ঢাকা–রাজশাহী মহাসড়ক অবরোধ করে রেখেছেন রাবি শিক্ষার্থীরা

ঢাকা–রাজশাহী মহাসড়ক অবরোধ করে রেখেছেন রাবি শিক্ষার্থীরা

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) স্থানীয়দের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনার জের ধরে ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়ক অবরোধ করেছেন শিক্ষার্থীরা। আজ রোববার দুপুর ১২টার পর একদল শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে মহাসড়কে আগুন জ্বালিয়ে অবরোধ করেন।

গতকালের সংঘর্ষের ঘটনার পর থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনের ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়কে দূর পাল্লার বাস ও ট্রাক চলাচল করতে দেখা যায়নি। এসব যান বিকল্প পথে রাজশাহী বাইপাস সড়ক দিয়ে চলাচল করছে। আজ সকাল থেকে সড়কটি দিয়ে অটোরিকশাসহ ছোট ছোট যানবাহন চলাচল করছিল। মহাসড়ক দিয়ে কোনো যানবাহন চলাচল করছে না।

আজ দুপুরে সরেজমিনে দেখা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে সড়কে একদল শিক্ষার্থীরা অবস্থান নিয়েছেন। তাঁরা রাস্তার ওপর ইট রেখে ও আগুন জ্বালিয়ে যান চলাচল বন্ধ করে রেখেছেন। সেখানে তাঁরা একটি ব্যানারে ‘সন্ত্রাসী, ছিনতাই ও বর্বরদের কোন ছাড় নয়, জেগেছে রে রাবিয়ান, এবার হবে অ্যাকশন’ লেখা প্রদর্শন করেন।

এ সময় কিছু শিক্ষার্থীর হাতে লাঠিসোঁটাও দেখা যায়। সড়কের একপাশে অবস্থান করছেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।

গতকাল শনিবার বগুড়া থেকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে আসার পথে বাসের আসনে বসাকে কেন্দ্র করে চালক ও চালকের সহকারীর সঙ্গে এক শিক্ষার্থীর কথা-কাটাকাটি হয়। পরে বাসটি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিনোদপুর ফটকে পৌঁছালে ওই শিক্ষার্থীর সঙ্গে আবার বাগ্‌বিতণ্ডা হয়। এ সময় স্থানীয় এক দোকানদার এসে ওই শিক্ষার্থীর সঙ্গে তর্কে জড়ান। একপর্যায়ে উভয়ের মধ্যে ধাক্কাধাক্কি হয়। পরে সমাজবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীরা ঘটনাস্থলে জড়ো হয়ে ওই দোকানদারের ওপর চড়াও হন। একপর্যায়ে স্থানীয় ব্যবসায়ীরা জড়ো হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালান। তখন শিক্ষার্থীরাও তাঁদের পাল্টা ধাওয়া করেন। একপর্যায়ে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বেঁধে যায়।

দফায় দফায় এ সংঘর্ষে স্থানীয় মানুষের হামলায় দুই শতাধিক শিক্ষার্থী আহত হন। শিক্ষার্থীরা বিনোদপুর এলাকায় দোকানে ও পুলিশ বক্সে আগুন ধরিয়ে দেন। পুলিশ কাঁদানে গ্যাসের শেল ও রাবার বুলেট ছোড়ে।

এ ঘটনার প্রতিবাদে আজ সকাল থেকে ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ করছেন শিক্ষার্থীরা।