১৮, ১৯ জুলাই শোভাযাত্রা নামে পাল্টা কর্মসূচি ঘোষণা আওয়ামী লীগের

১৮, ১৯ জুলাই শোভাযাত্রা নামে পাল্টা কর্মসূচি ঘোষণা আওয়ামী লীগের

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনগুলোকে সম্পৃক্ত করে অভিন্ন কর্মসূচি দেবে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। শুক্রবার বিকালে সহযোগী সংগঠনের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময়ের আগে কর্মসূচির কথা জানান দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

এ সময় আওয়ামী লীগের উদ্যোগে ‘শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশ’ শিরোনামে বিভিন্ন সমাবেশ হবে জানিয়ে তিনি বলেন, শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশের প্রথম ধাপ শুরু হবে আগামী ১৮ জুলাই। এদিন মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের উদ্যোগে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউট থেকে বঙ্গবন্ধু ভবন পর্যন্ত শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হবে। পরদিন ১৯ জুলাই ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগ সাত রাস্তা থেকে মহাখালী পর্যন্ত শোভাযাত্রা করবে। এসব কর্মসূচিতে বিএনপির কর্মসূচির সঙ্গে যেন মুখোমুখি না হয়, তা নিশ্চিত করতে হবে।

উল্লেখ্য, ১২ জুলাই নয়াপল্টনে আয়োজিত মহাসমাবেশ থেকে ১৮, ১৯ জুলাই পদযাত্রা কর্মসূচির ঘোষণা করেছিলেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। সরকারের পদত্যাগের এক দফা দাবিতে আগামী ১৮ জুলাই ঢাকাসহ সারাদেশে এবং ১৯ জুলাই শুধু ঢাকায় পদযাত্রা কর্মসূচি করবে দলটি।

শোকের মাস আগস্টকে ফোকাস করার কথা জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, আগস্টের বেশি সময় বাকি নেই। এ মাসের কর্মসূচি আমরা মোটামুটি সবাই জানি। আগস্ট মাসে ব্যাপকভাবে সমাবেশ হবে। সেখানে প্রস্তুতির বিষয়টা জানাতে চাই। দল অনুযায়ী আমরা, আমাদের সংগঠনগুলো আগের তুলনায় অনেক সংগঠিত হয়েছে। নিজেরা নিজেদের যে শক্তি আছে, তা নিয়ে সমাবেশ করছে।

অভিন্ন কর্মসূচির বিষয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, কৃষক লীগ, শ্রমিক লীগ, ছাত্রলীগ সমাবেশ করতে পারে। যুবলীগেরটা কন্টিনিউ করবে। সেপ্টেম্বর মাস নির্বাচনের শিডিউল ঘোষণা পর্যন্ত আমরা শান্তিপূর্ণভাবে রাজপথে সতর্কতার সঙ্গে থাকবো। আমরা শান্তিপূর্ণ নির্বাচন চাই। শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের জন্য শান্তিপূর্ণ পরিবেশ প্রয়োজন। সে পরিবেশ আমরা রক্ষা করবো।

সহযোগী-ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে ওবায়দুল কাদের বলেন, কারও কোনও ধরনের খারাপ আচরণের জন্য নির্বাচনের পরিবেশ যেন নষ্ট না হয়। এটা আপনাদের বলে দেওয়া প্রয়োজন। আমরা একটি দায়িত্বশীল রাজনৈতিক দল, আমাদের আচরণে তার প্রমাণ জনগণের সামনে রাখতে হবে। নির্বাচনকে সামনে রেখে এমন কিছু করা যাবে না, যাতে জনমনে বিভ্রান্তি তৈরি হয়।

নেতাকর্মীদের উদ্দেশে ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, জনগণ যেন মনে না করে, আমরা সংঘাতের উসকানি দিচ্ছি। আওয়ামী লীগ জেতা দল, আমরা জিতবো-ইনশাআল্লাহ। কয়েকটা মাস আমাদের ধৈর্য ও সহিষ্ণুতার পরিচয় দিতে হবে।
সহযোগী-ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের দূরত্ব কমিয়ে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার তাগিদ দিয়ে তিনি বলেন, কোনও গ্যাপ থাকলে আলোচনা করে দূরত্ব ঘোচাতে হবে।