গাইবান্ধা উপনির্বাচনে অনিয়ম-সংঘর্ষ, ৪৩ কেন্দ্র স্থগিত, সিইসি বললেন- পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে

গাইবান্ধা উপনির্বাচনে অনিয়ম-সংঘর্ষ, ৪৩ কেন্দ্র স্থগিত, সিইসি বললেন- পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে

গাইবান্ধা-৫ (ফুলছড়ি-সাঘাটা) আসনে উপ-নির্বাচনে ভোটকেন্দ্রের বুথে জোরপূর্বক অনুপ্রবেশ নিয়ে আওয়ামী লীগ প্রার্থী ও স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। আজ সকালে সাঘাটা উপজেলার জুমারবাড়ি ইউনিয়নের দহিছড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে। র‌্যাব, পুলিশ, বিজিবিসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত হয়েছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। সংঘর্ষে আওয়ামী লীগের তিন সমর্থক আহত হয়েছেন। এদিকে সকাল থেকে সিসি ক্যামেরায় নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্য কমিশনাররা। বিভিন্ন কেন্দ্রে ব্যাপক অনিয়ম ও সংঘর্ষের ফলে এখন পর্যন্ত ৪৩টি কেন্দ্রের ভোটগ্রহণ স্থগিত করা হয়। তবে কিছুক্ষণ পর পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে স্থগিত কেন্দ্রগুলোতে ফের ভোটগ্রহণ শুরু হয়।

ওদিকে আজ সকালে নির্বাচন কমিশন ভবনে গাইবান্ধার উপনির্বাচনের পরিস্থিতি নিয়ে গণমাধ্যমের মুখোমুখি হন সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল। এসময় তিনি বলেন, নির্বাচন নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে। নির্বাচন নির্বাচনের মতোই করতে চায় কমিশন। অনিয়মের ছবি ধরা পড়ায় এসব কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ সাময়িক বন্ধ করা হয়।

এদিকে গাইবান্ধা-৫ (ফুলছড়ি-সাঘাটা) আসনে সকাল ৮টায় ইলেকট্রিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) মাধ্যমে ভোটগ্রহণ শুরু হয়।

একটানা চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। এবার নারী ভোটারের চেয়ে পুরুষ ভোটারের সংখ্যা বেশি। তবে ইভিএম মেশিনে জটিলতার কারণে কয়েকটি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণে বিলম্ব হচ্ছে বলে জানা যায়।

কয়েকটি কেন্দ্র ঘুরে দেখা গেছে, ভোটার উপস্থিতি খুবই কম। প্রায় ভোটকেন্দ্রই ফাঁকা। কিছুক্ষণ পরপর দুয়েকজন ভোটার আসছেন।

সাঘাটা ও ফুলছড়ি উপজেলার ১৭টি ইউনিয়নের মোট ১৪৫টি কেন্দ্রে ভোট নেয়া হচ্ছে ইভিএমে। ১৪২ কেন্দ্রে সিসি ক্যামেরার মাধ্যমে ভোটগ্রহণের কার্যক্রম সরাসরি পর্যবেক্ষণ করছে নির্বাচন কমিশন।

এর মধ্যে সাঘাটা উপজেলার ১০টি ও ফুলছড়ি উপজেলার সাতটিসহ মোট ১৭টি ইউনিয়ন নিয়ে মিলে ৩ লাখ ৩৯ হাজার ৭৪৩ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ১ লাখ ৬৯ হাজার ৫৮৩ জন এবং নারী ভোটার ১ লাখ ৭০ হাজার ১৬০ জন।

আসনটিতে পাঁচজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এর মধ্যে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকে মাহমুদ হাসান রিপন, জাতীয় পার্টির এ এইচ এম গোলাম শহীদ রনজু (লাঙল), বিকল্পধারা বাংলাদেশের জাহাঙ্গীর আলম (কুলা), স্বতন্ত্র প্রার্থী নাহিদুজ্জামান নিশাদ (আপেল) ও সৈয়দ মাহবুবুর রহমান (ট্রাক)।

প্রসঙ্গত, গত ২২শে জুলাই যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কের মাউন্ট সিনাই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার মো. ফজলে রাব্বী মিয়া। এর দুই দিন পর তার সংসদীয় আসন শূন্য ঘোষণা করে সংসদ সচিবালয়।