পাথর উত্তোলনে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার দাবিতে সিলেটে পণ্যবাহী পরিবহন ধর্মঘট

পাথর উত্তোলনে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার দাবিতে সিলেটে পণ্যবাহী পরিবহন ধর্মঘট

ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে পাথর তোলার অনুমতি ও কোয়ারি থেকে পাথর উত্তোলনে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের দাবিতে সিলেটে ৪৮ ঘণ্টার পণ্যবাহী পরিবহন ধর্মঘট চলছে।

আজ সোমবার সকাল ৬টা থেকে এই ধর্মঘট শুরু হয়।

গতকাল রোববার রাতে সিলেটের জেলা প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠক শেষে ফলপ্রসূ সিদ্ধান্ত না আসায় পণ্যবাহী পরিবহন মালিক-শ্রমিকরা ধর্মঘট অব্যাহত রাখার ঘোষণা দেন।

গত ১৭ অক্টোবর সংবাদ সম্মেলনে এই ধর্মঘটের ঘোষণা দেয় সিলেট বিভাগীয় ট্রাক, পিকআপ ভ্যান ও কাভার্ড ভ্যান মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদ।

সিলেট জেলা ট্রাক মালিক সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক সাব্বির আহমেদ ফয়েজ দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'সিলেটে অন্য কোনো শিল্প নেই। কেবলমাত্র পাথর শিল্পের ওপর নির্ভর করে পরিবহন মালিকরা এ ব্যবসায় জড়িত আছেন। এই মুহূর্তে বেশ কয়েকটি কোম্পানি থেকে কিস্তিতে কেনা অন্তত ৩০ হাজার ট্রাকের মালিকরা কিস্তি দিতে পারছেন না। এ ছাড়াও, এসব পরিবহনের লক্ষাধিক শ্রমিক বেকার।'

তিনি আরও বলেন, 'আমরা সরকারের কাছে দাবি জানাচ্ছি ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে পাথর উত্তোলনের অনুমতি দেওয়া হোক। সার্বক্ষণিক দায়িত্বপ্রাপ্ত কমিটি থাকুক। পরিবেশসম্মতভাবে ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে পাথর উঠছে কিনা তা তদারকি করা হোক।'

বাংলাদেশ খনিজসম্পদ উন্নয়ন ব্যুরোর তথ্য মতে, সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় ৪, গোয়াইনঘাট উপজেলায় ২ এবং কানাইঘাট ও জৈন্তাপুর উপজেলায় একটি করে মোট ৮ পাথর কোয়ারি আছে।

ব্যুরোর তথ্য মতে, গত ৩ ডিসেম্বর ২০১৯ তারিখে মন্ত্রিপরিষদ 'পাথর উত্তোলনে সমস্যা নিরসনে সুপারিশ প্রণয়ন কমিটি' গঠনের পরিপ্রেক্ষিতে জ্বালানি ও খনিজসম্পদ বিভাগের ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ও ২ নভেম্বর ২০২০ তারিখের নির্দেশনা অনুযায়ী সব পাথর কোয়ারি ইজারা বন্ধ আছে।

এ দিকে, কারো চাপে নতিস্বীকার না করতে এবং উচ্চ আদালতের নির্দেশ ও সরকারের নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে আন্দোলনরতদের আইনের আওতায় আনার আহবান জানিয়ে গতকাল রাতে যৌথ বিবৃতি দিয়েছেন সিলেটের ২০ নাগরিক।