তারা আমাদের কী মানবাধিকার শেখাবে? যুক্তরাষ্ট্রকে উদ্দেশ্য করে হাসিনা

তারা আমাদের কী মানবাধিকার শেখাবে? যুক্তরাষ্ট্রকে উদ্দেশ্য করে হাসিনা

বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে পশ্চিমা বিশ্বের চাপ প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘তারা কী মানবাধিকার শেখাবে?’ তাদের নিজেদের দেশেই মানবাধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে বলে উল্লেখ করেছেন তিনি।

আজ বুধবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সংবাদ সম্মেলনে প্রশ্নোত্তরে ‘আমাদের অর্থনীতি’ পত্রিকার সম্পাদক মাসুদা ভাট্টি বলেন, ‘বাংলাদেশের মতো রাষ্ট্রগুলোকে বাগে আনার অস্ত্র হয়ে দাঁড়িয়েছে মানবাধিকার। প্রধানমন্ত্রী এ বিষয়ে বাংলাদেশের সামনে মানবাধিকারকে সমুন্নত রেখে বাংলাদেশকে আরও ওপরের জায়গায় নিয়ে যাওয়ার জন্য পদ্মা সেতুর মতো কি সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন?’ আগামী নির্বাচন ঘিরে পশ্চিমা চাপ, বিশেষ করে মানবাধিকার প্রশ্নে চাপ মোকাবিলা নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য জানতে চান এই সাংবাদিক।

জবাবে সরাসরি যুক্তরাষ্ট্রের নাম উল্লেখ না করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘বাংলাদেশ কোনো চাপের মুখে নতি স্বীকার করেনি। কখনো করবেও না। মানবাধিকার আমাদের শেখাতে আসবে কারা? যারা খুনিদের আশ্রয় দেয়? যে দেশে প্রতিনিয়ত স্কুলের শিক্ষার্থী মারা যায়? রাস্তাঘাটে পুলিশ পাড়ায়ে মেরে ফেলে? তারা আমাদের কী মানবাধিকার শেখাবে? হ্যাঁ, তারা একটা কথা উঠাবে। আমাদের দেশে কিছু লোক নাচবে। কিন্তু আমাদের যে আত্মবিশ্বাস আছে, সে আত্মবিশ্বাস নিয়ে চলব। জনগণের শক্তি নিয়ে চলব।’

ভোটাধিকার কেড়ে নিয়ে ক্ষমতায় থাকতে চাই না

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, জনগণের ভোটাধিকার কেড়ে নিয়ে ক্ষমতায় থাকার ইচ্ছে আমার নেই। যখন মাঝপথে কেউ নির্বাচন ছেড়ে চলে যায়, তখন তো মাঠ ফাঁকা। বাকিরা তখন যা খুশি, তা–ই করতে পারে। সেই দোষ তো আওয়ামী লীগের না। বিএনপি যদি ক্ষমতায় আসে, তবে কাকে সরকারপ্রধান করবে?

শেখ হাসিনা বলেন, ২০১৮ সালের নির্বাচনে বিএনপি একেক সিটে দিনে তিনবার করে প্রার্থী পরিবর্তন করে। ঢাকা থেকে একজন ঠিক হয়। আবার লন্ডন থেকে আরেকজন। যে যত টাকা দিয়েছে, তাকে মনোনয়ন দিয়েছে। তারা মাঝখানে নির্বাচন ছেড়ে চলে গেল।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, যখন মাঝপথে কেউ নির্বাচন ছেড়ে চলে যায়, তখন তো মাঠ ফাঁকা। বাকিরা তখন যা খুশি, তা–ই করতে পারে। সেই দোষ তো আওয়ামী লীগের না। বিএনপি যদি ক্ষমতায় আসে, তবে কাকে সরকারপ্রধান করবে?

শেখ হাসিনা বলেন, ‘কোনো দল নির্বাচনে জয়ী হলে কে সরকারপ্রধান হবেন, সেটা আগেই বিবেচনা করা হয়। তারা যে নির্বাচন করবে, তাতে কাকে দেখাবে? সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামিকে? সে তো দেশের নাগরিকত্ব বাতিল করে ব্রিটিশ নাগরিকত্ব নিয়েছে। সাজাপ্রাপ্ত আসামি হয়ে কত টাকা খরচ করে ব্রিটিশ নাগরিকত্ব পেল একটু খোঁজ করেন। এখানে গণতন্ত্রের দোষ কোথায়?’

জাতীয় পার্টির প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আরেকটা দলের তো তথৈবচ অবস্থা। তাদের তো সাংগঠনিক তৎপরতা নেই। আর আমাদের বাকি ছিল বাম দলগুলো। তারা তো ক্ষুদ্র থেকে ক্ষুদ্র হতে হতে দাঁড়ি, কমা, সেমিকোলন। ভাঙতে ভাঙতে বাম থেকে ডানে কাত হয়, কখনো বামে কাত হয়। আর আছে কে? শক্তিশালী একটা দল করে দেন। মাঠে দেখা হবে।’