বিএনপি না এলে নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক হবে না: সিইসি

বিএনপি না এলে নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক হবে না: সিইসি

বিএনপি না এলে নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক হবে না বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল।

সোমবার খেলাফত মজলিসের সঙ্গে সংলাপের শুরুতে সিইসি এ মন্তব্য করেন।

বিভিন্ন গণমাধ্যমে বিএনপি ও সমমনা কিছু দল নির্বাচনে আসবে না জানতে পেরেছেন উল্লেখ করে সিইসি বলেন, আমরাও মনে করি বিএনপি যদি এই নির্বাচনে অংশ না নেয় তাহলে আমাদের অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন আয়োজনের উদ্দেশ্য সফল হবে না। নির্বাচন হয়তো আমরা করবো।

২০২৩ সালের ডিসেম্বরের শেষ বা ২০২৪ সালের জানুয়ারির প্রথমদিনে জাতীয় সংসদ নির্বাচন হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, নির্বাচনের জন্য অনেক ধরনের প্রস্তুতির প্রয়োজন হয়। অনেক সমঝোতার প্রয়োজন পড়ে। আমাদের পক্ষ থেকে আইন ও বিধির আলোকে প্রস্তুতিগুলো নিচ্ছি।

নির্বাচন নিয়ে চলমান সংকটের কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, নির্বাচন নিয়ে বর্তমানে সংশয় দেখা দিয়েছে যে, একটি বড় অংশ নির্বাচনে আসতে চাইছে না বা আসবেন না বলে সুস্পষ্ট ঘোষণা দিয়েছে। আমরা প্রথম থেকেই অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের কথা বলেছি। আপনারাও দাবি করেছিলেন— সব দলের অংশগ্রহণে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের কথা। অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের বড় কথা হচ্ছে দেশের প্রধানতম রাজনৈতিক দলগুলো বড় আকারে অংশগ্রহণ করবেন।

সিইসি বলেন, গণমাধ্যমে জানতে পেরেছি জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি ও সমমনা কয়েকটি দল সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা নির্বাচনে অংশ নেবে না। তাদের নিজস্ব কিছু কর্মসূচি আছে নির্বাচনকালীন সরকার থাকতে হবে। এ রকম কিছু পরিবর্তন না হলে তারা নির্বাচনে আসবে না। এটিও কিন্তু একটি অস্থিরতা সৃষ্টি করেছে। একটি সংশয়ের সৃষ্টি করেছে।

নির্বাচনের জন্য ইসি প্রস্তুত রয়েছে উল্লেখ করে হাবিবুল আউয়াল বলেন, আমরাও মনে করি বিএনপি যদি এই নির্বাচনে অংশ না নেয় তাহলে আমাদের যে উদ্দেশ্য অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন আয়োজন করা সেটি হয়তো সফল হবে না। নির্বাচন হয়তো আমরা করবো। আবার বিএনপি যেভাবে নির্বাচন করতে চাইছে সেটি যদি অন্যান্য দল বিশেষ করে শাসক দলের সঙ্গে বসে সুরাহা করতে পারে, একটি ঐকমত্যে পৌঁছতে পারে তাহলে সেই ঐকমত্যের ভিত্তিতে নির্বাচন করতে কোনো বাধা নেই। সেই প্রতিশ্রুতিটি আমরা এখনও পাচ্ছি না। ওই অবস্থাটি এখনও আসেনি। এখনও একটি সংশয় দ্বিধাদ্বন্দ্বের মধ্যে আছি যে— আল্টিমেটলি বিএনপি কি নির্বাচনে আসছে? না ওই অবস্থাটি সরকারের সঙ্গে আলাপ আলোচনা করে, আওয়ামী লীগের সঙ্গে আলাপ আলোচনা করে হয়তো একটি অবস্থান সৃষ্টি করবে। তারপর একটি নির্বাচন হবে। সেটি যাই হোক— তা এখনও অনিশ্চিত।

তিনি বলেন, আমরা বিএনপিকে আহ্বান করছি, আহ্বান জানিয়ে যাচ্ছি, তারা যেন নির্বাচনে আসে। যে কোনো উপায়ে আমাদের এই নির্বাচনে আসেন। তাদের রাজনৈতিক কৌশল যদি ভিন্ন হয় সেক্ষেত্রে আমাদের কোনো মন্তব্য নেই। তার পক্ষে-বিপক্ষে আমাদের কোনো অবস্থান নেই। রাজনৈতিক দলের নিজস্ব স্বাধীনতা আছে। তারা তাদের প্রজ্ঞা অনুযায়ী যে কোনো কৌশল বা কর্মসূচি হাতে নিতে পারে।

খেলাফত মজলিস নেতাদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আমাদের কাজ নির্বাচন করা, যেসব দল নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে তাদের সঙ্গে আমরা সংলাপ করতে চাই। আপনারাও সংলাপে সাড়া দিয়েছেন। আশা করি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবেন।

এর আগে বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোটের সঙ্গে সংলাপে সিইসি বলেন, নির্বাচন কমিশনের অধীনে স্বরাষ্ট্র ও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় আনতে সংবিধান সংশোধন করতে হবে। সেটি বড় কথা নয়, সবই সম্ভব, যদি রাজনৈতিক ঐকমত্য হয়।