থমথমে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস

থমথমে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস

থমথমে অবস্থা পরিবেশ বিরাজ করছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) ক্যাম্পাসে। ৩৮ ঘণ্টা পর বিক্ষোভ থেকে শিক্ষার্থীরা সরে গেলে রাজশাহী-ঢাকা সড়কে হালকা যান চলাচল করতে দেখা গেছে।

সরেজমিনে দেখা, সকাল থেকে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন জায়গায় থমথমে পরিবেশ বিরাজ করছে। কোথাও নেই শিক্ষার্থীদের আনাগোনা। নেই বিক্ষোভ মিছিল বা আন্দোলন। সকালে লাইব্রেরির সামনে কিছু শিক্ষার্থীরা বসলেও পরে তারা আবার উঠে যায়। মহাসড়ক দিয়ে অটোরিকশাসহ ছোট ছোট যানবাহন চলাচল করছে। বাস-ট্রাকের মতো বড় যানবাহন বিকল্প পথে রাজশাহী বাইপাস সড়ক দিয়ে চলাচল করছে। বিনোদপুর ও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পুরো ক্যাম্পাস নজরে রাখছেন গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিনিধিরা।

রোববার রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের রেললাইনে আগুন জালিয়ে বিক্ষোভ করে শিক্ষার্থীরা। ফলে রাজশাহী রেল স্টেশনের সঙ্গে চাঁপাইনবাবগঞ্জ ছাড়া বাকি সব জেলার রেল যোগাযোগ প্রায় চার ঘণ্টা বন্ধ ছিল। পরে রাত ২টার দিকে আবার রেল চলাচল স্বাভাবিক হয়।

এদিকে রাত ৮টা থেকে সাত দফা দাবিতে আমরণ অনশন শুরু করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৫ শিক্ষার্থী। পরে প্রশাসন এসে তাদের সঙ্গে কথা বলে অনশন স্থগিত করেন।

ওই দিন দুপুর ১২টার দিকে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীদের একটি অংশ অগ্নিসংযোগ, ইট ও গাছের গুঁড়ি রেখে ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়ক সড়ক অবরুদ্ধ করে রাখে। পরে তারা সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক থেকে সরে গিয়ে চারুকলা অনুষদসংলগ্ন রেললাইনে অবস্থান নেন। এ সময় তারা ব্যানার, টায়ার, পাখির অবয়ব (ডামি) পুড়িয়ে দেওয়া হয়।

এদিকে শনিবার সন্ধ্যা থেকে রাজশাহী-ঢাকা মহাসড়ক বন্ধ থাকার ফলে বন্ধ ছিলো যান চলাচল। তবে বিকল্প পথে চালু আছে যান চলাচল। নাটোরের দিক থেকে আসা যানবাহন শহরে প্রবেশ করতে বুধপাড়া ফ্লাইওভার হয়ে ঢুকছে। আর বাজারের দিক থেকে কাটাখালীর দিকে আসা ছোট যানবাহন ফুলতলা বালুরঘাট হয় যাচ্ছে।

এর আগে শনিবার বাসের ভাড়া নিয়ে বাগবিতণ্ডার জেরে বিনোদপুর বাজারে স্থানীয়-শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। এ ঘটনায় দুই শতাধিক শিক্ষার্থী রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।