উপকূলীয় অঞ্চলের ইলিশে সয়লাব চাঁদপুর মাছ ঘাট

উপকূলীয় অঞ্চলের ইলিশে সয়লাব চাঁদপুর মাছ ঘাট

সাগর আর উপকূলীয় অঞ্চলের ইলিশে সয়লাব চাঁদপুরের বড় স্টেশন মাছ ঘাট। ট্রলারভর্তি ইলিশ নিয়ে এসব অঞ্চল থেকে ঘাটে আসছেন জেলেরা। প্রতিদিন গড়ে ২-৩ হাজার মণ ইলিশের সরবরাহ হচ্ছে এই ঘাটে। উপকূলীয় অঞ্চলের ইলিশের সরবরাহ বৃদ্ধি পাওয়ায় এসব অঞ্চলের ইলিশের দাম কিছুটা কমলেও অপরিবর্তিত রয়েছে চাঁদপুরের পদ্মা-মেঘনার ইলিশের দাম।

আড়তদারদের দাবি, ঘাটে উপকূলীয় অঞ্চলের ইলিশ যেখানে দিনে ২-৩ হাজার মণ আসছে সেখানে চাঁদপুরের স্থানীয় পদ্মা-মেঘনার ইলিশ আসছে ১০-১২ মণ। এজন্য দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।

শনিবার (২৫ জুলাই) মধ্যরাতে শেষ হয় সাগরে জেলেদের ইলিশ শিকারের নিষেধাজ্ঞা। নিষেধাজ্ঞা শেষে সাগরে নেমে পড়েন জেলেরা। জেলেদের দাবি, সাগর ও উপকূলীয় অঞ্চলে ভালো পরিমাণে ইলিশ ধরা পড়ছে। চাঁদপুরে ইলিশের তুলনামূলক দাম একটু বেশি পাওয়ার আশায় তারা এখানে ছুটে আসছেন।

আড়তদাররা বলছেন, মৌসুমের সবচেয়ে বেশি ইলিশ এখন ঘাটে আসছে। উপকূলীয় অঞ্চলের ইলিশের আমদানি বাড়ায় দাম কিছুটা কমেছে।

মাছ ঘাট ঘুরে দেখা যায়, সাগর থেকে ট্রলারভর্তি মাছ নিয়ে ঘাটে ফিরছেন জেলেরা। শ্রমিকরা ট্রলার থেকে তুলে নিয়ে আড়তে স্তূপ করে রাখছেন। সবশেষে এসব মাছ নিলামে খরিদ করছেন আড়তদাররা।

উপকূলীয় অঞ্চল থেকে আসা জেলে হাশেম গাজী ও জয়নাল মাঝি বলেন, ‘সাগরে ইলিশ ধরার নিষেধাজ্ঞা শেষে আমরা নদীতে নেমেছি। আলহামদুলিল্লাহ ভালো মাছ পাচ্ছি। চাঁদপুরে মাছের দাম একটু বেশি পাই। তাই সরাসরি চাঁদপুর মাছ ঘাটে চলে এসেছি।’

চাঁদপুর বড় স্টেশন মাছ ঘাটের আড়তদার সম্রাট বেপারী ও মাসুদ খান জানান, দুদিন আগেও ঘাটে মাছের আমদানি ছিল এক হাজার মণের মতো। সেখানে রোববার থেকে ইলিশের সরবরাহ অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। ঘাটে আসা ইলিশগুলো সাগর ও উপকূলীয় অঞ্চলের। উপকূলীয় অঞ্চলের ইলিশের দাম কেজিতে ১০০-১৫০ টাকা পর্যন্ত কমেছে।

চাঁদপুর মাছ ঘাটে আসা ৫০০-৭০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ ৬০০-৭০০ টাকা, ৭০০-৯০০ গ্রাম ওজনের ৭৫০-৯০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

ঘাটে ইলিশ কিনতে আসা আবুল কালাম ও কাশেম খান বলেন, ‘ইলিশের দাম কিছুটা সাধ্যের মধ্যে এসেছে। তবে পদ্মা-মেঘনার ইলিশের দাম এখনো কমেনি। ঘাটে এখন যেসব মাছ দেখছি তার বেশিরভাগই দক্ষিণাঞ্চলের। আমাদের চাঁদপুরের মাছ কম দেখা যাচ্ছে। তাই হয়তো লোকাল ইলিশের দাম এখনো কমেনি।

চাঁদপুর মৎস্য বণিক সমিতির সভাপতি আব্দুল বারি মানিক জমাদার বলেন, দুদিন ধরে দক্ষিণাঞ্চলের ইলিশ ঘাটে আসতে শুরু করায় সরবরাহ অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। আমদানি এমন থাকলে আশা করছি দাম আরও কিছুটা সাধারণ মানুষের হাতের নাগালে চলে আসবে।