স্বাস্থ্য পরীক্ষা শেষে বাসায় খালেদা জিয়া

স্বাস্থ্য পরীক্ষা শেষে বাসায় খালেদা জিয়া

হাসপাতালে পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে বাসায় ফিরেছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী এবং বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। আজ বুধবার বিকেল সোয়া ৪টার দিকে গুলশানের বাসভবন ‘ফিরোজা’ থেকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালের উদ্দেশে রওনা দেন। পরে হাসপাতালে পৌঁছে পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে ৬টার পরপরই তিনি বাসার উদ্দেশে হাসপাতাল ছাড়েন। বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন এসব তথ্য জানান।

গুলশানের বাসভবনে পৌঁছে সাংবাদিকদের সামনে ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন বলেন, ‘১ ফেব্রুয়ারি তৃতীয় বারের মতো হাসপাতাল থেকে আসার পর আজ বুধবার ৬ এপ্রিল ডা. শাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে খালেদা জিয়ার চিকিৎসক দলের পরামর্শক্রমে উনার কিছু রুটিন চেকআপের জন্য এভারকেয়ার হসপিটালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। যে চেকাপগুলো বাসায় করানো সম্ভব নয়, সেগুলো ওখানে করানো হয়েছে। আজ ও আগামীকাল নাগাদ রিপোর্টগুলো হয়তো আমরা পেয়ে যাব। উনার অন্যান্য কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষাও করানো হয়েছে।’

ডা. এ জেড এম জাহিদ বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে উনি ক্রনিক লিভার ডিজিজে ভুগছেন। ডায়াবেটিস আছে ও আর্থ্রাইটিস এর কারণে শারীরিক জটিলতা এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে, অন্যের সাহায্য প্রয়োজন; হুইলচেয়ারে তাঁকে চলাফেরা করতে হয়। এই অবস্থায় পরিবার ও দলের পক্ষ থেকে তাঁর চিকিৎসার জন্য বিদেশে নেওয়ার আবেদন করে আসছি। কিন্তু দুর্ভাগ্যক্রমে, দেশের তিন বারের প্রধানমন্ত্রী ও স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের স্ত্রী সরকারের অনুমতি না পাওয়ার কারণে বিদেশে যেতে পারছেন না।

ডা. এ জেড এম জাহিদ আরও বলেন, ‘শত সীমাবদ্ধতার মধ্যেও তাঁর (খালেদা জিয়া) চিকিৎসক দলের সদস্যেরা, পরিবারের সদস্যেরা এবং দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তাঁর সহধর্মিণী ডা. জোবাইদা রহমানসহ সবাই সুচিকিৎসার ব্যাপারে অত্যন্ত সংবেদনশীল। সেই লক্ষ্যেই চতুর্থবারের মতো খালেদা জিয়াকে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছিল। পরবর্তী চিকিৎসায় কোনো পরিবর্তন প্রয়োজন রয়েছে কিনা, তা আগামীকাল নাগাদ পরিষ্কার জানা যাবে।’

পবিত্র মাহে রমজানে দেশবাসীর কাছে খালেদা জিয়া দোয়া চেয়েছেন এবং সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন বলে উল্লেখ করেন ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন।

এর আগে গতকাল মঙ্গলবার চিকিৎসক দলের প্রধান ডা. শাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে একটি দল খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের সর্বশেষ অবস্থা পর্যবেক্ষণ করতে তার বাসায় যান। পরে তাঁকে হাসপাতালে নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়।

জানা গেছে, শারীরিক অসুস্থতার কারণে চিকিৎসকরা রোজা রাখতে নিষেধ করলেও খালেদা জিয়া রোজা রাখার চেষ্টা করেন। এতে তিনি শারীরিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েন। এর আগে টানা ৮১ দিন হাসপাতালে চিকিৎসা নেওয়ার পর গত ১ ফেব্রুয়ারি বাসায় ফেরেন বিএনপির চেয়ারপারসন।