বঙ্গবাজারের আগুন পুরোপুরি নিভেছে: ফায়ার সার্ভিস

বঙ্গবাজারের আগুন পুরোপুরি নিভেছে: ফায়ার সার্ভিস

রাজধানীর ফুলবাড়িয়া সংলগ্ন বঙ্গবাজার মার্কেটের আগুন পুরোপুরি নিভেছে। মঙ্গলবার সকাল সোয়া ৬টায় আগুন লাগার ৭৫ ঘণ্টা পর পর শুক্রবার সকালে পুরোপুরিভাবে এ আগুন নিভল। সকালে ফায়ার সার্ভিস এ তথ্য জানিয়েছে। অগ্নিকাণ্ডের সাড়ে ৬ ঘণ্টা পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আসলেও ভেতরে কিছু জায়গায় জ্বলতে দেখা যায়।  

ফায়ার সার্ভিসের উপসহকারী পরিচালক শাহজাহান সিকদার বলেন, শুক্রবার সকাল সাড়ে ৯টায় সব প্রক্রিয়া শেষে বঙ্গবাজারের আগুন নির্বাপণ সম্পন্ন হয়েছে।

তিনি জানান, নিরাপত্তার কথা ভেবে সেখানে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রাখা হয়েছিল। ইতোমধ্যে বিদ্যুৎ সংযোগও দেওয়া হয়েছে।  

দেশের অন্যতম বড় এই পাইকারি মার্কেটের আগুন নেভাতে ফায়ার সার্ভিসের ৫০টি ইউনিটের পাশাপাশি সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনীর সদস্যরা কাজ করেছেন। বিমানবাহিনীর দুটি বেল-২১২ ও দুটি এমআই-১৭ হেলিকপ্টার পর্যবেক্ষণ মিশনও আগুন নিয়ন্ত্রণে অংশ নেয়। এ ছাড়া পুলিশ, র‍্যাব, বিজিবি, আনসার সেখানে দায়িত্ব পালন করে। ঝুঁকিপূর্ণ মার্কেটে ছেয়ে আছে পুরো রাজধানী

আগুনের ঘটনায় ফায়ার সার্ভিস ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন আলাদা তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। এখন পর্যন্ত আগুন লাগার কারণ নিয়ে কোনো সংস্থা স্পষ্ট কোনো মন্তব্য করেনি। তদন্ত শেষে তাঁরা এ ব্যাপারে মত দেবেন। তবে কোনো কোনো ব্যবসায়ীর দাবি, বঙ্গবাজারের ১০ ফুট গলি থেকে আগুনের সূত্রপাত।

ব্যবসায়ীরা জানান, বঙ্গবাজার কমপ্লেক্সের ভেতর চারটি মার্কেট। সেগুলো হলো– বঙ্গবাজার মার্কেট, মহানগর মার্কেট, আদর্শ মার্কেট ও গুলিস্তান মার্কেট। কাঠ ও টিনের তৈরি এই মার্কেটগুলো তিনতলার। সেখানে তিন হাজারের মতো দোকান আছে। এর সবকটি পুড়ে গেছে। বঙ্গবাজার কমপ্লেক্স লাগোয়া সাততলা এনেক্সকো টাওয়ার মার্কেটের একাধিক তলায় আগুন লাগে। এর দক্ষিণ পাশে আছে মহানগর কমপ্লেক্স। দোতলার এই মার্কেটটি টিনের। ওই মার্কেটও ছাই হয়ে গেছে। এ ছাড়া বঙ্গবাজারের উল্টোপাশে চারতলা বঙ্গ ইসলামিয়া ও সাততলা বরিশাল প্লাজা নামে আরও দুটি মার্কেটের একাধিক তলায় আগুন ছড়ায়। সব মিলিয়ে আট মার্কেটের পাঁচ হাজারের বেশি দোকান ও গুদাম ভস্মীভূত হয়।