‘কার্ল কুবল’ পুরস্কার পেলেন ড. ইউনূস

‘কার্ল কুবল’ পুরস্কার পেলেন ড. ইউনূস

বিশ্বব্যাপী পরিবার-এর উন্নয়নে অসামান্য ও বহুমূখী অবদান রাখায় ‘কার্ল কুবল পুরস্কার’ পেয়েছেন নোবেল বিজয়ী প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস। গত শুক্রবার জার্মানীর “কার্ল কুবল ফাউন্ডেশন ফর চিলড্রেন এন্ড ফ্যামিলি” তাকে এ পুরস্কারে ভূষিত করেছে।

সোমবার ইউনূস সেন্টারের প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। এতে বলা হয়, ফাউন্ডেশনের ৫০ম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর অনুষ্ঠানে ড. ইউনূসকে এ সম্মাননা দেয়া হয়। ‘পরিবার গুরুত্বপূর্ণ’- স্লোগানকে সামনে রেখে এবারের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন করছে প্রতিষ্ঠানটি। কার্ল কুবল ফাউন্ডেশনের পরিচালনা পরিষদের ডেপুটি চেয়ার ড. কার্সটিন হুমবার্গ এ উপলক্ষ্যে বলেন, ড. ইউনূস তার অসংখ্য নারী গ্রাহকদের সন্তান ও পরিবারের জন্য একটি অধিকতর সমৃদ্ধ জীবন নিশ্চিত করেছেন। ড. কার্সটিন বাংলাদেশি এই অর্থনীতিবিদের প্রশংসা করে বলেন, কোভিড-১৯, বৈশ্বিক উষ্ণায়ন, নতুন নতুন যুদ্ধ - পৃথিবীর নানাবিধ সংকটের সময় ইউনূস মানুষের জন্য আশার একটি বিশাল উৎস হিসেবে কাজ করে যাচ্ছেন।

সমাজসেবক কার্ল কুবল ও প্রফেসর ইউনূসের মধ্যে তুলনা করতে গিয়ে ড. কার্সটিন বলেন যে, তারা উভয়েই ১৯৮০-র দশকে মানুষের উদ্যেক্তা সত্ত্বা বিকশিত করার মাধ্যমে সামাজিক লক্ষ্যসমূহ নিশ্চিত করতে কাজ শুরু করেন এবং উভয়েই মানুষকে সহায়তা করতে এমন সুচিন্তিত পদ্ধতি প্রয়োগ করেন যাতে তারা নিজেরাই নিজেদেরকে সহায়তা করতে পারে। কুবল ও ইউনূস উভয়েই ব্যবসায় উদ্যোগ-ভিত্তিক উন্নয়ন সহযোগিতার পথপ্রদর্শক।

উল্লেখ্য, উদ্যোক্তা কার্ল কুবল কর্তৃক ১৯৭২ সালে প্রতিষ্ঠিত “কার্ল কুবল ফাউন্ডেশন ফর চিলড্রেন এন্ড ফ্যামিলি” “মানুষকে নিজেদেরকে সহায়তা করতে সহায়তা করার” নীতিতে কাজ করে এবং জার্মানী ও বিশ্বের অন্যত্র অসহায়, সুবিধাবঞ্চিত শিশু ও পিতা-মাতাদের জন্য গত ৫০ বছর ধরে কাজ করে আসছে।” জার্মানীর দক্ষিণ হেস-এর বেনশাইমে প্রতিষ্ঠানটির সদর দপ্তর অবস্থিত।