক্সের মাধ্যমে বিনামূল্যে মোট ৬ কোটি টিকা পাবে বাংলাদেশ, যার একটি উল্লেখযোগ্য অংশ ঢাকায় পৌঁছেছে।

তাছাড়া কোভ্যাক্সের নেগোসিয়েশনে তুলনামূলক কম দামে আরও সাড়ে ১০ কোটি ডোজ টিকা কেনা হয়েছে। চীনের দু'টি কোম্পানি ওই টিকা সরবরাহ করবে। এছাড়া দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যিক চুক্তির আওতায় চীনের সিনোফর্মের কাছ থেকে মোট সাড়ে ৭ কোটি ডোজ টিকা কেনা হচ্ছে। এর বাইরে আরও কয়েক লাখ টিকা অনুদান বা উপহার হিসেবে পাওয়া গেছে, ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে বলে আশা করছে ঢাকা। সব মিলে প্রায় ২৫ কোটি ডোজের বেশি টিকা পাওয়ার আশ্বাস মিলেছে।

এই যখন অবস্থা তখন ঘনিষ্ঠ প্রতিবেশি ভারতের তরফেও বাণিজ্যিক চুক্তির আওতায় বাকি ২ কোটি ৩০ লাখ টিকা ডিসেম্বরের মধ্য সরবরাহের ইঙ্গিত মিলেছে। অক্টোবর থেকে ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটের তৈরি কোভিশিল্ডের টিকা রপ্তানি সংক্রান্ত কেন্দ্রীয় নিষেধাজ্ঞা শিথিল হতে যাচ্ছে। ওই টিকার সরবরাহ নির্বিঘ্ন হলে বাংলাদেশে টিকার মোট স্টক দাঁড়াবে ২৮ কোটি ডোজে। উল্লেখ্য, সরকারি ভাষ্য মতে ১৮ বছর উর্ধ্ব নাগরিকদেন টিকার আওতায় আনতে (দুই ডোজ করে) বাংলাদেশে মোট ২৬ কোটি টিকার চাহিদা রয়েছে।

এমজে/