আওয়ামী লীগ নেতা এনু-রুপনের বিরুদ্ধে অর্থ পাচার মামলার রায় পেছাল

আওয়ামী লীগ নেতা এনু-রুপনের বিরুদ্ধে অর্থ পাচার মামলার রায় পেছাল

রাজধানীর গেণ্ডারিয়া থানা আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কৃত দুই ভাই—এনামুল হক ভূঁইয়া ওরফে এনু, রুপন ভূঁইয়াসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে অর্থ পাচারের অভিযোগে করা এক মামলার রায় পিছিয়েছে। আগামী ২৫ এপ্রিল নতুন দিন ধার্য করেছেন আদালত।

ঢাকার বিশেষ জজ আদালত–৫-এর বিচারক মো. ইকবাল হোসেনের আজ বুধবার এ মামলার রায় ঘোষণা করার কথা ছিল। কিন্তু, বিচারক ছুটিতে থাকায় আজ রায় হবে না বলে জানান আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) শওকত আলম।

এর আগে গত ১৬ মার্চ এ মামলায় যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে বিচারক রায়ের জন্য নতুন দিন ধার্য করেন।

২০১৯ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর দুই ভাই এনু-রুপনের বাড়িতে অভিযান চালায় র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)। সেখান থেকে সিন্দুকভর্তি টাকা ও গহনা জব্দ করার পর ওয়ান্ডারার্স ক্লাবের কর্মচারী আবুল কালাম এবং এনুর বন্ধু হারুন অর রশিদের বাসায় অভিযান চালানো হয়। সব মিলিয়ে ওই অভিযানে পাঁচ কোটি পাঁচ লাখ টাকা, আট কেজি স্বর্ণালঙ্কার এবং ছয়টি আগ্নেয়াস্ত্র জব্দ করে র‌্যাব। সেখানে কর্মচারী কালামের স্ত্রী ও মেয়ের দেখানো মতে চতুর্থ তলার বাড়ির দ্বিতীয়তলা থেকে দুই কোটি টাকা উদ্ধার করে র‍্যাব। এ ঘটনায় র‍্যাব-৩ এর পুলিশ পরিদর্শক (শহর ও যান) জিয়াউল হাসান ওই বছরের ২৫ নভেম্বর ওয়ারি থানায় মামলাটি দায়ের করেন।

পরবর্তীতে ২০২০ সালের ২১ জুলাই ১১ জনকে অভিযুক্ত করে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন সিআইডির পরিদর্শক মোহাম্মদ ছাদেক আলী।

অভিযোগপত্রের আসামিরা হলেন—মেরাজুল হক ভূঁইয়া শিপলু, রশিদুল হক ভূঁইয়া, সহিদুল হক ভূঁইয়া, পাভেল রহমান, তুহিন মুন্সি, আবুল কালাম আজাদ, নবীর হোসেন শিকদার ও সাইফুল ইসলাম। আসামিদের মধ্যে শিপলু, রশিদুল, সহিদুল ও পাভেল মামলার শুরু থেকে পলাতক রয়েছেন। তুহিন জামিনে আছেন। অপর ছয় আসামি আছেন কারাগারে।